পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সংখ্যা । ] महांकांटबाग्न लक्र१ ।। իծԵ-Պ এক এক অঙ্গে, তাহার কিয়রাসেবিত ওহামধ্যে, তাহার সরলক্রমাচ্ছন্ন সামুদেশে, তাহার গৈরিকখচিত উপত্যকায়, তাহার মারুতপূর্ণরন্ধ, আপাদিতবেণুকৃত্য কীচকবনে, তাহার হিমশীকরবাহি-পবন সেবিত গিরিনিক রপ্রান্তে চিত্তবিভ্রমকর অতুল্য শোভা আছে সত্য ; কিন্তু সেই একদেশব্যাপী শোভা, সেই প্রাদেশিক মূৰ্ত্তি, সমগ্র হিমাচলের প্রতি নিরীক্ষণের বড় অবকাশ দেয় না। হিমাচলের বিরাটু মূর্তির শোভা দ্বদগত করিতে হইলে ধেন দূরে থাকিয় তাহার তুঙ্গ শিখররাজির দিকে অবলোকন আবখ্যক । সেইরূপ রামায়ণ-মহাভারতের বিশাল মহাকাব্যের মধ্যে অসংখ্য খণ্ডকাব্য নিবিষ্ট রহিয়াছে ; অনেক বনজঙ্গল ভেদ করিয়া, অনেক প্রস্তরকঙ্কর অতিক্রম করিয়া, অনেক চড়াই-উত-রাই পার হইয়া, ক্লাস্তশরীরে সেই সকল খণ্ডকাব্যের সৌন্দৰ্য্যদর্শনে অধিকারী হইতে পারিলে, দর্শকের মন আনন্দরসে অভিপ্নত হয়, সন্দেহ নাই ; সেই সকল খণ্ডকবিতার উপমাও অন্তত্ব স্থলভ, সন্দেহ নাই ; কিন্তু সমগ্র মহাকাব্যের মাহাত্ম্য-উপলব্ধির বিষরে সেই খণ্ডকাব্যের আলোচনা বিশেষ সাহায্য করে না । সমগ্র মহাকাব্যের মহিমা উপলদ্ধি করিতে হইলে, যেন মহাকাব্য श्रेष्ठ कङरूछे छूब्र थाकहेि गत्रउ । সেই সকল খণ্ডকাব্যের খণ্ড সৌন্দর্য্যকে চক্ষুর সন্মুখ হইতে সরাইয়া মহাকাষ্যের বিশালাতনের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করাই गर्छा छ ! : . আমাদের মধ্যে অনেকেই মূল মহাকাব্য পড়েন নাই, কিন্তু সকলেই দূর হইতে সেই মহাকাব্য দেখিয়াছেন ; ভীষ্ম-দ্ৰোণ-কর্ণঅশ্বথামার উন্নত চরিত্র হিমগিরির উন্নত শৃঙ্গের দ্যায় দূর হইতে সকলেরই নেত্রগত হইয়াছে। তথাপি আমরা মহাকাব্যের মাহাত্ম্য বুঝিতে পারি। ইউরোপীয় সমালোচকদের অবস্থা অন্তরূপ। রামায়ণমহাভারতের ইউরোপীয়গণের লিখিত সমালোচনা পড়িয়া আমাদিগকে নিরাশ হইতে হয়। র্তাহারা আমাদের মত দূর হইতে নয়ন ভরিয়া মহাকাব্যের কাব্যসৌন্দর্য্য দেখিতে পান নাই ; নিকটে গিয়াও সমগ্ৰ মহাকাব্য অধ্যয়নের অবকাশ তাহাদের পক্ষে ঘটে না । বিশেষত পৰ্ব্বতে উঠিবার সমর তাহার বনজঙ্গল, তাহার প্রস্তরকঙ্কর, তাহাদিগকে ক্লান্ত ও অবসর করিরা দেয় ; তাহীদের ধৈর্য্য ও অধ্যবসায় পরাস্ত হইয়া যায়। তবে যিনি সৌভাগ্যক্রমে কোন একটা প্রদেশের, কোন একটা অঙ্গের, শোভাদর্শনে সফল হন, তিনি সেই শোভা বর্ণনা করিয়াই আপনার কাজ শেষ হইল, মনে করেন । মহাভারতের অন্তর্গত শকুন্তলায় উপাখ্যান, নলোপাখ্যান, সাবিত্রীর উপাখ্যান প্রভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডকাব্য সৌন্দৰ্য্যগৌরবে গরিষ্ঠ, সন্দেহ নাই ; ইউরোপীয় সমালোচকেরা ঐ সকল উপাখ্যানের প্রশংসা করেন। কিন্তু আমরা জানি, ঐ সকল খণ্ডকাব্যের যতই সৌন্দর্য্য থাকৃ, মহাকাব্যের বিশাল সৌন্দর্য্যের নিকট তাহ স্থান পার না । কিন্তু ইউরোপীয় সমালোচকের লেখনী এই সকল খণ্ডকাব্যের সমালোচনায় ধেমন