পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] অমূৰ্ত্ত ও মুৰ্ত্ত। 8 »ዓ তাহার সৰ্ব্বত্র কর-চরণ, সৰ্ব্বত্র চক্ষুঃশ্রবণ, “সৰ্ব্বত্র শির-আনন, তিনি সমস্ত वाiश्iिश्रi स्वांग्छ्न । বিশ্বতশ্চক্ষুরুত বিশ্বতোমুখে৷ दिश्वtडांदांझग्नड विश्वङ**ां९ ।। সং বাহভ্যtং ধমতি সংপতত্রৈদ্ব্যাবাতুমী জনয়দেব একঃ ॥ [ “༣་རྩ། ཝཱ་རྩ་༔ ৩৩ ] তাহার সর্বত্র চক্ষু, তাহার সর্বত্র মুখ, তাহার সর্বত্র বাহ, তাহার সর্বত্র পদ ; সেই দ্যুতিময় দেবতা পৃথিবী ও অস্তরীক্ষ স্বষ্টি করিয়া মনুষ্যকে বাহু ও পক্ষীকে পক্ষ যুক্ত করিয়াছেন। হঁহারই সম্বন্ধে মুণ্ডকোপনিষদে লিখিতু হইয়াছে যে, জ্যলোক ইহার মস্তক, চন্দ্রস্বৰ্য্য ইহার চক্ষু, দিক্‌ ইহার কর্ণ, বেদ ইহার বাণী, বায়ু ইহার প্রাণ, বিশ্ব ইহার হৃদয়, পৃথিবী ইহার চরণ ; ইনি সমস্ত ভূতের অস্তরাত্মা । অগ্নিমুৰ্দ্ধ চক্ষুৰী চন্দ্রস্তুৰ্য্যে৷ দিশঃ শ্রোত্রে বাগবিবৃতাশ্চ বেদীঃ। বায়ু প্রণে হৃদয়ং বিশ্বমস্ত পত্তাং পৃথিবী হেৰ সৰ্ব্বতুতাস্তরাত্ম৷ [ মুণ্ডক ২।১।৪ ] এই বিরাই রূপকে বিশ্বরূপ বলা হয়। কারণ জগৎই জগদীশ্বরের মূৰ্ত্তি। এখানে জগৎ অর্থে আমাদের এই ক্ষুদ্র পৃথিবীটুকু নহে। ভূঃ, ভুবঃ, স্বঃ, জন, তপঃ, মহং, সত্য, এই সপ্ত উৰ্দ্ধলোক এবং পাতাল, রসাতল, মহাতল, তলাতল, স্বতল, বিতল ও অতল, এই সপ্ত অধোলোক জগতের অন্তর্গত। এই সমস্ত জগৎ ও জাগতিক

  • Ꮧ☾

○ পদার্থ—স্থাবর-জঙ্গম, তরু-লতা-গুল্ম, কীটপতঙ্গ-সরীস্বগ, পশু-পক্ষি-মনুষ্য, দেবদানব, যক্ষ-রক্ষ-কিন্নর-গন্ধৰ্ব্ব, সিদ্ধ-সাধ্য— যে কিছু পদার্থ আছে, ছিল বা হইবে, সেই সমস্তের যে বিরাট সমষ্টি—যে প্রকাও সংযোগ, তাহাই ভগবানের বিশ্বরূপ । এই বিশ্বরূপ গীতার একাদশ অধ্যায়ে বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হইয়াছে । তাহার আরম্ভমাত্র এখানে উদ্ধৃত হইল— পখামি দেবীংস্তব দেব দেহে সৰ্ব্বাংস্তথা ভূতবিশেষসঙ্ঘান। ব্ৰহ্মাণমীশং কমলাসনস্থবৃষীংশ্চ সববর্ণকুরগাংশ্চ দিব্যান ॥ অনেকবাহুদরবক্ত নেত্ৰং পখামি ত্বাং সৰ্ব্ব তোহনস্তুরূপমূ। নান্তং ন মধ্যং ন পুর্নস্তবাiি , পখামি বিশ্বেশ্বর বিশ্বরূপ ! ॥ [ গীতা ১১।১৫ । ১৬ ] অৰ্জুন বলিলেন—“হে দেব ! আমি তোমার দেহে সমস্ত দেব, সমস্ত ভূত, পদ্মাসনস্থিত ব্ৰহ্মা এবং দিব্য মহর্ষি ও উরগগণকে অবলোকন করিতেছি । হে বিশ্বেশ্বর ! হে বিশ্বরূপ ! আমি তোমার অনেক বাছ, উদর, মুখ ও নেত্র যুক্ত, সৰ্ব্বত্র অনন্ত রূপ নিরীক্ষণ করিতেছি ; কিন্তু ইহার আদি, অস্ত ও মধ্য, কিছুই দেখিতে পাইতেছি না।” এই বিরাটু পুরুষের কথা ভাগবতের প্রথমস্কন্ধে তৃতীয় অধ্যায়ে সংক্ষেপে উক্ত হইয়াছে। তাহার সার মৰ্ম্ম এই যে, আদিতে ভগবান লোকস্থষ্টি ইচ্ছা করিয়া মহাদিগঠিত পুরুষমূর্তি ধারণ করেন। কারণাপর্বশায়ী সেই ভগবানের নাভি হইতে ব্ৰহ্মা