পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&శి

  • বঙ্গদর্শন ।

[ ২য় বর্ষ, কাঙ্কল । তৃেছি যে, এখন আমি আছি আমার এখনকার চিন্তু আমার এখনকার অস্তিত্বের এ যেমন প্রমাণ, তেমনি, আমার. সম্মুখে আমি ঐ যে উদ্যান দেখিতেছি, ঐ উস্তানের রশ্মি-প্রতিক্ষেপণী ক্রিয়া ( অর্থাৎ ঐ উদ্যান স্থর্যরশ্মি প্রতিহত করিয়া আমার চক্ষু-গোলকে যে বিচিত্র বর্ণ ক্ষেপণ করিতেছে—সেই প্রতিক্ষেপণী ক্রিয়া ) উস্তানের অস্তিত্বের প্রমাণ । প্রভেদ কেবল এই যে, যখন আমি ঘরে ঢুকিয়া জানালা বন্ধ করিব, তখন উদ্যান আমার নিকটে অদৃশু হইয়া যাইবে, আর, সেই সঙ্গে “উদ্যান আছে” এ কথাটির সাক্ষাৎ প্রমাণ আমার সন্মুখ হইতে সরিয়া পালাইবে। পক্ষান্তরে, আমার জগরিত অবস্থার মুহূৰ্ত্তপরম্পরায় আমার মনোমধ্যে একটার পর আরেকটা চিন্তা উদিত হইতেছে এবং উদিত হইতে থাকিবেও ; আর যখনই যে চিস্তা উদিত হইতেছে, তখনই তাহ “এখন আমি আছি” এই কথাটির প্রমাণ যোগাইতেছে। এখানে স্রষ্টব্য এই যে, “এখন আমি চিন্তা করিতেছি, অতএব এখন আমি আছি” এবং “এখন উদ্যান আমার দৃষ্টি আক্রমণ করিতেছে, অতএব এখন উস্তান আছে”, এই দুই কথার মাঝখানকার দুই অতএবের মূল্য নিক্তির ওজনে সমান। তবে কি না, চিন্তা নিরবচ্ছেদে একটার পর একটা মুহুমুহু মনোমধ্যে উপস্থিত হইতেছে ; উষ্ঠান কখনো বা আমার দৃষ্টিক্ষেত্রে উপস্থিত, কখনো বা অনুপস্থিত। যদি আমি অষ্টপ্রহর অনিমেষ-চক্ষে উদ্যানের প্রতি চাহিয়া থাকি, তাহু হইলে—আমি । আছি এবং উষ্ঠান আছে—দুইই এক সঙ্গে আমার মনকে ক্রমাগতই মাকৃড়িয়া ধরিত্ন থাকিৰে। উষ্ঠানটি যখন মেঘাবৃত অমাৰ্মিশার ७धंश्रक्लि अककांरब्र श्रांछ्ब्र एहेब्रा अमृश इहेब्र যায়, তখন তাহার অস্তিত্বের সাক্ষাৎ প্রমাণ সেই সঙ্গে তিরোহিত হয়—ইহা কাহারে। অবিদিত নাই ; ইহাও তেমনি কাহারে অবিদিত নাই যে, স্বযুপ্তির মন্ত্রগুণে যখন আমার জ্ঞানের ক্রিয়ালুক্তি একেবারেই বন্ধ হইয় যায়, তখন সেই সঙ্গে আমার অস্তিত্বের সাক্ষাৎ প্রমাণ অস্তধান করে। স্বযুপ্তির অবস্থায় যখন আমার মনের কপাট বন্ধ থাকে, তখন “আমি আছি” বা “আমি নাই” বা “আমি আছি কি নাই, তাহ জানি না” এই তিন রকমের তিন কথার কোনোটিই আমার মনে প্রবেশ পাইতে পারে না। আমার সে অবস্থায় “আমি আছি” ঘুচিয়া যায়—অথচ আমার প্রতি লক্ষ্য করিয়া দর্শক বলে যে, “ইনি আছেন—কিন্তু নিদ্রায় নিমগ্ন ।” ইনি যে আছেন, তাহার প্রমাণ কি ? “ইনি আছেন” এ কথা তুমি বলিতেছ—আমি তো বলিতেছি না। আমার অস্তিত্বের প্রমাপ তোমার কথায় হইতে পারে না । তোমার মুখের কথা বা মনের ভাবনা বা জ্ঞানের ক্রিয়ামূৰ্ত্তি তোমার অস্তিত্বেরই প্রমাণ ; ত৷ बहें, তাহা আমার অস্তিত্বের প্রমাণ নহে। তবেই হইতেছে যে, আছে’র সাক্ষাৎ প্রমাণ যেমন সময়ে সময়ে জাগিয়া উঠে এবং সময়ে সময়ে অন্তৰ্হিত হয়, আছি’র প্রমাণও সেইরূপ পরিবর্তনশীল । অতএব, এ কথা যদি সত্য হর যে, পরিবর্তনশীল ঘটনাবলীর মূলে অপরি বৰ্ত্তনীয় একটা-কিছু থাক চাই, তবে আছি এবং আছে দুয়েরই মুলে তাহ থাকিবার কথা;এইজন্ত জ্বয়ের সন্ধিস্থানেই তাহ অম্বেৰিতব্য।