পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশন সংখ্যা । ] পনেরো-আনা । (}\రి জন্যই সুংসার ত্যাগ করিয়াছেন, খৃষ্ট আমাদের জন্য প্রাণ দিয়াছেন, ঋষিরা আমাদের জন্য তপস্যা করিয়াছেন এবং সাধুরা মামাদের জন্য জাগ্রত রহিয়াছেন । জীবন বৃথা গেল ! যাইতে দাও । কারণ, যাওয়া চাই। যাওয়াটাই একটা সার্থকতা । নদী চলিতেছে—তাহার সকল জলই আমাদের স্বানে এবং পানে এবং আমনধানের ८क्रउ बादशंज्ञ श्हेब्र यात्र नं। उाईब्र অধিকাংশ জলই কেবল প্রবাহ রাখিতেছে। আর-কোন কাজ না করিয়া কেবল প্রবাহরক্ষা করিবার একটা বৃহৎ সার্থকতা আছে। তাহার যে জল আমরা খাল কাটিয়া পুকুরে আনি, তাহাতে স্নান করা চলে, কিন্তু তাহ গান করে না ; তাহার যে জল ঘটে করিয়া আনিয়া আময়া জালায় ভরিয়া রাখি, তাহ পান করা চলে, কিন্তু তাহার উপরে আলোছায়ার উৎসব হয় না। উপকারকেই একমাত্র সাফল্য বলিয়া জ্ঞান কয়া কৃপণতার কথা, উদ্দেশ্যকেই একমাত্র পরিণাম বলিয়া গণ্য কয়া দীনতার পরিচয় । আমরা সাধারণ পনেরো-আনা, আমরা নিজেদের যেন হেয় বলিয়া না জ্ঞান করি । আমরাই সংসারের গতি । পৃথিবীতে, মাহুষের হৃদয়ে আমাদের জীবনস্বত্ব। আমরা কিছুতেই দখল রাখি না, অীকৃড়িয়া থাকি না, আমরা চলিয়া যাই। সংসারের সমস্ত কলগাম আমাদের দ্বারা ধ্বনিত, সমস্ত ছায়ালোক আমাদের উপরেই স্পন্দমান। আমরা যে ঘূলি, কাদি, ভালবাসি ; বন্ধুর সঙ্গে অকারণ খেলা করি ; স্বজনদের সঙ্গে অনাবশ্যক আলাপ করি ; দিনের অধিকাংশ সময়ই চারিপাশের লোকের সহিত উদ্দেশ্যহীনভাবে যাপন করি, তার পরে ধুম করিয়া ছেলের বিবাহ দিয়া তাহাকে আপিসে প্রবেশ করাইয়া পৃথিবীতে কোন খ্যাতি না ब्राथिब्रां भब्रिब्र-शूक्लिग्नां झाँझे श्ब्रां यांईআমরা বিপুল সংসারের বিচিত্র তরঙ্গলীলার অঙ্গ ; আমাদের ছোটখাট হাসিকৌতুকেই সমস্ত জনপ্রবাহ ঝলমল করিতেছে, অামাদের ছোটখাট আলাপে-বিলাপে সমস্ত সমাজ মুখরিত হইয়া আছে। আমরা যাহাকে ব্যর্থ বলি, প্রকৃতির অধিকাংশই তাই । সূৰ্য্যকিরণের বেশির ভাগ শূন্যে বিকীর্ণ হয়, গাছের মুকুল অতি অল্পই ফল পর্য্যন্ত টিকে । কিন্তু সে র্যাহার ধন, তিনিই বুঝিবেন । " সে ব্যয় অপব্যয় কি না, বিশ্বকৰ্ম্মার খাত না দেখিলে তাহার বিচার করিতে পারি না । আমরাও তেমনি অধিকাংশই পরস্পরকে সঙ্গদান ও গতিদান ছাড়া আর-কোন কাজে লাগি না ; সেজন্য নিজেকে ও অন্যকে কোন দোষ না দিয়া, ছট ফট্‌ না করিয়া, প্রফুল্ল হাস্তে ও প্রসন্ন গানে সহজেই অখ্যাত অবসানের মধ্যে যদি শান্তিলাভ করি, তাহ হইলেই সেই উদ্দেশ্যহীনতার মধ্যেই যথার্থভাবে জীবনের উদ্দেশ্য সাধন করিতে পারি। বিধাতা যদি আমাকে ব্যর্থ করিয়াই স্বষ্টি করিয়া থাকেন, তবে আমি ধন্য কিন্তু যদি উপদেষ্টার তাড়নায় আমি মনে করি আমাকে উপকার করিতেই হইবে, কাজে লাগিতেই হইবে, তবে যে উৎকট ব্যর্থতার সৃষ্টি করি, তাহ আমার স্বকৃত। তাহার জবাবদিহী আমাকে করিতে হইবে। পরের