পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] পরনিন্দ । 8s & হাসিয়া উড়াইম্বা দেওয়াই স্ববুদ্ধি বলিয়া গণ্য। কিন্তু নিন্দ যদি বিচারকের রায় হইত, তবে স্ববুদ্ধিকে উকীল-মোক্তারের শরণ লইতে হইত। র্যাহারা জানেন, র্তাহার। স্বীকার করিবেন, উকীল-মোক্তারের সহিত কারবার হাসির কথা' নহে। অতএব দেখা যাইতেছে, সংসারের প্রয়োজনহিসাবে নিন্দার যতটুকু গুরুত্ব আবশুক তাঁহাও আছে, যতটুকু লঘুত্ব থাকা উচিত তাহারে অভাব, নাই । পূৰ্ব্বে যে পাঠকটি আমার কথায় অসহিষ্ণু হইয়া উঠিয়াছিলেন, তিনি নিশ্চয়ই বলিবেন—“তুচ্ছ অনুমানের উপরেই হউক বা নিশ্চিত প্রমাণের উপরেই হউকৃ, নিন্দ যদি করিতেই হয় তবে ব:থার সহিত করা উচিত-নিন্দায় মুখ পাওয়া উচিত নহে ।” এমন কথা যিনি বলিবেন, তিনি নিশ্চয়ই সহৃদয় ব্যক্তি । সুতরাং তাহার বিবেচনা করিয়া দেখা উচিত-নিন্দায় নিন্দিত ব্যক্তি ব্যথা পায়, আবার নিন্দুক ও যদি বেদনা বোধ করে, তবে সংসারে দুঃখবেদনার পরিমাণ কিরূপ অপরিমিতরূপে বাড়িয়া উঠে ! তাহা হইলে নিমন্ত্রণসভা নিস্তব্ধ, বন্ধুসভা বিষাদে ম্ৰিয়মাণ, সমালোচকের চক্ষু অশ্রুত এবং তাহার পাঠকগণের হৃদগহবর হইতে উষ্ণ দীর্ঘশ্বাস ঘনঘন উচ্ছসিত । আশা করি, শনিগ্রহের অধিবাসীদেরও এমন দশা নয় ! তা ছাড়া মুখও পাইব না অথচ নিন্দাও করিব, এমন ভয়ঙ্কর নিন্দুক মনুষ্যজাতিও নহে। মানুষত্ত্বে বিধাতা এতই সৌধীন कब्रिब्र ग्रठेि कब्रिब्रांरक्लन cयु, यथन cग নিজের পেট ভরাইয়া প্রাণরক্ষা করিতে যাইতেছে, তখনও ক্ষুধানিবৃত্তি ও রুচিপরিতৃপ্তির যে श्; সেটুকুও তাহার চাই—সেই মানুষ ট্রামভাড়া করিয়া বন্ধয় বাড়ী গিয়া পরের নিন্দ করিয়া আসিবে অথচ তাহাতে মুখ পাইবে না, যে ধৰ্ম্মনীতি এমন অসম্ভব প্রত্যাশ করে তাহ পূজনীয়, কিন্তু পালনীয় নহে । আবিষ্কারমাত্রেরই মধ্যে মুখের অংশ আছে। শিকার কিছুমাত্র মুখের श्श्ङ न।, যদি যুগ যেখানে-সেখানে থাকিত এবং ব্যাধকে দেখিয়া পালাইয়া না যাইত। মৃগের উপরে আমাদের আক্রোশ আছে বলিয়াই যে তাহাকে মারি তাহা নহে, সে বেচার গহন বনে থাকে এবং সে পলায়নপটু বলিয়া তাহাকে কাজেই মারিতে হয় । মামুষের চরিত্র, বিশেষত তাহার দোষগুলি, ঝোপঝাপের মধ্যেই থাকে এবং পায়ের শব্দ শুনিলেই দৌড় মারিতে চায়, এইজন্তই নিন্দার এত মুখ । আমি নাড়ীনক্ষত্র জানি, আমার কাছে কিছুই গোপন নাই, নিন্দুকের মুখে এ কথা শুনিলেই বোঝা যায়, সে ব্যক্তি জাতশিকারী । তুমি তোমার যে অংশটা দেখাইতে চাও না, আমি সেইটাকেই তাড়াইয়া ধরিয়াছি। জলের মাছকে আমি ছিপ ফেলিয়া ধরি ; আকাশের পার্থীকে বাণ মারিয়া পাড়ি, বনের পশুকে জাল পাতিয়া বাঁধি-ইহ কত মুখের । যাহা লুকার তাহাকে বাহির করা, যাহা পালায় তাহাকে বাধ, ইহার জন্তে মানুষ কি না করে ! ফুর্লভতার প্রতি মানুষের একটা মোহ আছে । সে মনে করে, যাহা সুলভ তাহ