পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२९ बश्रम-नि । [ ২য় বর্ষ, অগ্রহায়ণ । ৰদি কেহ জিজ্ঞাস করিত—“গুইরাম, এ মেয়েটি কে ?” তাহ হইলে গুইরাম সহৰ্ষে বলিত,“এঞ্জে ইনি আমার ইস্তিড়ি।” . গুইরামের সেই দুই বৎসরের শিশু “ইস্তিড়ি” শৈশব হইতে বাল্য ও কৈশোর অতিক্রম করিয়া যৌবনে পদার্পণ করিল। “বুদ্ধস্ত তরুণী ভাৰ্য্যা প্রাণেভ্যোহপি গরীয়সী” হইলেও, বৃদ্ধ গুইরাম কিন্তু এই প্রাণীপেক্ষা গরীয়সীর প্রতি মধ্যে মধ্যে বড়ই অসদ্ব্যবহার করিত। পাড়ার হল। বাগদী গুই রামের নাতি সম্পর্কে। তাহার বয়স ৩০ এর মধ্যে। নাতি ও ঠানদিদির মধ্যে সম্বন্ধটা অমুচিতমাত্রায় ঘনিষ্ঠতর হইতেছে বিবেচনা করিয়া গুইরাম পত্নীকে হলার সহিত যখনতখন কথাবাৰ্ত্ত কহিতে নিযেধ করিত । কিন্তু "পৰ্ব্বতগুহ ছাড়ি * * কার সাধ্য রোধে তার গতি ?” এই গতিরোধ করিবার জন্ত গুইরাম প্রথম-প্রথম চোখ রাঙাইতে আরম্ভ করিল। তার পর ক্রমে ক্রমে চড়চাপড়, কিল ও মুষ্টিযোগ ধরিল, শেষে মধ্যে মধ্যে লগুড় লইয়া তাড়া করিতে আরম্ভ করিল। পদ্মমুখীর শত অপরাধ থাকিলেও সে পতিকৃত লাঞ্ছনীয় প্রতিবাদ করিত না ও পতিকৃত ভৎ সন-তাড়নায় ব্যথিত হইত না । যখন প্রতিবাসী স্ত্রীলোকেল্লা আসিয়া গুইরামকে তিরস্কার করিত, তখন পদ্মমুখী সরোদনে তাহাদিগকে বলিত —“মাড়, মাড়, তোমড়া কিছু বোলে না, পুড়, এগেচে, মাড় গ”। যখন নিতান্ত অসহ হইত, তখন স্বামীর প্রতি অভিমান করিয়া বলিত, “তুমি আকুনি যাও", প্রাণ ধরিয়া “ধমের বাড়ী বাও” মুখে আনিত না। তথাপি গুইরামের কিন্তু তাড়নার বিরাম ছিল না। ইদানীং তাহার পত্নী বৃদ্ধ স্বামীকে বড় তয় করিত না । গুইরাম চড় মারিলে পতিব্ৰতা কিল মারিত। গুইরাম একবার পাচনবাড়ি লইয়া তাড়া করাতে তৎপত্নী সম্মার্জনী দ্বার স্বামীর পৃষ্ঠের বহুকালসঞ্চিত ধূলা ঝাড়িতে প্রবৃত্ত হইল। এমনসময় ঘোষের পো দুধের বঁাক র্কাধে করিয়া তাহাদের সম্মুখে আসিয়া পড়াতে অগত্যা লজ্জাশীল পতিরতা পদ্মমুখী অবগুণ্ঠন টানিয়া গর্জন করিতে করিতে স্বগৃহে প্রত্যাগত হঠল । ঘোষের পো গুইরামের দুর্দশ দেখিয়া সমবেদন প্রকাশ করিয়া গুইরামকে বলিল —“গুইরাম, তোর ইস্তিরি তোকে মারে, তুই কিছু বলিস না ?” গুইরাম সকাতরে বলিল—“কি করি দাদা, বাপ নয় যে পেখক্‌ হবে, মা নয় যে তেড়িয়ে দেবে, পেটের ছেলে নয় যে ত্যজ্যপুত্ত র করবো, এ যে ইস্তিড়ি, অদ্ধড়ঙ্গ।” সেই দিন বাড়ী ফিরিয়া গুইরাম পঞ্জীর পৃষ্ঠে নিজের দক্ষিণ পদতলের পঙ্কলাঞ্ছন মুদ্রিত করিয়া গৃহ হইতে নিষ্ক্রাস্ত হইল। রাত্রে গুইরাম বাটীতে আসিল না । ছবির ভেড়িতে ভগ্নীর গৃহে চলিয়া গেল। তাহার ভগ্নী ছিল না, এক ভাগিনেয় ছিল । সে অসময়ে মাতুলকে আসিতে দেখিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিলে,গুইরাম ভাগিনেয়কে সমস্ত কথা বলিল । গুনিয়া ভাগিনেয় বলিল—“মাম, তুই আর সে কালামুখীর । কাছে যাসনি। তুই আবার স্যাঙা কল্প r কিন্তু ভাগিনেয়ের এই প্রলোভনে সে জুস্থির श्रेष्ठ भाब्रिण न, थप्न भइन अश्डोत्र