পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"לר (סא বঙ্গদর্শন । [ ২য় বর্ষ, কাৰ্ত্তিক । আমাদের কাণ চোখটা ছিল, ইহলোকের দিকে—সেই তরফ হইতে আমাদের শিক্ষা যথেষ্ট হইয়াছে । সেই দিকের ঘা ‘ থাইয়! আমরা মরিলাম ! কিন্তু স্বভাব না যায় ম’লে ! নিজের দোষ কবুল করিলাম, এবার পরের প্রতি দোষারোপ করিবার অবসর পাওয়া যাইবে । অনেকে এরূপ চেষ্টাকে নিন্দ করেন, আমরা ও করি । কিন্তু যে লোক বিচার করে, অন্তে তাহাকে বিচার করিবার অধিকারী ; সে অধিকারটা ছাড়িতে পারিব না । তাহাতে পরের কোল উপকার হইবে বলিয়া অtশা করি না— কিন্তু অপমানের দিনে যেখান হইতে যতটুকু আত্মপ্রসাদ পাওয়া যায়, তাহা ছাড়িয়া দিতে পারিব না । আমরা দেখিয়াছি, আমাদের অতৃifক্ত অলস বুদ্ধির বাহবিকাশ । মাঝে সুদীর্ঘকাল বিকারের ও যেমন আমাদিগকে যখন-তখন, সময়ে অসময়ে, উপলক্ষ্য থাক বা না থাকৃ, চাংকার করিয়া বলিতে হয়—আমরা রাজভক্ত । অথচ ভক্তি করিব কাহাকে, তাছার ঠিকান মাষ্ট । আইনের বঙ্গকে, না, কমিশনর-সাহেবের চাপরাশকে, না, পলিসের দারোগাকে ? গবমেণ্ট আছে, কিন্তু মানুষ কই ? হৃদয়ের সম্বন্ধ পাতাইব কাছার সঙ্গে ? আপিসকে বক্ষে আলিঙ্গন করিয়া ধরিতে পারি না । মাঝে মাঝে অপ্রত্যক্ষ রাজার মৃত্যু ব৷ অভিষেক উপলক্ষে যখন বিবিধ চাদার আকারে রাজভক্তি দোহন করিয়া লইবার ত৷ ছাড়া মাঝে পরাধানতাবশত চিত্ত হাত দেখিতে পাই ; আয়োজন হয়, তখন, ভীতচিত্তে, ৬ষ্কভক্তি ঢাকিবার জন্ত অতিদান ও অত্যুক্তির দ্বারা রাজপাত্র কানায় কানায় পূর্ণ করিয়া দিতে যাহা স্বাভাবিক নহে, তাহাকে প্রমাণ করিতে হইলে লোকে অধিক চাংকার করিতে থাকে এ কথা ভুলিয়া যায় যে, মৃদুস্বরে মে বেস্বরা ধরা পড়ে না, চীৎকারে তাহা চার গুণ হইয়া উঠে । কিন্তু এই শ্রেণীর অত্যুক্তির জন্ত আমরা এক দায়া নই ; ইহাতে পরাধান জাতির হীনত। প্রকাশ পায় বটে, কিন্তু এই অবস্থাটায় আমাদের কত্ত্বপুরুষদের মহত্ব झैग्न ! ভীরুতা ও ও সতানুরাগের প্রমাণ দেয় না । জলাশয়ের জল সমতল নহে, এ কথা যখন কেহ অম্লানমুখে বলে, তখন বুঝিতে হুইবে, সে কথাটা অবিশ্বাস্ত হইলে ৪ তাঙ্গার মনিব তাহান্ত শুনিতে চাহে । মদমত্ততার দিলে অাজ কলিকার সাম্রাজ্য z ፻፭ Š site; প্রক {রে নিতে চায় রাজ ভক্ত,-- আমর! භු তাঙ্গার চরণতলে স্বেচষ্টায় বিক্রাত ; এ কথা জগতের কাছে তাই র ধ্বলি ৩- প্লf ৩ধ্বণিত করিতে চাeে ! তাই, ঠিক যে সময়ে ইংরেজের সঙ্গে ভারতবাসীর হৃদয়ের সম্বন্ধ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নপ্রায় ; যে সময়ে আমাদের প্রতি ইংরেজের বিতৃষ্ণ ও অবজ্ঞ। তাছাদের সামাজিক আচরণে ও বাবসায়িক ব্যবহারে প্রতিদিন অনাবশুক মুস্পষ্টতার সহিত পরিস্ফুট হইয়া উঠিতেছে ; যে সময়ে একে একে ভারতবর্ষ তাহার উচ্চ অধিকার হইতে ভ্ৰষ্ট ও অtশ্রয় হইতে তাড়িত হইতেছে ; যখন বিলাতের এঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ভারতের রুধিরশোষণ