পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 - বঙ্গদর্শন । [ বৈশাখ আজিকে যাহারা আসে বরষাপবন সঙ্গে আনে উপদ্রব করিয়া বহন, দূরে থাকিতেই শুনি মহাকলরব । আগে হতে তাই দ্বার রুধিয়াছি সব ! দুঃখে সুখ । مس۔اے۔معزeچنىھهـہــے বাতাস বাধিতে নারি এ বুকের কাছে, তবু বায়ু আছে বলে প্রাণ মোর বঁাচে ! দূরে হক, আছ তাই হে জীবনস্বামি কোনমতে তবু আজ বেঁচে আছি আমি ! হোলি-পৰ্ব । —4-—— (> ) রোহতাশ্ব-পৰ্ব্বতের সামুদেশ বেষ্টন করিয়া নদের রাজা শোণভদ্র উত্তরাভিমুখ হইয়াছেন। তীরে ভোজপুর-পরগণা। চৈত্রমাসের মধ্যভাগে নবকিসলয়সৌষ্ঠবে এবং প্রফুটিত আম্রমুকুলের সৌরভে প্রকৃতির পরিপূর্ণ যৌবনী উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে। শোণের বিশাল-ধবল সৈকতস্তর ক্ষীণ স্রোতোরেখাটুকুকে রাখিয়া-ঢাকিরা অদৃষ্টপূৰ্ব্ব বিরাটু জীবের কঙ্কালবৎ পড়িয়া আছে। কোথাও দূরে পলাশবনের প্রফুল্ল রক্তিমশোভায় সে বিশদ বৈরাগ্যভাব অন্তৰ্হিত হইয়াছে। দূরে অদূরে প্রায় সৰ্ব্বত্র শাখা-সৰ্ব্বস্ব মহুয়া-গাছের সারি,—সম্প্রতি পত্রবৈভববিচুত হইরাও তাহারা নীরবে পুষ্পরাশি বর্ষণ করিতেছে। পাহাড় এবং নদীর অবকাশপথে যে সব ক্ষুদ্র লোকালয় দেখা যায়, চন্দনপুর ও তিলকপুর নামে গ্রামদুইখানি তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ। ইহার কারণ, দুইঘর বনিয়াদী, সম্পন্ন রাজপুত-জমীদার এই দুই স্থানে বাস করিতেন এবং তাহারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। পূৰ্ব্বে উভয় বংশে আদানপ্রদান চলিত এবং একটা প্রতিযোগিতার ভাব বিদ্যমান থাকিলেও, কুটুম্বে কুটুম্বে মনের মিলের অভাব ছিল না। কিন্তু দুইপুরুষ হইতে দুই বংশে যে বিবাদগ্নি জলিয়া আসিতেছে, কিছুতে তাহ নিৰ্ব্বাপিত হইল না । কথিত আছে, হোলিপৰ্ব্বোপলক্ষে নিমন্ত্রণরক্ষা লইয়া কলহের প্রথম স্বত্রপাত । চন্দনপুরের বাবু বয়ঃকনিষ্ঠ এবং সম্বন্ধে ছোট হইয়াও কুলপ্রথামত অগ্ৰে