পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांधण ज५थT । ] বেলুচি-মুলুক। . ekst रुँउख হয় যে, তাহা অতিক্রম করা অসম্ভব পরিচ্ছদও সভ্যজনেচিত। অলঙ্কারপ্রিযুতা হইয় উঠে। পবনবেগোখিত বালুকায় চারিদিক্‌ আচ্ছন্ন হইয়া পথিকের শ্বাসরোধের • উপক্রম হয়; কালগ্রাসেও অনেকে পতিত হইতে থাকে। এদেশে যেমন অসহ গ্রীষ্ম, শীতওঁ তেমনি হাড়ভাঙা । এইজন্তই বোধ ছয় এস্থান এরূপ স্বাস্থ্যপ্রদ। ভারতবর্ষের সকলপ্রকার শস্ত ও শাক্সবজি খানে গাওয়া যায়। এখানকার গনদাবী-নামক স্থানটি অত্যন্ত উৰ্ব্বর বলিয়া প্রসিদ্ধ। এদেশে শার্দুল ও হায়েনার যথেষ্ট প্রাচুর্ভাব । এখানকার শুষ্কফল, পশম, বনাত ও কম্বল লৰ্ব্বত্রই সমাদৃত। সমগ্র বেলুচিস্থানের লোকসংখ্যা প্রায় ৫লক্ষ । অধিবাসীরা দেখিতে সুন্দর, বল- , রান, সাহসী এবং দীর্ঘাকার। এদেশে তুর্থ কারি সস্তা; লঙ্কা, মরীচ, পলাণ্ডু ও লণ্ডনের ম্যবহারটা খুবই বেশি ; সুরাপানের প্রথা একেবারেই নাই। এখানের অধিকাংশ গৃহই মাটির । এদেশে কৃষ্ণকায় উষ্ট্রের চৰ্ম্মে একপ্রকার তাবু তৈয়ারি হইয়া থাকে, লেগুলি অনেক গৃহস্থের গৃহের কার্য্য করে। দ্রুতগামী একটি উষ্ট্র, প্রচুর স্বস্বাদু জল, খানকয়েক রোটি ও গোটাকত খেজুর দিয়া বেলুচিদিগকে যেখানে ইচ্ছা সেইখানেই পাঠাইতে পার। ইহারা সুস্থ, সবল, কৰ্ম্মঠ, কষ্টসহিষ্ণু, শ্রমশীল ও অতিথিপ্রিয়। অতিদিকে ইহার যথেষ্ট খাতিরস্বত্ব করিয়া থাকে। ইহাঙ্গের স্ত্রীলোকেরা সঙ্গীতপ্রিয় এবং বালকন্ধের তীরস্থ চালাইবার পটুতা প্রশংসনীয়। এদেশে-এধনও ক্রীতদাসের ব্যবসা প্রচলিত wक्ल ५ बीस्क्लन्ककलेक्क्कैयक्: कोश्राद्र & - এদেশে ততটা প্রসরলাভ করিতে পারে নাই। তবে রমণীকুল ফুলের বড় পক্ষপাতী । পৰ্ব্বতের বিকট বন্ধুরতার ভিতরে—মরুভূমির অগ্নিদীপ্ত রুদ্রতার মধ্যে একটি ফুল উপহার পাইলে, সেই ফুলটি লইয়া উপহারদাতার প্রতি ইহার হৃদয়ের কৃতজ্ঞতার উৎস ছুটাইয়। দেয়। এখানে তরবারির বড় আদর। এজন্ত তরবারি-পরিচালনে পুরুষেরা যেমন দক্ষ, বালক-বালিক ও স্ত্রীলোকেরাও তেমনি নিপুণ । লেখাপড়ায় ইহাদের তেমন মনোযোগ দেখা যায় না । ইহারা বলিয়া থাকে, “একদিকে সমগ্র বোখার বা বোগদাদের পাণ্ডিত্যে একাধিকাৰ, আর একদিকে তরবারিবিদ্যায় আশানুরূপ দক্ষতা, উভয়ের মধ্যে শেষোক্তকেই আমরা অধিকতর শ্লাঘ ও সম্মানের বলিয়া মনে করি।” ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে বেলুচিরাজ মোরাব ধার সহিত বৃটিশরাজের সর্বপ্রথম কলছ উপস্থিত হয়। তার পর ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দের সন্ধিপত্র অন্থ সারে ইংরেজ-সরকার বেলুচিস্থানের অধীশ্বরকে প্রতিবৎসর ৫০হাজার টাকা উপঢৌকন দিতে থাকেন । ১৮৭৬ অব্দের নূতন সন্ধিপত্রে ওই ৫০হাজারের পরিমাণ বাড়িয়া ১লক্ষ হইয় উঠে, সেই ১লক্ষ আবার ১৮৮২ অব্দে ১লক্ষ ৩০হাজারে পরিণত হয়। বেলুচিস্থান রুষভম্বুকের ভারতপ্রবেশের একটি গ্রধান পথ। সুতরাং ইশলামীয় জলবাহীর (ভিস্তির) চৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত জলাধারের ( মোশকের) sায়, উপঢৌকনের পরিমাণটা ক্রমশ বাড়িতে বাড়িতে ১৮৯৩ অন্ধ হইতে ১লক্ষ ৫৫হাজারে জুসিয়া গঁড়াইয়াছে kg . 3’+.