পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ օ নিকটে অগ্রসর হয় এবং আশ্নের আশা মুদূরবর্তী হইতে থাকে। @ - বঙ্গব্যবচ্ছেদের প্রস্তাবে যখন সমস্ত দেশের লোকের ভাবনাকে একসঙ্গে জাগাইয়া তুলিয়াছে, তখন কেবলমাত্র সাময়িক উত্তেজনায় আত্মবিস্কৃত না হইয়া কতকগুলি গোড়াকার কথা স্পষ্টরূপে ভাবিয়া লইতে হক্টবে। প্রথম কথা.এই যে, আমরা স্বদেশের চিতসাধনসম্বন্ধে নিজের কাছে যে সকল আশা করি না, পরের কাছ হুইতে সেই সকল মশি। করিতেছিলাম । য়াই স্বাভাবিক এবং তাছাই মঙ্গলকর । নিরাশ হইবার মত আঘাত বারবার পাইয়াছি, কিন্তু চেতন হয় নাই। এবারে ঈশ্বরের প্রসাদে আর একুটা আঘাত পাইয়াছি, চেতনা হইয়াছে কি না, তাহার প্রমাণ পরে পাওয়া যাইবে । “আমাদিগকে , তোমরা সম্মান দাও, তোমরা শক্তি দাও, তোমরা নিজের সমান অধিকার দাও”—এই যে সকল দলীি আমরা বিদেশী রাজার কাছে নিঃসঙ্কোচে উপস্থিত করিরছি, ইহার মূলে একটা বিশ্বাস আমাদের মনে ছিল । আমরা কেতাব পড়িয়া নিশ্চয় স্থির করিয়াছিলাম যে, মানুষমাত্রেরই অধিকার সমান, এই সামূ্যনীতি আমাদের রাজার জাতির। 萄 কিন্তু সাম্যনীতি সেইখানেই খাটে, যেখানে সাম্য আছে। যেখানে আমারও শক্তি আছে, তোমার শক্তি সেখানে সাম্যনীতি অবলম্বন করে। যুরোপীয়ের প্রতি যুরোপীয়ের মনোহর সাম্যনীতি দেখিতে পাই, তাহ দেখিয়া আশান্বিত হইয় উঠা অঙ্গমের লুন্ধষ্ঠামাত্র । অণক্তের প্রতি শক্ত বৃদি সাম্যনীতি এমন অবস্থায় নিরাশ হু ও বঙ্গদর্শন । 戰 [ ৫ম বর্ষ, আশ্বিন । ,অবলম্বন করে তবে সেই প্রশ্রয় কি অশক্তের পক্ষে কোনোমতে শ্রেয়ঙ্কর হইতে পারে ? সে প্রশ্রয় কি অশক্তের পক্ষে সন্মানকর ? অতএব সাম্যের দরবার করিবার পূৰ্ব্বে সাম্যের চেt করাই মনুষ্যমাত্রের কর্তব্য । তাছার অন্যথা করা কাপুরুষতা । - ইঙ্গ আমরা স্পষ্টই দেখিয়াছি, যে সকল জাতি ইংরেঞ্জের সঙ্গে বর্ণে, ধৰ্ম্মে, প্রথায় সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, তাহাদিগকে ইকার নিজের পাখে স্বচ্ছন্দবিহারের স্থান দিয়াছেন, এমন ষ্টহাদের ইতিহাসে কোথাও নাই। এমন কি, তাহার। ইহাদের সংঘর্ষে লোপ পাইয়াছে ও পাইতেছে, এমন প্রমাণ যথেষ্ট আছে। একবার চিন্ত৷ করিয়া দেখ, ভারতবর্ষের রাজাদের যখন স্বাধীন ক্ষমতা ছিল, তখন তাহারা বিদেশের অপরিচিত লোকমণ্ডলীকে স্বরাজ্যে বসবাসের কিরূপ স্বচ্ছন অধিকার দিয়াছিলেন—তাছার প্রমাণ এষ্ট পশিঙ্গতি । ইsার গেfততা। প্রভৃতি দুইএকটি বিষয়ে হিন্দুদের বিধিনিষেধ মানিয়া, নিজের ধৰ্ম্ম, সমাজ অক্ষুণ্ণ রাখিয়া, নিজের স্বাতন্ত্রা কোনো অংশে বিসর্জন না দিয়৷ হিন্দুদের অতিথিরূপে প্রতিবেশিরূপে প্রভূত উন্নতিলাভ করিয়া আসিয়াছে, রাজা বা জনসমাজের হস্তে পরাজিত বলিয়া উৎপীড়ন সহ করে নাই। ষ্টকার সচিত ইংরেজউপনিবেশগুলির ব্যবহার তুলনা করিয়া দেখিলে পুৰ্ব্বদেশের এবং পশ্চিমদেশের সামাবাদের প্রভেদটা আলোচনা করিবার সুযোগ হইবে । সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় বিলাতী উপনি৭েণীদের একটি সভা বলিয়াছিল, তাইগ্নি বিবরণ হয় ত অনেকে ষ্ট্রেলালপরে পড়িয়া থাকিবেন । তাহার একবাক্যে সকলে हिन