পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 বঙ্গদর্শন। নানা কথাবলিয়াছি, এবার আমি স্বয়ং রবার্ট ব্রাউনিং বলিতেছি। কথা বেশী কিছুই নহে—“এই বহিখানি তুমি লও, যেখানে আমার প্রাণের চিরনিবাস, সেখানে আমার কবিকীৰ্ত্তিও আশ্রয় গ্রহণ করুক”—এইমাত্র। এ কথা আর বেশী কি ? তবু এই আমার সব ! ইহাতেই সব ব্যক্ত হইবে, কারণ তুমি যে আমাকে জান । জানার কথায় কবির একটা উপমা মনে উদিত হইল। (কবিতাটি রাত্রে লিখিত হইয়া থাকিবে । ) ঐ দেখ চন্দ্র । ইটালীতে —ফিসোলের বর্ণতরঙ্গবন্ধুর সন্ধ্যাকাশে চন্দ্রকলা ধীরে ভাসিয়া উঠিয়াছিল। আকাশে বহিয়া গিয়া স্তামানিয়াটাের উপর পরিপূর্ণ দীপনে জলিয়া উঠিয়াছিল, সাইপ্রেস-কুঞ্জের মধ্য দিয়া গোল হইয়া দেখা দিতেই নাইটিংগেলগণ গান করিয়! উঠিয়াছিল—আর আজ এই লগুনের গৃহছাদগুলির উপর দিয়া সেই ইটালীয় চন্দ্রের ভগ্নাংশমাত্র, কৃপণের অশোভন-মিতব্যয়কৃত দানের রৌপ্যখণ্ডের ন্তীয় দৌড়াইয়া যাইতেছে—যেন মরিতে পারিলেই মুথ। এ চন্দ্রে কি দেখিবার কিছুই নাই ? অযশু আছে। কিন্তু ঐ চন্দ্র যদি একটি মামুযকে ভালবাসিত, তাহা হইলে—একি রূপ —এক সম্পূর্ণ নুতন, চমৎকার রূপে তাহার কাছে আপনাকে প্রকাশ করিত। শিকারী কি মেষপালক, ভক্ত জোরোয়াষ্টার, জ্যোতিষী গ্যালিলিও অথবা কবি কীটুন্‌—সেই এণ্ডাইমিয়ূনের কবি কীটসও যাহা দেখেন নাই—এমন একটি রহস্তপূর্ণ রূপ সেই প্রণয়ীর চক্ষুগোচয় হইত। কি দেখিত । সমুদ্রবাহী বরফস্তম্ভ [ বৈশাখ । (Iceberg) যেমন স্রোতে বহিয়া আসিয়া সহসা জাহাজের উপর পড়িয়; জাহাজ চুরমার করিয়া দেয়, তেমন কোন একটা আবেগ ? না, শুভ্রনীল মৰ্ম্মরবদ্ধ মণ্ডপতল, অনন্ত রহস্তে পূর্ণ,- যাহা সেই হিব্রু ঋষিগণ, যাহা মুশা ঈশ্বরের পাছাড়ে উঠিয় দেখিয়াছিলেন—তেমনি একটি কিছু ? কেহ জানে না। কিন্তু এটি স্থির যে, ফুেরেন্স, এবং লগুনে যাহা দেখা যাইতেছে, তাহা হইতে সম্পূর্ণ পৃথক্ আর কিছু দেখা যাইত। ধন্ত ঈশ্বর যে, তোমার ক্ষুদ্রতম প্রাণীরও আত্মার দুটি ভাগ আছে—একটি সংসারের জন্ত, একটি তাহার প্রিয়তমা নারীর জন্ত । কৰ্ম্মের জগৎ, শক্তির বিকাশ ও ক্রীড়ার জগৎ-এর মুলে যেন অচলপ্রতিষ্ঠ, রহস্যময়, সুশীতল প্রেমের জগৎ বর্তমান। ধন্ত ঈশ্বর যে, ক্ষুদ্রতম প্রাণীরও আত্মায় সেই দ্বিবিভক্ত মহিমার সুসঙ্গত প্রতিবিম্ব পতিত হইতে বিধান করিয়াছ । কবি বলিতেছেন, এই ত গেল আমার কথা—এখন তোমার কথা ভাবিয়া দেখ । হে আমার কবিমণ্ডলের শশি !—কিন্তু কবিত্ব—সে ত সংসারের দিধূ । আমি ংসারে দাড়াইয়া সেখানকার লোকের সঙ্গে ওদিকের প্রশংসা ত করিয়াছিই, কিন্তু— But the best is when I glide front out them, Cross a step or two of dubious twilight Come out on the other side, the novel Silent silver lights and darks uudreamed of Where I hush and bless myself with silence. তখনি কৃতাৰ্থ মানি, যখন তাদেরে ত্যজি ধীরে আধ-আধ গেধুলীর ছায়ালোকে চলি কিছুদূর এসে পড়ি আর পাশে অকস্মাৎ—সেই চমৎকার নীরয, রজতণ্ডত্র স্বপ্নাতীত আলো আর ছারা! ষেধ স্বৰ্গ শিষে ডুবি ধন্ত মানি চুপ হরে থাকি।