পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brえ ক্ষেমী শব্দ শুনিয়া ব্যস্ত হইয়া আসিয়া কহিল, “বৌঠাকরুণ, করিতেছ কি ?” “তুই য। এখান থেকে” বলিয়া গর্জন । করিয়া উঠিয়া বিনোদিনী ক্ষেমীকে ঘর হইতে বাহির করিয়া দিল । তাহার পরে সশব্দে দ্বার রুদ্ধ করিয়া, দুই হাত মুঠ করিয়া, মাটিতে লুটাইয়া পড়িয়া, বাণাহত জস্তুর মত আৰ্ত্তম্বরে কাদিতে লাগিল! এইরূপে বিনোদিনী নিজেকে বিক্ষত, পরিশ্রাস্ত করিয়া মূচ্ছিতের মত মুক্তবাতায়নের তলে সমস্তরাত্রি পড়িয় রছিল। প্রাতঃকালে স্বৰ্য্যালোক গৃহে প্রবেশ করিতেই তাহার হঠাৎ সন্দেহ হইল, বিহারী বঙ্গদর্শন । [ জ্যৈষ্ঠ। যদি না গিয়া থাকে, মহেন্দ্র যদি বিনোদিনীকে ভুলাইবার জন্ত মিথ্যা বীিয়া থাকে? তৎক্ষণাৎ ক্ষেমীকে ডাকিয়া কহিল—“ক্ষেমী, তুই এখনি যা-বিহারি-ঠাকুরপোর বাড়ী গিয়া তাহদের খবর লইয়৷ আয় !” ক্ষেমী ঘণ্টাখানেক পরে ফিরিয়া আসিয়া কহিল, “বিহারিবাবুর বাড়ীর সমস্ত জান্‌লাদরজা বন্ধ । দরজায় ঘা দিতে ভিতর হইতে বেহার বলিল, ‘বাবু বাড়ীতে নাই, তিনি পশ্চিমে বেড়াইতে গিয়াছেন।” বিদ্যাপতি-প্রসঙ্গ جس-مح6۷ هزام حسامس প্রার ৬৭ বৎসর পূৰ্ব্বে কাৰ্য্যবাপদেশে কোনও স্থানে গিয়া একজন প্রবীণ মৈথিল পণ্ডিতের সহিত আমার পরিচয় হয় । তাহার সহিত মিথিলার বিষয়ে আমার অনেক কথাবাৰ্ত্ত হইয়াছিল এবং প্রসঙ্গত কবি বিদ্যাপতির সম্বন্ধে ও তিনি নানারূপ আলাপ করেন। তখন কবির সম্বন্ধে যে সব নুতন তথ্য পণ্ডিতের মুখ হইতে এবং তাহার পেটকস্থিত হস্তলিখিত পুস্তকাবলী হইতে আমি সংগ্ৰহ করি, সেগুলি একখণ্ড পুস্তিকায় লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলাম, কিন্তু দৈবক্রমে সেই পুস্তিকাথানি হারাইরা বায়। সুতরাং তদবলম্বনে প্রবন্ধসঙ্কলনের স্পৃহাও আমার বিনোদিনীর মনে আর সন্দেহের কোনই কারণ রহিল না । ক্রমশ । অস্তরেই বিলীন হইয়tছিল । গত জ্যৈষ্ঠ মাসে আমি আমার পূৰ্ব্বের অযত্বরক্ষিত কাগজপত্র তোলপাড় করিতে গিয়া মৃতোথিতার হ্যায় সেই পুস্তিকাখনি পুনঃপ্রাপ্ত হইয়াছি এবং তদবলম্বনেই এই প্রবন্ধ সঙ্কলনপূৰ্ব্বক সাধারণের নিকট উপস্থিত করিতেছি। আমি পূৰ্ব্বেই বলিয়। রাখিতেছি যে, ইহা আমার সংগ্ৰহমাত্র, ইহার সত্যাসত্য-নিৰ্দ্ধারণের অবসর বা সুবিধা আমি পাই নাই ; তবে পণ্ডিত যে ভাবে আমাকে বলিরাছিলেন এবং হস্তলিখিত পুস্তকাবলী হইতে যে ভাবে প্রমাণ প্রদর্শনাদি করিয়াছিলেন, তাহাতে আমার বিশ্বাস হইয়াছিল যে, অন্তত