পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ সংখ্যা। ] | - Rr . .


. ڈیٹھا

ఖి BBB BB BB BBB BB BBS BB BBBB BBB BB BBB DDS ডক্তার হইয়াছ, পায়ে একটু গরম তেল মালিশ করিয়া দাও না ! দেখিতেছ না, পারে তেলে৷ হিম হইয়া গেছে।” যতীন রেগিস্ত্ব পারে তলা গরমতেল সবেগে ঘষিয়া দিতে লাগিল। চিকিৎসাব্যাপারে রাত্রি অনেক হইল। - কলিকাতা হইতে ফিরিয়া আসিয়া বারবার কুড়ানির খবর লইতে লাগিলেন। মৃতীন বুঝিল, সন্ধ্যাবেলায় কৰ্ম্ম হইতে ফিরিয়া আসিয়া পটল অভাবে হরকুমারের অচল হইয়া উঠিয়াছে—ঘনঘন কুড়ানির খবর লইবার তাৎপর্ঘ্য তাই। যতীন কহিল—“হরকুমার বাবু ছট্‌ফট্‌ করিতেছেন, তুমি যাও পটল !" পটল কহিল—“পরের দোহাই দিবে বৈ কি ! ছট্‌ফট্‌ কে করিতেছে, তা বুঝিয়াছি। আমি গেলেই এখন তুমি বঁাচ ! এদিকে কথায় কথায় লজ্জায় মুখ-চোখ লাল হইয়। উঠে—তোমার পেটে যে এত ছিল, তা কে বুঝিবে ” যতীন। আচ্ছ, দোহাই তোমার, তুমি এইখানেই থাক। রক্ষণ কর—তোমার মুখ বন্ধ হইলে বাচি। আমি ভুল বুঝিয়াছিলাম— হরকুমারবাবু বোধ হয় শাস্তিতে আছেন, এরকম সুযোগ তার সৰ্ব্বদা ঘটে না! কুড়ামি আরাম পাইয়া যখন চোখ খুলিল, পটল কহিল—“তোর চোখ খোলাইবার জন্য তোর বর যে আজ অনেকক্ষণ ধরিয়া তোকে পায়ে ধরিয়া সাধিয়াছে—আজ তাই বুঝি এত দেরি করিলি ! ছিছি, ওঁর পায়ের ধূলা নে!” কুড়ালিষ্টকর্তব্যবোধে তৎক্ষণাৎ গৰ্ত্তীর হরকুমার . ক্রতপদে ঘর হইতে চলিয়া গেল। , द्रौठिभङ उं★शद श्रांद्रछ इहेण । बजैब খাইতে বসিয়াছে, এমন সময় কুড়ানি আসিয়া অম্লানবদনে পাখা দিয়া তাহার মাছি তাঙ্কাইতে প্রবৃত্ত হইল। যতীন ব্যস্ত হইয়া বলিয়া উঠিল, “থাক্ থাক্, কাজ নাই।” কুড়ানি । এই নিষেধে বিক্ষিত হইয়া মুখ ফিরাইয়। পশ্চাদবর্তী ঘরের দিকে একবার চাহিয়৷ দেখিল—তাহার পরে আবার পুনশ্চ পাখা দোলাইতে লাগিল। যতীন অন্তরালবৰ্ত্তিনীর উদ্দেশে বলিয়া উঠিল—“পটল, তুমি যদি এমন করিয়া আমাকে জালাও, তবে আমি খাইব না—আমি এই উঠিলাম।” বলিয়,উঠিবার উপক্রম করিতেই কুড়ানি পাখা ফেলিয়া দিল। যতীন বালিকার বুদ্ধিহীন মুখে তীব্র বেদনার রেখা দেখিতে পাইল ; তৎক্ষণাৎ অনুতপ্ত হইয়া সে পুনৰ্ব্বার বসিয়া পড়িল। কুড়ানি যে কিছু বোঝে না, সে যে লজ্জা পায় না, বেদনাবোধ করে না, এ কথা যতীনও বিশ্বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। আজ চকিতের মধ্যে দেখিল, সকল নিয়মেরই ব্যতিক্রম আছে—এবং ব্যতিক্রম কখন হঠাৎ ঘটে, আগে হইতে তাহা কেহই বলিতে পায়ে না ! কুড়ানি পাখা ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল । পরদিন সকালে যতীন বারাদার বসিয়া আছে-গাছপালার মধ্যে কোকিল অত্যন্ত ডাকাডাকি আরম্ভ করিয়াছে—আমের বোলের গন্ধে বাতাসু ভারাক্রাস্ত—এমনসময় সে দেখিল, কুড়ানি চায়ের পেয়ালা হাতে