পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার সত্যের আলোচনা । আত্মা হইতে সত্যে উপসংক্রমণ । বিগত প্রবন্ধের শেষভাগে জিজ্ঞাসিত হইয়াছিল এই যে, প্রকৃত আত্মজ্ঞান সাধকের পক্ষে কতদূর সম্ভাবনীয়—কি প্রকারেই বা সম্ভাবনীয় ? এই প্রশ্নটিকে আগে ভাল করিয়া খুলিয়া-খালিয়া নিৰ্ব্বাচন করা ষা’ক, তাহার পরে তাহার মীমাংসায় হস্তক্ষেপ করা বাইবে । প্রশ্নটির প্রকৃত তাৎপৰ্য্য এই – ষিনি জানিতেছেন তিনি জ্ঞাতা এবং যাহাকে জান হইতেছে তিনি জ্ঞেয় । এখন জিজ্ঞাস্ত এই যে, যিনি জানিতেছেন, তাহাকে জানা কি প্রকারে সম্ভাবনীয় ? জ্ঞাতাকে জ্ঞেয় করা কি প্রকারে সম্ভাবনীয় ? জ্ঞাত এবং জ্ঞেয়ের একীকরণ কি প্রকারে সম্ভাবনীয় ? ইহার সোজা উত্তর এই যে, জলে সাতার দেওয়া তোমার পক্ষে কতদূর সম্ভাবনীয় তাহা যদি তুমি জানিতে চাও, তবে অন্তত এক-কোমর জলে নাবিয়া হাত-পা ছুড়িতে আরম্ভ কর—তাহা হইলেই সঙ্কল্পিত কাৰ্য্যটির সম্ভাবনীয়তার সম্বন্ধে ক্রমৃে তোমার চক্ষু ফুটিবে ; তাহা না করিয়া তুমি ডাঙায় দাড়াইয়া “আগে মাথা উঁচ করিব কি আগে হাত চুড়িব” “আগে হাত ছড়িব কি আগে পা ছুড়িব” এইরূপ নানাবিধ প্রণালীর মধ্যে কোটি সবিশেষ ফলদায়ক, ভাহার পর্য্যালোচনায় প্রবৃত্ত इहेब्रा मांथ घूबांहेब गांब्री श्रेष्ठझ्-करणहे জলে সাতার দেওয়া যে কতদূর সম্ভাবনীয় সে বিষয়ে কিছুতেই তোমার মনের ধন্দ মিটিতেছে না। তাই বলি যে, জ্ঞাতা এবং ঞ্জেয়ের একীকরণ কতদূর সম্ভাবনীয়, তাহা জানিতে হইলে তাহা ভাবিয়া দেখা অপেক্ষা করিয়া দেখাই সহজ উপায়। কিন্তু তাহা করিয়া দেখিবার পূৰ্ব্বে একটি বিষয় সৰ্ব্বাগ্রে বিবেচ্য। কোনো নূতন ব্ৰতী যদি সাতার শিখিবার মানসে জলে নাবিতে উদ্যত হ’ন, তবে সন্মুখবর্তী জলের ভাবগতি অবগত হইয় সেরূপ কার্য্যে সাবধানতার সহিত প্রবৃত্ত হওয়াই তাহার পক্ষে উচিত। যে স্থানটিতে তিনি নাবিতে ইচ্ছা করিতেছেন, সেখানে এক-হাটু জল, কি এককোমর জল, কি অগাধ জল, তাহার সবিশেষ সন্ধান লওয়া তাহার পক্ষে সৰ্ব্বাগ্রে প্রয়োজনীয়। আত্মজ্ঞানের সাধনে প্রবৃত্ত হইয়াই যদি অভিনব ব্ৰতী এমন এক স্থানে পদ-সংক্রমণ করেন— যেখানে থই পাওয়া যায় না, তবে তিনি झ्हे भन अक्षगब्र श्हेप्ड न श्हेप्च्हे अनস্বলিত হইয়া বিপদে পড়িবেন—তাহা দেখিতেই পাওয়া যাইতেছে। অতএব আত্মজ্ঞানের সাধনে প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্ব্বে আত্মাকে কোন স্থানে ধরিতে হইবে,তাহার সন্ধান লওয়া সাধকের প্রথম কর্তব্য, তাহাতে আর ভুল নাই। জ্ঞাতার ঠিকানা-নির্দেশ ।” ছু চের আগ দিয়াই কাণ ফোড়া হইয়। থাকে—ছুচের আগ দিয়াই কাপড় সেলাই