পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্য। ] দপহরণ । e $్మతి আমার জীবনে ভূমি বর্চ ওগো বাচ। তোমার কামনা মোর-চিত্ত দিয়ে যাচ!

যেন আমি বুঝি মনে অতিশয় সঙ্গোপনে • তুমি আজ মোর মাঝে আমি হয়ে আছ! আমারি জীবনে তুমি বঁাচ ওগো বাচ। দপহরণ । কি করিয়া গল্প লিখিতে হয়, তাহ সম্প্রতি শিখিয়াছি। বঙ্কিমবাবু এবং সার ওয়াল্টার স্কটু পড়িয়া আমার বিশেষ ফল হয় নাই । ফল কোথা হইতে কেমন করিয়া হইল, আমার এই প্রথম গল্পেই সেই কথাটা লিখিতে বসিলাম । আমার পিতার মতামত অনেকরকম ছিল ; কিন্তু বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কোন মত তিনি কেতাব বা স্বাধীনবুদ্ধি হইতে গড়িয়া তোলেন নাই । আমার বিবাহ যখন হয়, তখন সতেরে। উত্তীর্ণ হইয়া আঠারোয় পা দিৱাছি ; তখন আমি কলেজে থার্ডইয়ারে পড়ি—এবং তখন আমার চিত্তক্ষেত্রে যৌবলের প্রথম দক্ষিণবাতাস বহিতে আরম্ভ করির। কত অলক্ষ্য দিক্ হইতে কত অনির্মচনীয় গীতে এবং গন্ধে, কম্পনে এবং অর্ণরে জামার তরুণ জীবনকে উৎসুক করিয়া ফুলিভেছিল, তাহা এখনো মনে হইলে বুকের डिब्ब पेfनचान उबिब उष्ठं । कथब रआमाब्र माहिष्णन ना-ञाष्ठाप्नद्र पूछनश्नाप्द्रङ्ग भप्था गम्रोश्णन कब्रिबाब्र জন্য আমার পড়াশুনা শেষ হইবার অপেক্ষা না করিয়াই বাবা বারো-বৎসরের বালিকা নিঝরিণীকে আমাদূের ঘরে আনিলেন। নিঝরিণী নামটি হঠাৎ পাঠকদের কাছে প্রচার করিতে সঙ্কোচবোধ করিতেছি । কারণ, তাহাদের অনেকেরই বয়স হইয়াছে— অনেকে ইস্কুল-মাষ্টারি, মুন্সেফি এবং কেছ কেহ বা সম্পাদকীও করেন, তাহারা আমার শ্বগুরমহাশয়েয় নামনিৰ্ব্বাচনকুচির অতিমাত্র লালিত্য এবং নূতনত্বে হাসিবেন, এমন আশঙ্ক৷ আছে। কিন্তু আমি তখন অৰ্ব্বাচীন ছিলাম, বিচারশক্তির কোন উপদ্রব ছিল না-তাই নামটি বিবাহের সম্বন্ধ হইবার সময়েই যেমনি শুনিলাম, অমনি— “কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গে। জাকুল করিল মোর প্রাণ: এখন বয়স হইয়াছে এবং ওকালতি ছাড়িয়া মুন্সেফিলাভের জন্ত ব্যগ্র . হইয়া উঠিয়াছি, তৰু হৃদয়ের মধ্যে ঐ নামটি পুরাতন বেহালার জাওয়াজের মত আরো বেশি মোলায়েম ছইয়া বাজিতেছে । .