পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্য। ] হিন্দুরসায়নের ইতিহাস। Q&Q -ബ= করিবে। অমরকোষে স্রোতোইঞ্জনের অপর নাম সীবীরাঞ্জন ও কপোতাঞ্জন। অতএব এই মতে স্রোতোহঞ্জন ও সেীরাঞ্জন একই বস্তু, এবং উহার কপোতবর্ণ। রসা গ্রনের নাম রসগর্ভ এবং তাক্ষ্যশৈল। অতএব রসাঞ্জন পীত বা হরিতবর্ণ খনিজবিশেষ। কুসুমাঞ্জনের অপর নাম রীতিপুষ্প। রীতি অর্থে পিত্তল, পুষ্প অর্থে মল। এইরূপ অর্থ অমরের টীকাকার রঘুনাথাদি করিয়াছেন । কোন টীকাকার রসাঞ্জনের নাম (দার হরিদ্রার) কথোদ্ভব এবং তুখ বলিয়াছেন। কালিকাপুরাণে (বৈদ্যকশন্ধসিন্ধু) অঞ্জন ষড় বিধ-সেীবীর, জাম্বল, ময়ূর ও শ্রীকর ভুখ, দৰ্ব্বিক, মেঘনীল। স্রবংরূপ (আঠার ন্যায় শাস্ত্ৰগ্ৰাব ?) সেীবীর, জাম্বল প্রস্তর, ময়ূর ও শ্রীকর রত্নবিশেষ, মেঘনীল তৈজস, স্কৃততৈলাদিযোগে তাম্রাদিতে দীপশিখায় জাত দৰ্ব্বিকা । এই সকল মত হইতে বুঝা যাইতেছে, শুধু একালে নহে, পূৰ্ব্বকালেও পাঁচটি অঞ্জনসম্বন্ধে গোলযোগ ছিল । নীলাঞ্জন= তুখাঞ্জন, এবং পুষ্পাঞ্জন = পিত্তলমল (calx of brass) রাখিলে, সেীবীর, স্রোত ও রসাজন থাকে। অমরের মতে সেীবীর ও স্রোতোংখন এক এবং আকৃষ্ণরক্তবর্ণ। র০-র •-সমুচ্চয়মতে সেীবীরাঞ্জনের বর্ণ ঐ । ডাঃ-উদয়চাঁদ-কর্তৃক উদ্ধৃত মদনপালেও উহা কৃষ্ণবর্ণ। স্রোতোহঞ্জন শিখরাকার ( pyramidal ), ভঙ্গে নীল বা কৃষ্ণ এবং কবে লাল। অতএব galenaহইতে পারে না, savstibnité sors oitta i stibniteaz উপরিভাগ effzð Oxides g (Cervantite) পরিণত হয়। শেষোক্ত পদার্থ আপীত বা আরক্ত । এই সকল বিষয় স্মরণ করিলে দেবীর ও শ্লেীতোহঞ্জন,উভয়কেই stibniteএর ভেদ বলিয়া মনে হয় । ডাঃ উদয়চাঁদ লিথিয়াছেন, রসাঞ্জন দারুদরিদ্রার কাথ, এবং তাহার চলিত নাম রসোত । কিন্তু বাজারে যাহা রসোত নামে বিক্রয় হয়, তাহা প্রায়ই কৃষ্ণবর্ণ। উহাতে লৌহ আছে। দারুহরিদ্রার কাথ দুগ্ধের সহিত মিশাইয়া ঘন করিলে পাণ্ডুরবর্ণ হয় । হয় ত লৌহপাত্রে রাখিয়া রসোত প্রস্তুত হয় । দারুহরিদ্রার কাথ অস্নাত্মক । কিন্তু এতদ্বারা রসাঞ্জনের নাম তাক্ষ্যশৈল হইবার কারণ পাওয়া যায় না । অন্তপক্ষে, বাজারে রসাঞ্জন নামে Stibnite বিক্রয় হয় । যাহা হউক, এ সকল তত্ত্ব ডাঃ রায় স্থির করিবেন। দেখিতেছি, পৌরাণিক উক্তির প্রতি छां: ब्रांरब्रज्ञ श्रांटनो श्रांझ नोहे । ब्र०-ब्र०সমুচ্চয়ে স্বর্ণ পঞ্চবিধ বলা হইয়াছে,—প্রাকৃত, সহজ, বন্ত্রিসস্তুত, খনিসম্ভব ও পারদজাত। এ বিষয়ে পুরাণে কি আছে, জানি না। ডাঃ রায় সে অংশটুকু উদ্ধৃত করেন নাই। যাহাই থাকুক, এইপ্রকার উক্তির মধ্যে সত্য প্রায়ই লুক্কায়িত থাকে। যদি স্বর্ণের উক্ত পঞ্চবিধ উৎপত্তি শুনি, তাহা হইলে মনে হয় co, &lto impure, of native, বহিwife obtained by melting scnfé ore, «fings quarried from mine, পারদwité obtained by dissolving grains of gold (as among sand) in স্বর্ণের এইপ্রকার বিভাজন আধুনিক-বিজ্ঞানসন্মত না হইতে পারে। mercury |