পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] সার সত্যের অালোচনী । 4@建 ব্যাপার তাহকে না স্বীকার করিবে ? কিন্তু তা ছাড়, দুইই তলে-তলে শক্তির ব্যাপার, এ কথাটিও স্বীকার কর চাই—ত নহিলে নিস্তার নাই । প্রধান দুইটি জ্ঞান-ঘ্যাসা পদার্থ, রেখা এবং সমতা, শক্তির সহিত কিরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধস্থত্রে জড়িত—এই তো তাহ কষামাজ করিয়া দেখা গেল ; অতঃপর, দুইই বাস্তবিক সত্তার সহিত কিরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধস্থত্রে জড়িত, তাহা কষিয়া-মাজিয়৷ দেখা যা’ক । ইউক্লিড, র্তাহার জ্যামিতির চতুর্থ প্রস্তাবের গোড়াতেই বলিতেছেন—“অমুক ত্রিভুজকে অমুক ত্রিভুজের গাত্রে যোজনা (apply) কর ।” তুমি বলিবে যে, ইউক্লিড, ত্রিভুজ-দুটাকে মনে মনে পরস্পরের সহিত ধোজন করিতে বলিতেছেন । আমিও उiशंशे दक्षिा । fágo-ooto sf Jos (rigid body) বলিয়া ভাবন করা না যায়, তবে মনেমনেও সে-ফুটাকে গায়ে-গায়ে মিলাইয়া মাপিয়া দেখা কাহারে কর্তৃক সম্ভাবনীয় নহে। /ー ক-গোলাটিকে তুমি G) মনে মনে ক-স্থান হইতে খ-স্থানে সরাইয়া রাথিতে পার—ইহা কেহই অস্বীকার করিতেছে না ; কিন্তু কগোল আকাশের ষে স্থানটি ভরাটু করিয়া রহিয়াছে, সেই গোলাকৃতি শূন্ত স্থানটিকে (Globular space-so) NCA wra Q-gton সরাইয়া রাখো দেখি—কখনই তাহা তুমি পারিবে না। অতএব এটা স্থির যে, ধেসময়ে আমি মনে মনে দুই বস্তুকে পরস্পরের গায়ে-গায়েfoto মাপিয়া দেখিতে ধাই, কিন্তু আবার এটাও বলি ষে, সে সময়েও মাপ্য বস্তু ঘটাকে দৃঢ়বন্ত (rigid · body ) বলিয়া না ভাবিলে চলিতে পারে না ; কেন না; বায়ুর ন্তায় উড়া বস্তু-দ্বরকে, অথবা, জলের স্তায় তরল বস্তুৰকে মনেমনেও—কল্পনাতেও—গায়ে-গায়ে মিলাইয়া মাপিয়া দেখা কাহারে কর্তৃক সম্ভাবনীর নহে। ফলে, সমস্ত বস্তুই বদি বায়ুর ন্তায় অদৃঢ় হইত, তাহ হইলে কাহারে মনোমধ্যে “জ্যামিতিক সমতা” বলিরা একটা ভাব বদ্ধমূল হইতে পারা দূরে থাকুকু— দাড়াইতেই পারিত না,ইহা দেখিতেই পাওয়া যাইতেছে । কাজেই বলিতে হইতেছে যে, জ্যামিতিক সমতা দৃঢ়বস্তুর সত্তার সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধস্থত্রে জড়িত । এ সম্বন্ধে আরএকটি বিষয় দ্রষ্টব্য এই যে, “একটা বস্তু” যা “একটি বস্তু বলিতে দৃঢ়-বস্তুই বুঝায়— অদৃঢ়-বস্তু বুঝায় না। তার সাক্ষী, দৃঢ়-বস্তুর ব্যাল। আমরা বলি “একটি টাকা” “একটা লাঠি” ইত্যাদি, অদৃঢ়-বস্তুর ব্যালা বলি “একঘাট জল” “একঘর ধোয়া” ইত্যাদি । শেষোক্তের ব্যtলা “একটি জল” বা “একটা ধোঁয়া” এরূপ বাক্য প্রয়োগ করিলে তাহার অর্থ খুজিয়া পাওয়া ভার হয়। ভার হয় কেন ? তাহার কারণ কি ? তাহার কারণ আর-কিছু না—অদৃঢ়-বস্তুর আয়তনের পরিমাণ স্থির রাখিতে হইলে তাহাকে দৃঢ়বস্তু দিয়া ঘেরাও করা ব্যতিরেকে অন্ত কোনো উপায়ে তাহা সম্ভাবনীয়' নহে। আমরা যেমন বলি “একটি টাকা”, তেমনি বলি “একটি রেখা” ; ইহাতেই ভাবে বুঝ। যাইতেছে যে, রেখা বলিতে আমরা দৃঢ়রেখাই বুঝি। -