পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミ 2 ुष्क्राङ्गुब्रि । [ ২য় বর্ষ, মাঘ । কিন্তু পৌরাণিক বলিয়া প্রথম তিনটি উড়াইয়া দিতে পারা যায় না। পারদজাত স্বর্ণ দ্বারা নিকৃষ্টধাতুর স্বর্ণে পরিণতি মনে করিবার বিশেষ কারণ পাইলাম না । দেশীয় অশিক্ষিত স্বর্ণকারেয়া পারদদ্বারা এখনও গিণ্টি করিয়া থাকে, এবং মৃত্তিকবালুক-মিশ্রিত স্বর্ণকণা পারদে দ্রব করিয়া স্বর্ণ প্রস্তুত করিতে দেখা গিয়াছে। তেমনই রূপা সহজ, খনিজ ও কৃত্রিম বলিলে পুরাণের অত্যুক্তি মনে আসে না । বস্তুত যাহারা বহুকাল হইতে সুবর্ণাদি ধাতুর অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া আসিতেছিলেন, র্তাহার এক ধাতুর অন্যে পরিণতি বিশ্বাস করিতে পারিতেন কি ? অন্তত সবিশেষ প্রমাণ না পাইলে আয়ুবেদে এই বিশ্বাসের অস্তিত্বে সন্দেহ থাকে। কোন কোন পুরাণে ও তন্ত্রে সুবর্ণ প্রস্তুত করিবার উপদেশ আছে বটে, কিন্তু সেখানে সুবর্ণ অর্থে কৃত্রিম সুবর্ণ (imitation gold ) ffski azt fi cort বুঝিতে হইবে না ত ? ভাবপ্রকাশে গন্ধকের পৌরাণিক উৎপত্তিবর্ণনায় দেখা যায়, “পূৰ্ব্বকালে দেবী শ্বেতদ্বীপে ক্রীড়া করিতে করিতে রজসাপ্লত বস্ত্র ক্ষীরসমুদ্রে ধৌত করিয়াছিলেন। তাহাতেই গন্ধকের উৎপত্তি হইয়াছে।” শুনিতে এই উৎপত্তি ঠিক পৌরাণিকী কথা বলিয়া মনে হয়। র•-র•সমুচ্চগ্‌মতে গন্ধক ত্রিবিধ—রক্ত,পীত, শ্বেত। তন্মধ্যে রক্তবর্ণ উত্তম,পীতবর্ণ মধ্যম, শ্বেতবর্ণ অধম । ভাব প্রকাশ আর-এক ভেদ করিয়াছেন,—কৃষ্ণবর্ণ। গন্ধক বলিলে বদি বাজারের আজকালকার Sulphur মনে করি, তাহ হইলে গন্ধকের এই চতুর্ভেদ পৌরাণিকী অত্যুক্তির মধ্যে ফেলিতে হয়। কিন্তু পূৰ্ব্বকালে শাস্ত্রকারগণ যে আকারের বা ৰে বর্ণের গন্ধক দেখিতে পাইতেন, নিশ্চয়ই তাহাই লিখিরা গিয়াছেন। গন্ধকের সম্ভব তিনটি বলা যাইতে পারে—(১) আগ্নেয়গিরির নিকটবৰ্ত্তী স্থানে রক্তবর্ণ, (২) হিস্কুল, মাক্ষিক প্রভৃতি গন্ধকময় উপধাতুর খনিতে, এবং (৩) উষ্ণ ও গন্ধক প্রস্রবণের জলে । শেষোক্ত দুই স্থানে পীত ও শ্বেতবর্ণ গন্ধক পাওয়া যার । তেমনই শিলাজতু প্রভৃতির সহিত মিশ্রিত হইলে গন্ধক কৃষ্ণবর্ণ হয় । অতএব দেবীর বস্ত্রধাবন হইতে গন্ধকের উৎপত্তি অর্থে প্রস্রবণের জলে উৎপত্তি । তবে,শ্বেতদ্বীপ অর্থে নেপলস কি বেলুচিস্থান, তাহা পুরাণবিদের বলিতে পারেন। এ সকল স্থলে পুরাণকারের পক্ষসমর্থন নহে। তিনি বর্তমান নাই, তাহার কি অভিপ্রায় ছিল, তাহা কেবল অনুমান করিয়া লইতে হয়। অতএব তাহাকে ‘বিকল্পের ফল’টুকু দিতে আপত্তি হইতে পারে না। হিন্দুরসায়নের শেষ অধ্যায়ে ডাঃ রায় গভীর দুঃখের সহিত এদেশের বিদ্যা ও কলার অবনতি বর্ণনা করিয়াছেন । ১১শ কি ১২শ শতাব্দী হইতে এদেশে বিজ্ঞানের মৃতাবস্থা চলিতেছে। তিনি মনে করেন, বৌদ্ধধৰ্ম্মের অবসানের পর ব্রাহ্মণ্যধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠার সহিত বিদ্যার রুদ্ধগতি জড়িত। তাহার অনুমানে পৌরাণিক ধৰ্ম্মের বিস্তারে বিদ্যা ও কলা.জাতিগত এবং কলা অশিক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে আবদ্ধ হওয়াতে এই শোচনীয় দশ উপস্থিত হই য়াছে। কিন্তু এই দশার কারণ পুরাণগ্রসার