পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] শণীর প্রণয়েয় উপযোগী হওয়া চাই, তার পরে আনার এলিজাবেথ ব্যারেটের মত কবিকুলের শশী আসিয়া মিল চাই,—র্তবেই এই “জীবনমরণময় মুগম্ভীর কথা”, না, এই অনন্তজীবনময় মুগম্ভীর সুমধুর কথা ব্যক্ত হইতে পারে। 翰 কবি বলিতেছেন যে, জীবনে একটিবারমাত্র জীবনের সমস্ত কৰ্ম্ম, সমস্ত অধ্যবসায় হইতে পৃথক্ করিয়া, একটি নুতন সুরে একজনকে মাত্র একটি কথা বলিতে ইচ্ছ। হয়। র্যাফেলের কাব্য, ড্যাণ্টের ছবি তাহাই । তাহীদের প্রতিদিনকার ব্যাবহারিক জীবন ত্যাগ করিয়া একবার তাহারা র্তাহাদের নিগুঢ় মানবজীবনের আস্বাদে মাতিয়া উঠিয়াছিলেন। কেন ? ব্যাবহারিক জীবন ত্যাগ করিতে চান কেন ? না—বহিঃসংসারে তুমি যতই বড় কাজ কর না কেন—পাহাড় গুড়াইয়াই ভাঙ, আর নদীই বহাও--যাহাই কেন কর না—প্রেম কোথায় ? শতসহস্ৰ লোক তোমার কীৰ্ত্তিমণ্ডপতলে আসিতেছে-যাইতেছে—তবু সমালোচনা ছাড়িবে না ! বাস্তবিক অতগুলি লোক একত্র হইয়া কি ভালবাদিতে পারে ? - বাস্তবিক অতগুলি লোককে একত্র করিয়া কি ভালবাসা যায় ? পরিপূর্ণতম মিলনের যে সুগভীর আনন্দ, শুধু কৰ্ম্মবীরের জীবনে তাহ কোথায় ? ংসারে কাজ কর, বড় হও, বিরাট হও— মুশার মত সিনাই-শৃঙ্গে দাড়াইয়া অত্যুজ্জল জ্যোতির বিভাসবাৰ্ত্ত জগতে ঘোষণা কর । ঐরূপেই সাধারণের উপর জলিয়া উঠিতে হয়—মুশ সে বেশ কাজ করিয়াছিলেন। আরো একটি কথা । Q○ তথাপি, মুশা যদি একবার জীবনে ভালবাসিয়া থাকেন—সে সুন্দরী য়িহুদীকেই হৌক, আর ইথিওপীয়া দাসীকেই হৌকৃ— একবারমাত্র যদি জীবনে ভালবাসিয়া থাকেন, তবে ঐ যে ধীর মূক উষ্ট্র মরুভূষায় প্রাণ বঁাচাইতে আপনার জন্ত জলভার বুকের কাছে সঞ্চিত রাখিয়াছিল, কিন্তু মরুমধ্যে উপস্থিত হইয়া তৃষাতুর উষ্ট্রর জন্ত হাটু ভাঙিয়া বুকটি খুলিয়া জলসঞ্চয় বিসর্জন করিতেছে—ঐ উন্থটির মত হইবার জন্ত মুশ কাতর হইতেন। অতঃপর কবি বলিতেছেন—তবে আমি কি করিব ? আমি এতদিন কবিতার ব্যবসায় করিয়াছি—এখন কি তাহ ছাড়িয়া আর কোন নুতন সুরে মৰ্ম্মকথা জানাইব ? না না, যে কদিন জীবন আছে, আর ছবিওঁ আঁকিব না, স্থাপত্যেও মনোনিবেশ করিব না— একটি জীবনে আমার কবিতার বেশী কুলাইবে না । কিন্তু আমার আশা আছে, তুমিও কবি । তুমি কবিতার মৰ্ম্ম বুঝিবে। আমার নিগৃঢ়, নুতন কথাটি তুমি না বুঝিবে, এমন নহে। দেয়ালে মোটা মোট ছবি আঁকি যাহার অভ্যাস, সে হয় ত একদিন একটি স্বক্ষ কেশতুলিক চুরি করিয়া তাহার প্রিয়তমার জন্ত একটি স্বক্ষ চিত্র আঁকিতে পারে-বড় মোটা পিতলের বঁাশীতে যে স্থল স্বর বাজাইয়া ফিরে, সে হয় ত একদিন রজতবংশীরস্কৃে, সুকোমল সুর উদ্বোধিত করিয়া রাজকুমারীর বাতায়নতলে প্রভাতী গান করিতে পারে— আমারও আজিকার কবিতা সেইরূপ আমার অন্তান্ত কবিতা হইতে পৃথক্ । এতদিন মোটা মোটা সুরে নানা বেশে নানা চরিত্রে