পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o " স্বঙ্গদর্শল । , "' [ સ. ૧૬ મામલે জুইতে পারিবে না। কিন্তু আণবিক-বিম্ভাসের অল্প বিচলন হুইয়া থাকিলে অল্পক্সালমধ্যেই সেটি পূৰ্ব্বাবস্থা প্রাপ্ত হইবে। , ধাতুচুর্ণের কোন দুই অংশে তার সংযুক্ত রাধিয়া বিদ্যুৎপ্রবাহ পরিচালন করিলে, প্রবাহ অবাধে চলিতে থাকে। সেই চুর্ণে এখন বৈদ্যুতিক রশ্বিপাত কর, পূৰ্ব্বের প্রবল প্রবাহটিকে স্পষ্ট পরিবর্তিত হইতে দেখিবে! গুড়াগুলিকে একটু ঝাকাইয়া বা তাপ দিয়া লও ; এখন আর ইহাতে প্রবাহগমনাগমনের কোন বাধাই দেখিবে না । ধাতুচুর্ণের এই বিশেষ ধৰ্ম্মটির উপরেই আজকালকার তারহীন টেলিগ্রাফির মূলভিত্তি প্রোখিত। কিন্তু বৈদ্যুতিকরশ্মিপাতে কি প্রকারে ধাতুচুর্ণের প্রবাহ-পরিচালন ক্ষমতার ক্লাসবৃদ্ধি হয়, এপর্য্যন্ত তাহ কেহই ঠিক্‌ ৰলিতে পারেন নাই। অধ্যাপক বহুমহাশয় ইহার প্রকৃত ব্যাপার আবিষ্কার করিয়া সকলকে বিস্মিত করিয়াছেন। বসুমহাশয় দেখাইয়াছেন,—বৈদ্যুতিক রশ্মি দ্বারা ধাতুচুর্ণের আণবিক-বিন্যাস বিকৃত হইয়া যায়, এজন্ত তাহার মধ্য দিয়া বিদ্যুৎপ্রবাহবেগ পরিবর্তিত হয় ; কিন্তু গুড়াটা একটু ঝাকাইয়া লইলে বা গরম করিয়া রাখিলে, তাহার অগ্নিবিক অবস্থাটা স্বভাবে ফিরিয়া আসিবার স্থযোগ পায়, কাজেই পূৰ্ব্বপ্রকারে বিদ্যুৎপ্রবাহ চলিতে থাকে। অধ্যাপক বসুমহাশয়ের মতে ‘মূলোকদ্বারা ফোটোগ্রাফের কাচে ছবি অঙ্কন, এবং বৈদ্যুতিক রশ্মিদ্বার ঋতুচুলের প্রবাহপরিচালনশক্তির হ্রাসবৃদ্ধি একই প্রাকৃতিক র্যাপার। ফোটােগ্রাফি ও মার্কলির তারহীন টেলিগ্রাফি মূলে এক । , প্রতিকূলে হইলেঃ ছরি গঙ্গই কৃষ্ণু পাঠকগণ বোধ হয় জানেন, আলোকে পরিমাণ ও আলোকপ্রদানের কালের উপন্ন ফোটােগ্রাফছবির ভালম্বন্ধ অনেকটাই নির্ভর করে। ফোটােগ্রাফের ষে কুচে যত নিয়মিত আলোক পড়ে এবং যেখানি স্বত্ত নিয়মিত কাল ধরিয়া আলোকে উন্মুক্ত থাকে, তাহার ছৰিও ততই সুস্পষ্ট ও স্বাভাবিক হুইয়া অঙ্কিত হয়। অস্থিরু আলোকে ছবি অস্পষ্ট হয় ; তা ছাড়া আলোকটা কখন ক্ষীশ্ব এবং কখন উজ্জ্বল হইয়া আসিলেও ছবি ভাল উঠে মা। আচার্য বসুমহাশয় বহু পরীক্ষাদি স্বারা ফোটোগ্রাফের কাচের উপর অস্থির আলোকের কার্য্যের অনেক রহস্ত আবিষ্কার করিয়া, ছেন । এ আবিষ্কারটি কি, এখন দেখা যাউক । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, আলোকরশ্মি কাচের কোন অংশে পড়িলে, তদ্বারা সেই স্থানের আণবিক-বিন্যাস ভঙ্গ হইতে আরম্ভ হয়, কিন্তু আলোকপাত হঠাৎ বন্ধ করিবমাত্র, সেই ভঙ্গ আর অধিকদূর অগ্রসর হইতে পায় না, ররং অণুসকল প্রাকৃতিক অবস্থার পুনঃপ্রাপ্তির চেষ্টা আরম্ভ করে। এই সময়ে সেই একই অংশে আবার আলোকরশ্মি পতিত হইলে, আণবিক-বিন্যাসের মুতল বিচলন আরম্ভ হয় । এই নুতন বিচলনটা যদি পূৰ্ব্বেকার বিচলনের দিকেই হয়, তবে আলোকপাতরাহিত্য দ্বার স্বাভাৱিক-অবস্থপুনঃপ্রাপ্তির জন্ত অণুসকলের যে একটা গতি হইয়াছিল, সেটি নষ্ট হুইয়া আণবিক-বিস্কায় । বিষম জটিল হইয় পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে ছবিও অস্পষ্ট হুইয়া উঠে।. নুতন মুঙ্গোৰুপাতঞ্জত অপুর : ৰিচলন পূৰ্ব্বনিচলনের