পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ૭૧ઈ লইয়া যেন একটু ইতস্তম্ভ করিতেছে। তাহার হরিণের মত চক্ষে একটা সকরুণ ভয় ছিল— লৈ চালইয়াগেলে যতীন বিরক্ত হইবে কি না, ইহা যেন সে বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। যতীন ব্যথিত হইয়া উঠিয়া জাগ্রসর হুইঙ্গা তাহার হাত হইতে পেয়ালা লইল। এই মানরজন্মের হরিণপিণ্ডটিকে তুচ্ছ কারণে কি , কোন দেওয়া যায়? সতীন যেমূলি পেয়াল বাইল, অম্নি দেখ্রিল, বারান্দার অপরপ্রান্তে পটল সহসা আবির্ভূত হইয়া নিশা হাস্তে যতীনকে কিল দেখাইল—ভাবটা এই যে, কেমন ধরা পড়িয়াছ। । সেইদিন সন্ধ্যার সময় যতীন একখানি ডাক্তণরি কাগজ পড়িতেছিল, এমন সময় ফুলের গন্ধে চকিত ইয়া উঠিয়া দেখিল, কুঙ্কানি বকুলের মালা হাতে ঘরের মধ্যে প্ররেশ করিল। যতীন মনে মনে কহিল, “বড়ই বাড়ীবাড়ি হইতেছে—পটলের এই নিষ্ঠুর আমোনে আর প্রশ্ৰয় দেওয়া উচিত হয় না।” কুড়ানিকে ৰলিল, “ছিছি কুড়ানি, তোমাকে লইয়া তোমার দিদি আমোদ করিতেছেন, তুমি বুঝিতে পার না ।” কথা শেষ করিতে না করিতেই কুড়ানি জন্তু সঙ্কুচিত ভাবে প্রস্থানের উপক্রম করিল। যতীন তখন তাড়াতাড়ি তাহাকে ডাকিয়া কহিল—“কুড়ালি,দেখি তোমার মালা দেগ্নি + বলিয়া মালাটি তাহার হাত হইতে লইল । কুড়ীনির সুখে একটি সানন্সের উজ্জ্বলতা ছটা উরি অন্তরাল হইতে সেই মুহূর্বে একটি উচ্চহাস্তের উজ্জ্বালঙ্কলি শুন গেল । পরদিন সকালে উপত্ৰই করিবার জন্ত গষ্টল যতীনের ঘরে গিয়া দেখিল,জর পূক্ত। यत्रझर्लन । একখানিকগলে কেবল লেখা - a { ২য় স্বৰ্ষ, চৈত্র। "

    • ांशाहेशव । क्षैशउँौन ।” "e
  • ও কুড়ানি, তোর বর যে পালাইল । তাহাকে রাখিতে পারিলি মে - ৰলিয়া কুঙ্কানির রেণী ধরিয়া নাড়া দিয়া পটল, স্বাক্ষরার কাজে চলিয়া গেল।

কথাটা বুঝিতে কুড়ামির একটু সময় গেল। সে ছবির মত দাড়াইয়া স্থিরদৃষ্টিতে সম্মুখে । চাহিয়া রহিল । তাহার পর ধীরে ধীরে যতীনের স্বরে জাসিয়া দেখিল, তাহার ঘর খালি । তার পূর্বসন্ধ্যার উপহারের মালাটা টেবিলের উপর পড়িয়া আছে। কল্পের প্রাতঃকালটি স্নিগ্ধস্থলর—রোত্রটি কম্পিত কৃষ্ণচুড়ার শাখার ভিতর দিয়া ছায়ার সহিত মিশিয়া বারান্দার উপর আসিয়া পড়িয়াছে। কাঠবিড়ালি ল্যাঙ্গ পিঠে তুলিয়া ছুটাছুটি করিতেছে এবং সকল পার্থী মিলিয়। কিছুতেই শেষ করিতে পারিতেছে না। পৃথিবীর এই কোণটুকুতে, এই খানিকট ঘনপল্লব, ছায়া এবং রৌদ্ররচিত জগৎখণ্ডের মধ্যে প্রাশের জানন্দ কুটির ফুটিয়া উঠিতেছিল, তাহারি মাঝখানে ঐ বুদ্ধিহীন বালিয়া তাহার অর্থ বুধিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। সমস্তই হইল, তার গ্রয়ে এই প্রভাত, এই গৃহ, এই জহি কিছু সমস্তই এাম একেবারে শূন্য ইয়া গেল ৰেল ! বাছার বুঝিবার সামর্থ্য স্বল্প, কাহাকে হঠাৎ একদিন নিজ হৃদয়ের এই জর্তল বোনের রহস্তগর্ডে কোন প্রদীপ হাতে না দিয়া ক্ষে মামাইরা দিল?ঞ্জগতের এই