পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ છેઃ अमर्थन । [ २ग्न ৰংচৈত্র একগাছি শুকনো বকুলের মালা। তখন তাঁহার নেপাল,লে মালাটা কি ঘড়ির টঙ্কটক শষের মধ্যে যতীন চুপ করিয়াবসিয়া ভাবিতে লাগিল ! কুড়ানির এই প্রথম লুকাইবার চেষ্টা —নিজের হৃদয়ের ভাব গোপন করিবার এই তাহার প্রথম প্রয়াস। কুড়ানি মৃগশিশু ছিল, সে কখনৃ হৃদয়ভারাতুর যুবতী নারী হইয়া উঠিল! কোন রৌদ্রের আলোকে—কোন রৌদ্রের উত্তাপে তাহার বুদ্ধির উপরকার সমস্ত কুয়াশ কাটিয়া গিয় তাহার লজ্জা, তাহার শঙ্কা, তাহার বেদনা এমন হঠাৎ প্রকাশিত হইয়া পড়িল ? ब्रांजि झूठ-श्रांक्लाइंüांद्र जभग्न बडीौन চেকিতে বসিয়াই ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। হঠাৎ দ্বার-খোলার শব্দে চমকিয়া উঠিয়া দেখিল, পটল এবং হরকুমারবাবু এক বড় ব্যাগ হাতে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। হরকুমার কহিলেন—“তোমার চিঠি পাইয় কাল সকালে আসিব বলিয়া বিছানায় শুই । লাম। অৰ্দ্ধেক রাত্রে পটল কহিল, ওগো কাল সকালে গেলে কুড়ানিকে দেখিতে পাইব না—আমাকে এখনি যাইতে হইবে। পটলকে কিছুতেই বুঝাইয়া রাখা গেল না—তখনি একটা গাড়ি করিয়া বাহির হইয়া পড়িয়াছি।” পটল হরকুমারকে কহিল, "চল, তুমি যতীনের বিছানায় শোবে চল ।” হরকুমার ঈষৎ আপত্তির আড়ম্বর করিয়া যতীনের ঘরে গিয়া গুইয়া পড়িলেন, তাহার নিজ ঘাটুড়েও দেরি হইল না। পটল ফিরিয়া আসিয়া যতীনকে ঘরের এক কোণে ডাকিয়া দৃিজ্ঞাসা করিল, “আশা আছে?” . নাড়ি দেখিয়া মাথা দাড়িয়া ইঙ্গিতে জানাইল যে, আশা নাই। - • - , পটল কুড়ানির কাছে আপনাকে প্রকাশ न कब्रिदा बडीनक आज़ाष्ट्र লইয়া কহিল— “যতীন, সত্য বল, তুমি কি কুড়ানিকে কিছুই ভালবাস না ?” 藻 যতীন চুপ করিয়া রহিল। পটল কহিল, “আজ আর সঙ্কোচ করিবার সময় নাই যতীন।” যতীন পটলকে কোন উত্তর না দিয়া কুড়ানির বিছানার পাশে আসিয়া বসিল । তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়া নাড়া দিয়া কহিল—“কুড়ানি, কুড়ানি । কুড়ানি চোখ মেলিয়া মুখে একটি শাস্তমধুর হাসির আভাসমাত্র আনিয়া কহিল— “কি দাদাবাৰু?” - যতীন কহিল, “কুড়ানি, তোমার এ মালাটি আমার গলায় পরাইয়া দাও !” কুড়ানি অনিমেষ অবুঝ চোখে যতীনের মুখের দিকে তাকাইয়া রহিল। যতীন কহিল—“তোমার মালা আমাকে দিবে না ?” ... " যতীনের এই আদরের প্রশ্রয়টুকু পাইয়া কুড়ানির মনে পূৰ্ব্বকৃত অনাদরের একটুখানি অভিমান জাগিয়া উঠিল। সে কহিল— “কি হবে দাদাবাবু!” । g যতীন দুইহাতে তাহার , হাত লইয়। কহিল, “আমি তোমাকে ভালবাসি কুড়ানি ?” গুনিয়া ক্ষণকালের জষ্ঠে কুড়ানি স্তন্ধ রহিল—তাহার পরে তাহার দুই চক্ষু দিয়া অজস্র জল পড়িতে লাগিল। যতীন বিছানার পাশে নামিয়া হাঁটু গাড়িয়া , কুষ্ঠানির o -