পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& bre এবং পতঞ্জলি যে ঐ সময়ে প্রাজত্বত, তাহ তাহাদের গ্রন্থে গ্রীকৃ যবন এবং শকদের তৎসাময়িক যুদ্ধাদির কথার উল্লেখে প্রমাণিত। কিন্তু দেবলের তখনও প্রতির্মাপূজা প্রবৰ্ত্তিত করাইতে পারেন নাই। প্রমাণ মহাভারত। ঐ গ্রন্থে ধৰ্ম্মের অনুশাসনে সকলপ্রকার যাগযজ্ঞের কথা আছে, কিন্তু কোথাও, দৃষ্টান্তচ্ছলেও, প্রতিম বা মন্দির গড়িবার কথা নাই। প্রতিমাপূজার ব্যবস্থ৷ না থাকিলেও, কালোচিত কল্পনায়, নুতন পুরাণ এবং নুতন দেবতা স্বল্প হইতেছিলেন। বৌদ্ধবিপ্লবেই হউক, অথবা কালমাহাষ্ম্যেই হউক, বৈদিক বন্ধন শিথিল হইয়৷ পড়িয়াছিল। কেবলমাতৃ বৈদিক যজ্ঞে আর কুলাইল না বলিয়, এবং সাধারণের মন বৌদ্ধ পুরাণ এবং অনুষ্ঠানের দিকে আকৃষ্ট হইতেছিল বলিয়া, বৈদিক ভিত্তিটা উপলক্ষ্যমাত্র করিয়া নুতন পৌরাণিক আখ্যায়িক রচিত হইতে লাগিল। এইজন্তই রামায়ণাদি শূদ্রাদি সৰ্ব্বজাতির পাঠ্য করির রচিত ; এইজন্যই দেখিতে পাই যে, বেদেয় সহিত মহাভারতের কোন প্রকৃত সংস্রব না थाकिरण७, यद९ भशङीब्रटङ नूठन श्रांथाয়িকা এবং আদর্শের স্বষ্টি হইলেও, মহাভারত পঞ্চম বেদ হইয়া উঠিলেন। এমন কি, তুলাদণ্ডে বেদচতুষ্টয়ের সহিত ওজনে, মহাতারত অধিক ভারি হইয়াছিল। রাজনৈতিক কারণে যে মিলন প্রার্থনীয় হইয়াছিল, তাহার সুবিধা এখং অবকাশ হইল। মিলনস্থাপন কfয়তে হইলে, পরের সামগ্রী কিছু লইতে হয় ; তাই বুদ্ধমূৰ্ত্তিই হিন্দু শিব হইয়াছিলেন । বৌদ্ধদের মধ্যে বঙ্গদর্শন । [ ২য় বর্ষ, কাঞ্ছন । পৌত্তলিক অনুষ্ঠান প্রবর্তিত হইবার ধছপূৰ্ব্বে, যখন বুদ্ধশিস্যেরা মহাশূন্তের ধ্যান করিতেন, তখনও ধ্যানবলে অমানুষিক বা অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা লাভ হয় বলির উ*হাদের বিশ্বাস জন্মিয়াছিল। নিরবলম্ব ধ্যান এবং সাধন হইতে বড়-কিছু পাওয়া গেল না দেখিয়া, বৌদ্ধের ভাবিয়াছিলেন যে, বুদ্ধদেব অতি প্রাকৃত ক্ষমতায় সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন। সেই ক্ষমতার লোভে ইহারাও যোগ ধরিলেন, এবং বুদ্ধদেবকে যোগস্থ ঈশ্বর করিলেন। হিন্দুরাও সেই সময়ে কালের প্রভাব অতিক্রম করিতে পারেন নাই ; র্তাহারাও যোগে অতিপ্রাকৃত শক্তি বিকসিত হয় বলিয়া বিশ্বাস করিয়াছিলেন। হিন্দুদিগের যোগশাস্ত্রের উপর যে বৌদ্ধবিশ্বাসের প্রভাব ছিল, তাহা ঐ গ্রন্থের সুত্রেই পাওয়া যায়। প্রয়োজন বোধ করিলে পাঠকের ডাঃ রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সোসাইটির ছাপ যোগশাস্ত্রের গ্রন্থ পড়িতে পারেন । যোগবলের অনেক ক্ষমতার মধ্যে বৌদ্ধের এ কথা বিশ্বাস করিতেন যে, যোগসাধন করিলে কোন হিংস্ৰজন্তু অনিষ্ট করিতে পারে না ; এমন কি, বিষাক্ত সৰ্পের দংশনেও ক্ষতি হয় না। নিৰ্ব্বাণ ধ্যান করিলে বাসনার দংশন হইতে মুক্তিলাভ করা যাইত ; এখন তাহার পরিবর্তে প্রত্যক্ষ শারীরিক ফলে বিশ্বাস জন্মিল। প্রতিযোগিতাতেই হউক অথবা মিলনের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়াই হউক, হিন্দুগণ, যোগীশ্বররুপে মহাদেবের নাগবৃেষ্টিত ধ্যানস্থ মূৰ্ত্তি স্থাপন করিলেন। যাহাঁর এই যুগের যুদ্ধ এবং শিবের প্রস্তরমূৰ্ত্তি দেখিয়াছেন, তাহারা নিশ্চয়ই এই সিদ্ধান্তুষ্ট্র সত্য