পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] ভগ্নপ্রবধু বিশ্বাসকে বধিয়া তুলিবার জন্ত, শিশুকাল হইতে বিদেশীকে একমাত্র গুরু বলিয়া মান অভ্যাস হওয়াতে র্তাহাদের কথাকে বেদবাকা বলিয়া স্বজাতির পতি শ্রদ্ধাবিহীন হইবার মহাবিপদ হইতে নিজের রক্ষা পাইবার জন্ত । ইংরেজ যে পথে যাইতে চায় যাক, যত দ্রুতবেগে রথ চালাইতে চাহে চালাক, তাছাদের চঞ্চল চাবুকট যেন আমাদের পৃষ্ঠে না পড়ে এবং তাহাদের চাকাল তলায় আমরা যেন অস্তিমগতি লাভ না করি, এই হৰ্চলেই হইল। ভ1 আমবা চাহি ন}; উত্তরো স্তুর সুলভ স্তর আঙুরের গুচ্ছ অক্ষমের অদৃষ্টে প্রতিদিন টকিয়া উঠিতেছে বলিয়াই হউক আর যে কারণেই হউকৃ, আমাদের আর ভিক্ষায় কাজ নাই—এবং এ কথা বল ও বাহুল্য, কুন্তাতেও আমাদের প্রয়োজন দেখি না । শিক্ষাই বল, চাকরীষ্ট বল, যাহ। পরের কাছে মাগিয়া-পাতিয়া লইতে হয়, পাছে কবে আবার কাড়িয়া লয় এক্ট ভয়ে যাহাকে পা c কে র কাছে সবলে চাপিয়া ধরিয়া বক্ষ ব্যথিত করিয়া তুলি, তাহা থো গুয়া গেলে অত্যন্ত বেশি ক্ষতি নাই ; কারণ, মানুষের প্রাণ বড় কঠিন, সে বাচিবার শেষ চেষ্টা না করিয়া থাকিতে পারে না । তাহার যে কতটা শক্তি আছে, নিতান্ত দায়ে না পড়িলে তাহা সে নিজেই বোঝে না ; নিজের সেই অন্তরতর শক্তি চাবিস্কার করিবার জন্য বিধাতা যদি ভারতকে সৰ্ব্বপ্রকারে বঞ্চিত হইতে দেন, তাহাতে শাপে বর হইবে । এমন জিনিষ আমাদের চাই যাহা সম্পূর্ণ আমাদের স্বায়ত্ত, বাহ কেহ কাড়িয়া অতু্যক্তি। ᏬᎼᎼ লইতে পারিরে না—সেই জিনিষটি হৃদয়ে রাখিয়া আমরা যদি কেীপীন পরি, যদি সন্ন্যাসী হই, যদি মরি, সে-ও ভাল। ‘ভক্ষীয়াং নৈব নৈব চ। আমাদের খুব বেশি ব্যঞ্জনে দরকার নাই, যেটুকু আহার করিব, নিজে যেন আহরণ করিতে পারি, খুব বেশি সাজসজ্জ। না হইলে ও চলে, মোট কাপড়টা ধেম নিজের হয়, এবং দেশকে শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা আমরা যতটুকু নিজে করিতে পারি, তাহা যেন সম্পূর্ণ নিজের দ্বার। অনুষ্ঠিত হয়। এক কথায়, যাহা করিব আত্ম লীগের দ্বfবয় করিপ, শাহ পাইব আত্মবিসজ্জনের দ্বার({ পাইব, যাহা দিব আত্মদানের দ্বারাতেই দিব ; এই যদি সম্ভব হয় ত হউক, না যদি হয়, পরে চাকরী না দিলেই যদি আমাদের অন্ন না জোটে, পরে বিদ্যালয় বন্ধ করিবামাত্রই যদি আমাদিগকে গণ্ডমুখ হইয়া থাকিতে হয় এবং পরের নিকট হইতে উপাধির প্রত্যাশ না থাকিলে দেশের কাজে আমাদের টাকার থলির গ্রন্থিমোচন যদি না হষ্টতে পারে, তবে পৃথিবীতে আর কাহারে উপর কোন দেযারোপ না করিয়া যথাসম্ভব সত্বর যেন নিঃশব্দে এই ধরাতল হইতে বিদায় গ্রহণ করিতে পারি। ভিক্ষাবৃত্তির তারস্বরে, অক্ষম বিলাপের সামুনাসিকতায় রাজপথের মাঝখানে আমরা যেন विश्वজগতের দৃষ্টি নিজেদের প্রতি আকর্ষণ না কfর ! যদি আমাদের নিজের চেষ্টায় আমা দের দেশের কোন বৃহৎ কাজ হওয়ার সম্ভাবন না থাকে, তবে হে মহামারি, তুমি আমাদের বান্ধব,ছে দুর্ভিক্ষ,তুমি আমাদের সহায় !