હરદ c. बश्रम-मि । [ ২য় বর্ষ, চৈত্র। ডাকিনী হইয়াই ছিলেন। “কালিকা যোগিনীভেঙ্গে", অভিধানের এ কথা এখনও লুপ্ত হয় নাই। সম্বলপুরজেলায় অনার্য্যজাতির একটি প্রাচীন বিড়াল-দেবতা নৃসিংহ হইয়। পূজা পাইতেছেন। বঙ্গদেশে হইলে এটিকে यठिोरमदैौञ्च वांश्न कब्रां श्ङ ; किछु भथाপ্রদেশে ইহার নামে একটি অন্য প্রকারের মৌখিক পুরাণ রচিত হইয়াছে। পুরাণ বা গল্পটি এই –বিষ্ণু দৈত্যবধ করিবার জন্ত দৈত্যের পিছুপিছু ছুটিলেন। দুষ্ট দৈত্য নানারূপ ধারণ করিয়া পলায়ন করিতে লাগিল। দৈত্য হরিণ হইল, বিষ্ণু বাঘ হইলেন ; দৈত্য চড়াই হইল, বিষ্ণু বাজ হইলেন ; ইত্যাদি। অবশেষে দৈত্যটা इंझुग्न इहेब्रा श८6 চুকিল ; বিষ্ণু তখন বিড়াল হইয়া গর্ভের মুখে থাবা পাতিয়া বসিলেন। ইছরটা এপর্য্যন্ত গৰ্ত্ত হইতে যাছির হয় নাই ; বিষ্ণুও বিড়াল হইয়া বুড়াসম্বরজঙ্গলে ৰাস করিতেছেন। এইরূপে অনেক গ্ৰাম্যসিংহ নরসিংহু হইয়াছেন । কোন অনাৰ্য্যজাতির সহিত কি প্রকার নৈকট্যে তাহদের দেবতাদিগের গুণ জাসিয়া মহাদেবে সংক্রামিত হইয়াছিল, তাছা বুঝিতে হইলে, একবার অনার্য্যসমাজের প্রাচীন এবং আধুনিক অবস্থার কিঞ্চিৎ পৰ্য্যালোচনা করার প্রয়োজন। কথায় কথা বাড়িতেছে ; অথচ এক কথার সহিত অণ্ঠ কথা এমন ভাবে গাথা যে, একটি পরিহার করিলে অন্তটির মীমাংসা হয় না। ঐতরেরত্ৰাহ্মণে পাঁচটি অনাৰ্য্যজাতির নাম পাওর বার, থা—অন্ধ, পুণ্ড, শবর, পুলিদ এবং মুতিব । বিদেশীয় প্লিনি এবং আরিয়ানের বর্ণনায় সাতটি অনার্ধ্যজাতির নাম আছে, যথা—অন্ধারি (অন্ধু,), শোয়ারি (শবর ), মোলেদি ( পুলিন ), মোস্তুবেই (মুতিৰ), কিহাদই (কিরাতৃ) এবং বর্বর। টলেমিতে কেবল অন্ধ (Androi ), শবর ( Sabari ) olfan ( Pulindai ) taqe কিরাতের ( Kirrhadai ) নাম পাওয়া যায়। কিন্তু মহাভারতে ভারতবাসী দম্বাজাতির মধ্যে উক্ত নামগুলি ছাড়া, অধিকন্তু যবন, শক এবং কাম্বোজদিগের নাম পাওয়া যায়। বৈদিক সময় হইতেই ষে অনার্য্যের পরাক্রান্ত জাতি ছিল, তাহা এই বিশেষ উল্লেখ হইতেই বুঝিতে পারা যায়। অন্ধের দক্ষিণপ্রদেশে রাজ হইয়াছিলেন, এবং পরে খৃষ্টাব্দের প্রথম শতাব্দীতে মগধের সিংহাসনে বসির রাজাধিরাজ হইয়া বহুদিন পর্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন । কপালগুণে র্তাহার হিন্দু হইয়া ক্ষত্ৰিয়ত্ব লাভ করেন। পুণ্ড,জাতিও বঙ্গদেশের আশ্রয়ে কালক্রমে খাটি হিন্দু হইয়া গিয়াছিলেন। বাকী রছিলেন শবর, পুলিলা, কিরাতাদি। ইছার কখনও যবন, কখনও ম্লেচ্ছ এবং কখনও বা দস্থ্য বলিরা, মহাভারতের পরবর্তী সাহিত্যে কীৰ্ত্তিত। মহাভারতেও দেখিতে পাই, এবং ৬ষ্ঠ হইতে ৮ম শতাব্দী পর্যান্তের কাব্যাদিতেও দেখিতে পাই যে, ইহারা বিন্ধ্যপ্রদেশ হইতে আরম্ভ করিয়া ভারতসাগরের পূর্বকুল পৰ্য্যন্ত ব্যাপিয়া বাস করিতেছিল। বিষ্ণুপুরাণে যে অষ্টবষনের রাজত্বের কথা পাওয়া যায়, এবং প্রকৃতপক্ষেও যাহার নবম শতাব্দী পৰ্থ্যজ্ঞ মাদ্রাজের উপকূলে রাজত্ব করে,
