পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बछल-नि । [ ২য় বর্ষ, পৌৰ । করিলেও মহাকবির উৎপাদনে সমর্থ হইব আবার যদি কালের স্রোতে মহাকবির উৎনা। তবে কাল নিরবধি ও পৃথ্বী বিপুল ; পত্তি ঘটে,তাহাতেও আমরা বিস্থিত হইব না। ঐ রামে সুন্দর ত্রিবেদী। 8సెe সৎপাত্র ঘরে তখন কেহই ছিল না। নিস্তব্ধ মধ্যায়ু । বাশের ঝাড়ে পায়রা ডাকিতেছে । বৈশাখে গতকল্য বৃষ্টি হইয়া মাটি ভিজিয়াছে ; তাড়াতাড়ি চাষ সারিয়া লইবার জন্ত চাষীরা ব্যস্ত। সাধুচরণের বাড়ীতে যে চাকরটা থাকিত, তাহাকেও তাড়াহুড়া कब्रिग्नां मांटॐ श्रृंॉठांन'ङ्हेब्रांटछ् । সাধু নদীতীরে হাটের উপরে যে নুতন দোকান ফাদিয়া বসিয়াছে, সেই দোকান তদন্ত করিতে গিয়াছিল। বৃদ্ধ মাসী সাধুচরণের স্ত্রী বিমলাকে লইয়া ঘরে দ্বার বন্ধ করিয়া ঘুমের আয়োজন করিতেছিলেন । নিদ্রাবেশে তাহার যখন নিশ্বাস সশব্দে পড়িতে লাগিল, তখন বিমল উঠিয়া সাবধানে দ্বার খুলিয়া দাওয়ায় আসিয়া বসিল । - তাহার দিবানিদ্রার বয়স নহে, সে সবে সতেরোয় পা দিয়াছে। মধ্যাহ্লে কিছুক্ষণমাত্র তাহার অবকাশ। এই অবকাশটুকুকে সে সম্পূর্ণ আপনার করিয়া লইতে চাহে। বাহিরে বাশপাতার মর্শ্বরপৰে, ঘুঘুর ডাকে, স্বপ্ত গ্রামের নিস্তব্ধতায়, তাহার মনের মধ্যে যে রাল্যস্থতি স্বদুরব্যাপী বেদনার করুণক্ষরে বাজিয়া উঠে, তাহা তাহার নিতান্তই নিজের, তাহা তাহার একলার – এইটুকুকে সে সংসারের সমস্ত ব্যস্তত, সমস্ত কৰ্ম্মের ভিড়ের মধ্য হইতে বাচাইয়া রাখিয়াছে—ইতাকে সে মধ্যান্ত্রের প্রখররৌদ্রে মরীচিকার মত মেলিয়া-দিয়া তৃষাৰ্ত্তদৃষ্টিতে চাহিয়া থাকে। বিমলা লিখিতে-পড়িতে শেখে নাই – তাহার সকল বেদন ও সকল সাত্বনাকেই স্বরচিত কল্পনাদোলায় দোলাইয়া মানুষ করিতে হয়, ইহাতে মনের কথাগুলি নিতাস্তই আপনার ধন হইয়া উঠে ; ইহাতে অস্তরের ভাবনাগুলিই সত্য এবং সংসারের ঘটনাগুলি ছায়ায় মত হইয়া দাড়ায় । ইতিমধ্যে পাড়ায় যখন রামায়ণপাঠ হইয়াছিল, সে গুনিয়াছিল। সীতার পাতিব্ৰত্য এবং রামের দাম্পত্যপ্রীতির কথায় বিমলার সমস্ত প্রাণটা ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছিল। এমনি পতিনিষ্ঠা সে-ও লাভ করিবে, তাহার সংসার—তাহার জীবন পতিপ্রেমের দ্বারা এমনি চরিতার্থ হইয়া উঠিবে, ইছাই সে বারবার করিয়া কল্পনা করিয়াছিল। কাব্য এবং সংসার এক, জিনিৰ নহে। অরণ্যে নিৰ্ব্বাসনে, রাজ্যহীন দারিত্র্যে প্রেমকে আঘাত করিতে পারে ন!—কিন্তু