পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دههها ,বঙ্গদর্শন । , [২য় বর্ষ देळाब ।। ক্ষেত্রে আমরা স্বাধীনতা অনুভব করি বটেকিন্তু কতক্ষণ ? বুদ্ধি যতক্ষণ চলে—ততক্ষণ । কোনে-গতিকে যদি আমার বুদ্ধিক্রিয়া স্তম্ভিত হইয়া যায় ( যেমন ক্লোরোফৰ্ম্মসেৰন-গতিকে ) তাহ হইলে সেই সঙ্গে আমার স্বাধীনতাবোধও অন্তর্ধান করে— আছি-বোধও অন্তর্ধান করে। ফল কথা এই ৰে, আমি-আছি এই বোধ এবং সেই সঙ্গে-“আমার স্বাধীনতাবোধ, দুইই সাক্ষাৎসম্বন্ধে আমার নিজের ধীশক্তির উপরেই নির্ভর করে—এ কথা সত্য। কিন্তু তা বলিয়া এটা ভুলিলে চলিবে না যে, পরোক্ষসম্বন্ধে তাহা বহির্বস্তুর অস্তিত্বের উপরে নির্ভর করে। সাক্ষাৎসম্বন্ধ হ’চে বস্তুগুণের সম্বন্ধ ; পরোক্ষসম্বন্ধ হ’চ্চে কাৰ্য্যকারণের সম্বন্ধ । স্বার, সে দুই সম্বন্ধের গোড়ার কথা হচ্চে সভা, শক্তি এবং জ্ঞানের একাত্মভাব । পূৰ্ব্বে দেখা হইয়াছে যে, সত্ত, শক্তি এবং জ্ঞান, পরস্পরের সহিত এরূপ হরিহরব্রহ্মাত্মা যে, সে তিন পদার্থ একপ্রকার তিনে এক একে তিন ! ইহা হইতেই আসিতেছে এই যে, আমাদের জ্ঞান এক-দিকে সত্ত্বার সহিত এবং আর-একদিকে শক্তির সহিত— ছরেরই সহিত-ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধস্থত্রে জড়িত। কাজেই, জ্ঞানকে দুই কুল রক্ষা করিয়া চলিতে হয়—ন্থই দিকের দুইপ্রকার সম্বন্ধ সমান মানিয়া চলিতে হয় । এক দিকের সম্বন্ধ হচ্চে সত্তা-ঘটিত বস্তুগুণের লম্বন্ধ হ’চ্চে । সম্বন্ধঃ আর-এক-দিকের শক্তি-ঘটিত কাৰ্য্যকারণের সম্বন্ধ। বস্তুগুণের দ্বার। दख७५-नत्रएकब्र दांब्र निद्रां जांभि यहेझ* निकाःख उभनेौउइरेट्र, जनजाबाहि ७कथकब्र ख१; उोश आयाण्डहे उषान করে, অামাতেই বিলীন হয় ; তাহ ষোঙ্গে আনা আমার নিজস্ব সম্পর্কি—তাহার অপর কোনো অংশী মাই—সল্পিক নাই। আয়, আমার আপনারই সেই জানে আমার অস্তিত্ব সপ্রমাণ। আমার অস্তিত্বের দৃঢ়তা এবং বলবৰ্ত্ত সাধন করিবার জন্য আমাকে অপরকাহারে দ্বারস্থ হইতে হয় না ; আমার অস্তিত্ব স্বাধীন অস্তিত্ব—আমি স্বাধীন। কাৰ্য্যকারণের দ্বার । পক্ষান্তরে, কাৰ্য্য-কারণ-সম্বন্ধের দ্বার দিয়া আমি এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, আমার জ্ঞান একপ্রকার কারণমূলক কার্ধ ; তাহা আমার ধীশক্তির ফুৰ্ত্তির উপরে নির্ভর করে; ধীশক্তির ফুক্তি চেতনাশক্তির উপরে নির্ভর করে; চেতনাস্থত্তি প্রাণস্ফুপ্তির উপরে নির্ভর করে ; প্রাণশক্তি বহির্বস্তুর শক্তিস্ফূৰ্ত্তির উপরে নির্ভর করে । স্বাধীনতা এবং পরাধীনতা । আমরা যখন জ্ঞানরূপ গুণের আধারবস্তুর উপরে লক্ষ্য নিবিষ্ট করি, তখন স্বাধীনতা অনুভব করি ; পক্ষান্তরে, যখন জ্ঞানরূপ কার্য্যের কারণের প্রতি লক্ষ্য নিবিষ্ট করি, তখন পরাধীনতা অনুভব করি। আমি যদি পরাধীনতার হস্ত এড়াইবার জন্ত বুদ্ধিক্ষেত্রের কৈলাসশিখরে স্বাধীনতায় তর করিয়া নিস্তন্ধভাবে বসিয়া থাকি, জার, মনে করি যে, কাৰ্য্যকারণের সম্বন্ধ এখানে আমাকে হাত বাড়াইয়া নাগাল পুইবে ন-. তবে তাহ গুদ্ধকেবল মনে কর মাত্র। কেন না, আদি তই কেন আপনাকে স্বাধীশ