পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] হইল, পদীৰুে বাড়ীতে একলা ফেলে এসে उठांड ੋਥ করে নাই, হাজার হৌক “পড়িবাড় অদ্ধড়ঙ্গ।” সুতরাং ভাগিনেয়ের সহস্ৰ অনুরোধ অগ্রাহ করিয়া পরদিবস প্রাতে আবার গৃহে প্রত্যাগত হইল। কিন্তু গৃহে আসিয়া দেখিল, যাহা ভাবিয়াছিল, তাহাই হইয়াছে। গৃহে দ্বার বন্ধ করিয়া গুইরামপত্নী অদৃগু হইয়াছে। •o গুইরাম সমস্ত দিন পত্নীর অন্বেষণ করিল, কিন্তু কোনও সন্ধান পাইল না । হল বাগদীর বাড়ীতে কোন ও সংবাদ পাইল না। অবশেষে বলদ-দুইটাকে সে হারাধন স্থলের বাটতে রাখিয়া আসিল । “ভুলে"-কুকুরটাকেও এক-এক-মুটা ভাত দিতে বলিয়া বাড়ীর আগড় বন্ধ করিয়া চলিয়া গেল । ર উক্ত ঘটনার প্রায় ছয়মাস পরে একদিন মধ্যাহ্লে একজন প্রাচীন শীর্ণকায় ভিক্ষুক চন্দননগরে ফরাসী গভমেণ্টের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর অতিথিশালার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া দ্বারবানকে বলিল, “বাবা, চাট্টি খেতে দাও।” দ্বারবান গম্ভীরস্বরে বলিল, “ভিতর যাও।” আগস্তুক ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখিল, প্রায় - ০জন অতিথি এক স্থানে ভোজনে বসিয়াছে। ২জন পাচক ব্রাহ্মণ পরিবেষণ করিতেছে। এক দিকে ৪৫ জন সন্ন্যাসী জট-বিভূতি-ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম ইত্যাদিতে বালকগণের ভীতি উৎপাদন করিয়া ডাল-রুটির জোগাড়ে ব্যস্ত আছেন। অন্ত দিকে ২জন বঙ্গদেশীয় ব্রাহ্মণ স্বহস্তে পাক করিয়া আহারে हैडलयछे । g ఫిరి বসিয়াছেন। ৬৭জন আহারার্থী একস্থানে বসিয়া আছে। প্রাচীনকে আসিতে দেখিয়। একজন পরিচারক জিজ্ঞাসা করিল,“তোমরা, আপনার * “এজ্ঞে আমরা উইদাস।” “রুহিদাস ? মুচি ?”

  • এজ্ঞে ।”

“আচ্ছা বোস। স্নান করবে ? তা যাও, স্নান করে এস।” বলা বাহুল্য যে, আগন্তুক গুইরাম । গুইরাম এই ছয় মাসের মধ্যে যেন ৬০ বৎসর হইতে ৭৫ বৎসরে উপনীত হইয়াছে। কৃষকসুলভ বলিষ্ঠ কর্কশ দেহ কতকটা নত হইয়া পড়িয়াছে। অক্ষৌরিত মুখমণ্ডলে শুভ্র গুস্ফশ্মশ্র জন্মিয়াছে। মাথার চুলগুলা বড় হইয়াছে। যে কয়েকটা দত্ত ছিল, অনাহারে দুশ্চিন্তায় সে কয়টাও অবসর বুঝিয়া সরিয়া পড়িয়াছে। ফলত গুইরামকে দেখিরা আর চিনিতে পারা যায় না . গুইরাম স্নান করিয়া আসিলে একজন পরিচারক একথান নুতন বস্ত্র তাহাকে প্রদান করিল। স্নানান্তে নববস্ত্র পরিধান করাতে তাহার চেহারা অনেকটা বদলাইয়া গেল। দেখিতে দেখিতে আরও তিন-চার-জন অতিথি সমাগত হইল। জাতিবিশেষে কেহ বা দালানে, কেহ বা রোয়াকে, আর কেহ বা প্রাঙ্গণে উপবেশন করিল। অনেকেই নববস্ত্র পরিধান করিয়াছে। যাহার বিদেশী পথিক, কেবল আহারের জন্ত আসিয়াছে, তাহারা অনেকেই বস্ত্র লইল না। সকলে যথাস্থানে উপবেশন করিলে একজন পরিচারিক অবগুণ্ঠনে অৰ্দ্ধাৰ্বত হইয়া প্রত্যেকের সন্মুখে এক একথানি কদলীপত্র ও