পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] অত্যুক্তি। •©ፃና অতু্যক্তি । স্ত্রী মুনের বাটি সরাইয়া দিলে ইংরেজ স্বামী বলে—“আমার ধন্যবাদ জানিবে !” ইহা অত্যুক্তি। নিমন্ত্রণকারীর ঘরে চর্যচোষ্য থtহয় এবং বাধিয়া এদেশীয় নিমন্ত্রিত বলে—“বড় পরিতোষ লাভ করিলামু"— অর্থাৎ আমার পরিতোষেই তোমার পারিতোষিক। নিমন্ত্রণকারী বলে-– “আমি কৃতাৰ্থ হইলাম” ইহাকে অত্যুfং বলিতে পার । আমাদের দেশে স্ত্রী স্বামীকে পত্রে “ শ্রীচরণেষু” পাঠ লিথিয় থাকে, ইংরেজের কাছে হুহ অ ভুক্তি রেজ যাহাকেতাহাকে পত্রে প্রিয়সস্বোধন করে — অভ্যস্ত ল। হঠয়া গেলে ইহা আমাদের কাছে অত্যুক্তি পলিয়। ঠেকিত । নিশ্চয়ই মারে; এমন সহস্র দৃষ্টা স্থ আছে । কিন্তু এগুলি বাধ; আg্যক্তি— হহারা পৈতৃক । দৈনিক ব্যবহারে আমরা নব নব আচুক্তি রচনা করিয়৷ থাকি—হছাই প্রাচ্যজাতির প্রতি ভংসণ:র কারণ । তা{ল এক হাতে বাজে না । কথা দুজলে মিলিয়া হয়—প্রোতা ও বক্তা যেখালে পরস্পরের ভাযা বোঝে, সেখানে অতুক্তি উভঙ্গের যোগে আপনি সংশোধিত হইয়া আসে। সাহেব যখন চিঠির শেষে atato catwa Yours truly – 1575 তোমারি, তখন র্তাহার এই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ভার সত্যপাঠটুকুকে তর্জমা করিয়া আমি এই বুঝি, তিনি সত্যই আমাfর নছেন । বিশেষত বড়সাহেব যখন নিজেকে আমার বাধ্যতম ভূতা বলিয়। বর্ণনা করেন, তেমনি তখন অনায়াসে সে কথাটার ষোল-অta. বাদ দিয়া তাহার উপরে আরো ষোল-আন কাটিয়া” লইতে পারি। এগুলি বাধাদস্তুরের অতু্যক্তি, কিন্তু প্রচলিত ভাষাপ্রয়োগের অতু্যক্তি ইংরেজিতে ঝুড়িকুড়ি *ICE immensely, immeasurably, extremely, awfully, infinitely, absolutely, ever so much for the life of me, for the world, un bouncled, endlass প্রভৃতি শব্দ প্রয়োগ গুলি যদি সৰ্ব্বত্র যথার্থভাবে ল ওয়া যায়, তবে প্রাচ্য অতু্যক্তিগুলি ইহ জন্মে আর মাথা তুলিতে পারে না । বাহাবিষয়ে আমাদের কতকটা ঢিলামি আছে, এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে । বাহিরের জিনিষকে আমরা ঠিকৃঠাকুমত দেখি না, ঠিকঠাকৃমত গ্রহণ করি না । যখল-তখন বাহিরের নয়কে আমরা ছয় এবং ছয়কে আমরা নয় করিয়া থাকি । ইচ্ছা করিয়! না করিলে ও এস্থলে অজ্ঞানকৃত পাপের ডবল দোষ—একে পাপ, তাহীতে অজ্ঞান । ইন্দ্রিয়কে বুদ্ধিকে এমন অসাবধান করিয়া রাখিলে, পৃথিবীতে আমাদের দুটি প্রধান নির্ভরকে একেবারে মাটি করা হয় বৃত্তাস্থকে নিতান্ত ফাকি দিয়া সিদ্ধান্তকে যাহার কল্পনার সাহাযো গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করে, હાર્શત્રા নিজেকেই ফাকি দেয়। যে-যে বিষয়ে আমাদের ফাকি আছে, সেই-সেই বিষয়েই আমরা ঠকিয়া বসিয়া আছি। একচক্ষু হরিণ যে দিকে তাহার কাণ চোখ ফিরাইয়া আরামে ঘাস খাইতেছিল, সেই দিক্‌ হক্টতেই ব্যাধের তীর তাহার বুকে বাঞ্জিয়াছে । এমন অলস এবং