পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] প্রাণী ও উদ্ভিদ । శ్రీ):్సJ) সকল লাঘবত লাভ করিয়া খুব সবলে সাড়া দিতে থাকিবে এবং চিত্রটাও তদবস্থ মাংসপেশীর চিত্রের অনুরূপ সোপানাকারে অঙ্কিত হইয়া পড়িবে। সুদীর্ঘকাল এই প্রকার আঘাত দিতে থাকিলে,সঞ্জীব প্রাণীর ন্তায় উদ্ভিদ যে অবসাদগ্ৰস্ত হইয়া পড়ে, তাহীও অধ্যাপক বক্ষ দেখাইয়াছেন । তুমবসন্ন উদ্ভিদ শত তাড়নায় কোনই সাড়া দেয় না, কাজেই চিত্রে সাড়ানির্দেশক উচুনীচু রেখ+ পাত হয় না। আঘাত রোধ করিয়া ক্লান্ত উদ্ভিদকে একটু বিশ্রামের অবকাশ দাও, কিয়ংকালমধ্যে সে আবার প্রকৃতিস্থ হহয়। পড়িবে। তখন আঘাত কর, উদ্ভিদ ঠিক পূৰ্ব্ববৎ সাড়া দিবে। পাঠক দেখিয়া থাকিবেন, মাংসপেশার কোন অংশ দীর্ঘকাল একই ভাবে আন্দোলিত করিলে বা তাহাতে অতিদ্রুত আঘাত দিতে থাকিলে, সেটা শাস্ত্রই পূর্ণ অবসাদ ব। ধন্টুষ্টঙ্কারের লক্ষণ প্রাপ্ত হয় । এই অবস্থায় মাংসপেশ এম্প্রকার জড়তা লাভ করে যে, কোন উত্তেজনায় তাহার সেই অসাড়তা দূর হয় না। কিন্তু কিয়ৎ কাল বিশ্রামের অবকাশ দিলে, সেটি আপনা হইতেই আবার প্রকৃতিস্থ হইয়া পড়ে । অধ্যাপক বস্থর পরীক্ষায় জীবিত উদ্ভিদদেহেও ঠিক পূৰ্ব্বোক্তপ্রকারের ধনুষ্টঙ্কার দেখা গিয়াছে। এবং অবসাদ-অপনোদনের জন্য প্রাণীকে যে প্রথায় চিকিৎসা করিতে হয়, অবসাদ-মোচনের জন্ত উদ্ভিদকেও ধে তক্রপ চিকিৎসা করা আবশ্বক, তাহাও জানা গিয়াছে । শীতাতপের মাজাভেদে " উদ্ভিদদেছে আঘাতের ক্রিয়। কি প্রকারে পরিবর্তিত হয়, তাহা ও অধ্যাপক মহাশয় বহু পরীক্ষাদি দ্বারা ‘ আবিষ্কার করিয়াছেন । মানুষ ও অপর প্রাণী যেমন বায়ুর একটা নির্দিষ্ট উষ্ণতায় স্ফৰ্ত্তির সহিত কাজ করিতে পারে, জাতিবিশেষে উদ্ভিদের চরম কাৰ্য্যক্ষমতাও সেই প্রকার এক একটা নিদিষ্ট উষ্ণতার স্ফৰ্ত্তি পাইতে দেখা গিয়াছে । অত্যন্ত শীতল স্থানে একটি উদ্ভিদপত্র রাখিয়া তাহাকে আঘাত কর, সেটা শাতে আড়ষ্ট হইয়। থাকিবে, শীতাৰ্ত্ত প্রাণীর ন্যায় সে কোনই সাড়া দিবে না। তার পর আর একটি পত্রকে অত্যন্ত গরমে রাখ, এই অবস্থায় সে এত ক্ষীণ ও দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িবে যে, তখন অতি মুদ্র সাড়। দিবার শক্তিটি পর্যন্ত তাহার থাকিবে না । প্রকৃতিভেদে মানুষের শীতাতপসহিষ্ণুতার যেমন পরিবর্তন দেখা যায়, উদ্ভিদে ও অবিকল তদকুরূপ পরিবর্তন দেখা গিয়াছে । ল্যাপল্যাণ্ডবাসী যে শীতে খুব স্কৃদ্ধির সহিত কাজ করে, আফ্রিকাবাসীকে সেই শীতে মৃতপ্রায় হইতে দেখা যায়। অধ্যাপক বসু আইভি, হলি ও লিলি জাতীর কয়েকটি উদ্ভিদ পরীক্ষা করিরা দেখিয়াছেন, যে শৈত্যে আইভি-লতা ও হলি সজাগ থাকে, সেই শৈত্যেই লিলি মৃতপ্রায় হইয়া পড়ে। তখন বহু আঘাতে তাহার কোনই সাড়া পাওয়া যায় না। তাছার পর শৈত্যের মাত্রা বাড়াইলে লিলির মৃত্যু পৰ্য্যন্ত উপস্থিত হয়। নানাজাতীয় উদ্ভিদের মধ্যে কোনটি কোন উষ্ণতায় সৰ্ব্বাপেক্ষ স্মৃত্তিসম্পন্ন থাকে এবং শৈত্যের পরিমাণ কতদূর বাড়িলে