পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

؟ سماجیA মাতঙ্গ। মাতঙ্গ অনাৰ্য্য আচার পরিহার করিয়া আৰ্য্যকুলাচার এবং বৈদিকধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেছিলেন। স্বয়ং মহাদেব ब्रांछबांश्न ५ीद९ मांडणएक ७कछि ७ख नश्रृंরীতে যাইতে আদেশ দিয়াছিলেন এবং অভিজ্ঞানস্বরূপে বলিয়া দিয়াছিলেন যে, এক স্থানে একটি স্ফটিকলিঙ্গ আছে, তাহার নিকটবর্তী সুড়ঙ্গ দিয়া প্রবেশ করিতে হইবে । মহাদেব নিজে বলিতেছেন যে, “একটি স্ফটিকলিঙ্গ আছে” ; যদি ঐটি মহাদেবের সহিত সম্পকিত হইতেন, তাহ হইলে নির্দেশের তাষা অন্যরূপ হইত। তাহার পর আবার যখন রাজবাহন এবং মাতঙ্গ স্বভূঙ্গে প্রবেশ করিলেন, তখন ঐ লিঙ্গের প্রতি কোন সম্মান প্রদর্শন করেন নাই। আর্য্যপূজ্য হইলে অথবা মহাদেব হইলে, এ ব্যবহার হইত না। “পূজ্যপূজাব্যতিক্রমে শ্রেয় বিস্ত্রসস্কুল হয় ; কিন্তু উভয়েরই ইষ্টসিদ্ধি হইল ; এবং অৰ্দ্ধ-আর্য্য মাতঙ্গ “অসুরোত্তমনন্দিনী কালিন্দী”কে বিবাহ করিলেন। রামায়ণের সময়ে দেখিয়াছি যে, বৌদ্ধ শবরের সাধু হইলে সিদ্ধনাম পাইত । এই স্ফটিকলিঙ্গের উপাসকও সিন্ধশবর বলিয়াই দণ্ডীর লেখা হইতে অল্পমান হয় । দেখিতে পাওয়া গেল যে, সপ্তম শতাব্দীর প্রারব্ধ পৰ্য্যন্তও আর্য্যসমাজে, লিঙ্গপূজা প্রবর্তিত হয় নাই। কিন্তু অনাৰ্য্যজাতির মধ্যে ষে লিঙ্গ প্রচলিত ছিল, তাহ বহুদিন হইতে আর্ঘ্যের জানিতেন। এখন অনার্য্যজাতির এই লিঙ্গদেবতার তত্ত্ব লওয়া যাউক । গোড়দিগের মধ্যে একটি পুরাতন এবং সৰ্ব্বত্রব্যাপী ঐতিহ্য बङ्गलग्लैंन । অপসারণপূৰ্ব্বক [ ২য় বর্ষ, চৈত্র। প্রচলিত আছে যে, অতি প্রাচীনকালে তাহারা উত্তরদেশে বাস করিত, किड़ তাহার এক সময়ে আর্য্যদিগের সছিত বিবাদে একটি পৰ্ব্বতগুহায় বন্দী হইয়া পড়িয়াছিল। তখন তাহদের একজন ক্ষমতাশালী বীর পূৰ্ব্বপুরুষ - প্রস্তরবাধা তাহাদিগকে উদ্ধার করিয়া দক্ষিণপ্রদেশে আনিয়াছিলেন। এই বীরপুরুষের নাম লিঙ্গে। লিঙ্গে বহু প্রাচীনকাল হইতে পূজিত হইয়া আসিতেছেন। গোড়েরা কখনও কোন মাঙ্গুষের প্রতিকৃতি করিয়া লিঙ্গোকে পূজা করে নাই ; গাছের তলায় একখানি পাথর রাখিয়া কুকুট বলি দিয়াই পূজা করিয়াছে। যে সময়ে আর্য্যের মধ্যপ্রদেশে উপনিবেশ স্থাপন করেন, তখন অন্যান্য দেবতার সঙ্গে মহাদেবের পূজাও প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। গোড়দিগের প্রাচীন গানে দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহারা সেই সময়ে তাহাদের লিঙ্গোদেবকে প্রশংসা করিতে গিয়া র্তাহাকেই যথার্থ মহাদেব বলিয়া গৰ্ব্ব করিয়াছে। কাপ্তেন ফসিতের গ্রন্থে এই সকল গান এবং লিঙ্গোর বিবরণ অনেক আছে । কি ভাবুে অনাৰ্য্যদেবতা আৰ্য্যসমাজে প্রবেশ করিবার সময় নূতন নাম পাইতেন, তাহার একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। গোড়বাবা নামে গোড়দিগের একজন সিদ্ধপুরুষ রাজিমে পূজিত হইতেন। জাজলদেবের সময় হইতে তিনি গোড়েশ্বর মহাদেব বলিয়া আর্য্যের পুজা গ্ৰহণ করিয়া আলিতেছেন। যেমন कबैिब कडेक, भइদেব করিয়া গড়িয়া লইতে হইবে, তাই এই