পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন। [২য় বর্ষ, মাঘ । ক্রমে সব হতে যত দূরে গেলে ভাসি’ তত মোর কাছে এলে ! জানি না কি করে’ সবারে বঞ্চিয়। তব সব দিলে মোরে! মৃত্যুমাঝে আপনারে করিয়া হরণ আমার জীবনে তুমি ধরেছ জীবন, আমার নরনে তুমি পেতেছ আলোক— এই কথা মনে জানি’ নাই মোর শোক । জীবনলক্ষী। সংসার সাজায়ে তুমি আছিলে রমণি আমার জী এন আজি সাজাও তেমনি নিৰ্ম্মল সুন্দর-করে । ফেলি’ দাও বাছি? যেথা আছে যত ক্ষুদ্র তৃণকুটাগাছি— অনেক আলস্যক্লান্ত দিনরজনীর উপেক্ষিত ছিল্লখও যত । আন নীর, সকল কলঙ্ক আজি করগো মার্জন, বাহিরে ফেলিয়া দাও যত আবর্জন । যেথা মোর পূজাগৃহ নিভৃতমন্দিরে সেথায় নীরবে এস দ্বার খুলি ধীরে,— মঙ্গলকনকঘটে পুণ্যতীৰ্থজল সযত্নে ভরিয়া রাখ, পূজাশতদল স্বহস্তে তুলিয়া আন। সেথ দুইজনে দেবতার সম্মুখেতে বসি একাসনে । বুদ্ধদেবের পাখী। ( ফরাসী কবি কম্পে হইতে ) লভিল সাত্বনা ঘবে বিশ্বজন তার উপদেশে পশিলেন বুদ্ধদেব মহাঘোর অরণ্য-প্রদেশে । “নিৰ্ব্বাণ” তাহার এবে একমাত্র চিন্তার বিষয়, বসিলেন তারি ধ্যানে স্বৰ্গপানে তুলি বাহৰয়। বহুদিন বসি’ এই স্থপবিত্র ধ্যানের আসনে যোগানদে মগ্ন তিনি অরণ্যের গভীর বিজনে।