পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] হিন্দুরসায়নের ইতিহাস। 6 Yet ക്ഷ ಸ್ಥಳ করি, এদেশে এরূপ গ্রন্থের সমালোচনা করিবার সময়ও আসে নাই । গ্রন্থ এখনও অসম্পূর্ণ বলিয়া নহে, গ্রন্থের অভিধেয় বিষয়ও প্রায় অজ্ঞাত। হিন্দুরসায়ন বলিলে কতখানি কি বুঝিব, তাহাই জানা নাই। এই গ্ৰন্থই এ বিষয়ের একমাত্র পুস্তক, বলিতে গেলে প্রথম পুস্তক । তথাপি গ্রন্থকারকে ধন্ত না বলিয়া খুীকা যায় না । তিনি স্বদেশীয় বলিয়া নহে, প্রতিপাদ্য বিষয়ের সহিত আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলিয়া নহে ; গ্রন্থকার বিদেশীয় হইলেও, বিষয় অন্তদেশসংক্রান্ত হইলেও তাহাকে ধন্ত বলিতাম । বাস্তবিক বিজ্ঞান-অভ্যাস র্তাহারই সার্থক হইয়াছে,— যাহার জীবনে ও প্রত্যেক কার্য্যে বিজ্ঞানের প্রভাব আধিপত্য করে। এই গ্রন্থের প্রতিপৃষ্ঠায় বিজ্ঞানশিক্ষার ফলস্বরূপ সংযতভাব দেখিতে পাই। প্রত্যেক পৃষ্ঠাতেই রাসায়নিকের চিরপ্রসিদ্ধ ধৈৰ্য্যের নিদর্শন পাই। রাসায়নিক বখন কোন অজ্ঞাত জড়ের বিশ্লেষণে নিযুক্ত হন, বখন পুনঃপুন স্বগ্নতুলাতে প্রত্যেক দ্রব্য সাবধানে উন্মান করিয়া, প্রত্যেক যোজ্য পদার্থের যাথার্থ্য সাবধানে নিরূপণ করিয়া ধীরে ধীরে একের পর অন্তটি অমুসন্ধান করেন, তখন কোন অদীক্ষিত আগন্তুকের মনে হইতে পারে, রাসায়নিকের পক্ষপাত নাই, তাহাতে ব্যক্তিসংস্পর্শ নাই, অজ্ঞাত জড়ে কি পাইয়াছেন, কি পান নাই, অবিচলিতচিত্তে তাহ লিপিবদ্ধ করাই তাহার কার্য্য। বস্তুত তুলাদণ্ড ব্যবহার করিতে করিতে তিনি निएज७ छूणांम७चक्र” इहेब्र यांन। मैडि হাসিকের কাজও তুলাধারণ। ঐতিহাসিকের রাসায়নিক হওয়া আবশ্যক। যিনি ঐতি: হাসিক হইতে ইচ্ছা করিবেন, তিনি জনসমাজের সাধারণ ইতিহাস রচনা করুন, সম্প্রদায়ের মতামত বিশ্লেষণ করুন, রাজাপ্রজার সম্বন্ধ আলোচনা করুন, তাহার রাসায়নিকের ধীরতা ও তুলাদণ্ডব্যবহারে অভ্যাস থাকা অবিশুক । যদি বিজ্ঞান ও অ-বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্যের কারণ বলিতে হয়, তাহ হইলে দেখা যায়, বিজ্ঞানের মাৰ্গই বিজ্ঞানকে অন্ত শাস্ত্র হইতে ভিন্ন করিয়া তুলিয়াছে। যে ইতিহাসে বিজ্ঞানের এই মার্গ দেখিতে না পাওয়া যায়, তাহাকে ইতিহাস না বলিয়া, প্রাচীনদিগের ভাষায় ময়ুরচিত্রক বলা যায়। e উপস্থিত গ্রন্থে রাসায়নিকের ধীরতা, তুলাব্যবহারে অভ্যাস এবং বিজ্ঞানের মাৰ্গ, সকলেরই পরিচয় পাওয়া যায়। সেদিন এই ‘বঙ্গদর্শনে’ই অত্যুক্তি’নামক এক প্রবন্ধে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের অত্যুক্তির সংবাদ পাঠ করিতেছিলাম। দক্ষ লেখক স্পষ্ট প্রদর্শন করিয়াছেন যে, প্রাচ্য বাস্তবের বাহিরে যায় বটে, কিন্তু যাহিরে গেলে, ‘যাইতেছে’ জানাইতে ভুলে না। বাস্তবিক, যাহারা সত্যের জয়কীৰ্ত্তন করিতে কখন বিরত হন নাই, সেই প্রাচীন আৰ্য্যগণ যখন অত্যুক্তি করিতেন,তখন সঙ্গে সঙ্গে.প্রকাশও করিতেন যে, তাহ অত্যুক্তি। এ কথা স্বীকার না করিলে তাহাদিগকে প্রবঞ্চক, মিথ্যাবাদী, ভণ্ড প্রভৃতি বিশেষণে বিশেষিত করিতে হয়। " এই সামান্ত কথাটা বিস্তৃত হইয়া প্রতীচ্যের প্রাচ্যদিগকে সময়ে-অস