পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার সত্যের আলোচন।। আছি এবং অাছে 4 এই সময়ে পথের কতকগুলি প্রয়োজনীর দ্রব্য সংগ্রহ করা আবখ্যক বিবেচনায় বিগত দুইবারে সত্তা, শক্তি, জ্ঞান এবং আনন্দের মধ্যে কিরূপ ঘনিষ্ঠ একাত্মভাব, তাহ। বিধিমতে পরীক্ষা করিয়া দেখিয়া ঐ তিনটি প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাথেয়-সম্বলের সহিত গাটরী বাধিয়া লওয়া হইয়াছিল। এক্ষণে প্রয়াণ-পথের কোন স্থান হইতে কোন স্থানে আসিয়াছি এবং কতদূর অবধি গিয়া কোন স্থানে তাবু গাড়িতে হইবে, তাহ একবার পর্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখা আবশুক । পাঠকের স্মরণ থাকিতে পারে যে, দ্রব্যাদি-সংগ্রহের জন্ত মাঝ-পথে থামিয়া দাড়াইবার পূৰ্ব্বে আমরা আত্মজ্ঞানের দুই বিভিন্ন মূৰ্ত্তি পৃথক পৃথক রূপে পৰ্য্যালোচনা করিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম। সে দুই মূৰ্ত্তি হ’চ্চে—ভাব-মূৰ্ত্তি এবং সত্য-মূৰ্ত্তি। কিন্তু সঙ্কল্পিত পৰ্য্যালোচনা-কার্য্যের অৰ্দ্ধেকটা শেষ হইতে-নী-হুইতেই মাঝ-পথের ব্যাপারে মাউক পড়িয়া গেলাম। আত্মজ্ঞানের ভাবমূৰ্ত্তি কিরূপ, তাহায় আলোচনা আমরা যথাসাধা করিয়া চুকিয়াছি; তা বই, তাহার সত্যমূৰ্ত্তি কিরূপ, সে সম্বন্ধে এখনো পৰ্য্যন্ত একটি কথারও উল্লেখ করি নাই । আমরা দেখাইয়াছি যে, আত্মশক্তি খাটাইয় আত্মজ্ঞানের ভাদুৰ্ত্তি উদ্ভাবন করা যাইতে পুরে, জায়, তাহার সাধনপদ্ধতি হ’চ্চে যোগশাস্ত্রের .x \రి উপদেশানুযায়ী ধারণা, ধ্যান এবং সমাধি । এ বিষয়ে যোগশাস্ত্রের প্রথম মন্তব্য এই যে, “ষাদৃশী ভাবনা যন্ত সিদ্ধিৰ্ভবতি তাণী” । তুমি যেরূপ বিষয়ের প্রয়াসী, তোমার সিদ্ধিও সেইরূপ হইবে –কিন্তু অমনি হইবে না, তাহার জন্ত সাধন করা চাই । সাধন যেরূপে করিতে হইবে, তাহাই তোমাকে বলিয়া দেওয়া হইল । দ্বিতীয় মন্তব্য এই যে, নীচের নীচের ভূমি মাড়াইয়া উচ্চোচ্চ ভূমিতে সংযম প্রয়োগ করা (অর্থাৎ ধারণা, ধ্যান এবং সমাধি প্রয়োগ করা ) কর্তব্য। ভূমি-বিভাগ কিরূপ, তাহ। যদি জিজ্ঞাসা কর, তবে তাত মোটামুটি এইরূপ :– अर्थश ड्रभि श्रृथिशैं-उरु; विउँौग्न अशতত্ত্ব ; তৃতীয় অগ্নি-তত্ত্ব; চতুর্থ বায়ু-তত্ত্ব ; পঞ্চম আকাশ-তত্ত্ব ; ষষ্ঠ মনস্তত্ব ; সপ্তম অহঙ্কার-তত্ত্ব ; অষ্টম বুদ্ধি-তত্ত্ব ; নবম প্রকৃতি । যোগশাস্ত্রের উপদেশ এই যে, পৃথিবী-তত্ত্ব হইতে যাত্রারস্ত করিয়া নীচে - নীচের ভূমি একে একে মাড়াইয়া উপরের উপরের ভূমিতে আত্মশক্তি বা সংঘ প্রয়োগ কর ; অর্থাৎ, যে পথ দিয়া প্রকৃতির ক্রমবিকাশ হইয়াছে, সেই পথ দিয়া প্রকৃতি ভেদ করিয়া উচ্চে ওঁঠে উচ্চে উঠিয়া পুরুষে— স্বরূপে—আত্মাতে-স্থিতি কর । নীচের নীচের ভূমি মাড়াইয়া উপরের