পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झई ज९५T I ] নিঙরেরও সীমা নাই। বিশ্বাসও করিব না, প্রার্থনাও করিব। যদি জিজ্ঞাসা করা যায়," এমন করিয়া সময় নষ্ট করিতেছ কেন, তবে উত্তর পাইবে, এক দলের দয়া না যদি হয় ত আর এক দলের দয়া হইতে পারে, প্রাতঃকালে যদি অনুগ্রহ না পাওয়া যায় ত যথেষ্ট অপেক্ষা করিয়া বসিয়া থাকিলে সন্ধ্যাকালে অনুগ্রহ পাওয়া যাইতে পারে রাজী,ত আমাদের একটি নয়, এইজন্ত বারবার সহস্রবার তাড়া খাইলেও আমাদের আশা কোনোক্রমেই মরিতে চায় না—এম্নি আমাদের মুন্ধিল গুষ্টয়াছে । * به مس কথাটা ঠিক । নছে । পুথিবীর ইতিহাসে ভারতবর্ষের ভাগ্যে একটা অপূৰ্ব্ব ব্যাপার ঘটিয়াছে । একটি বিদেশী জাfত আমাদের উপরে রাজত্ব করিতেছে,– একজন বিদেশী রাজা নহে । একটি দূরবত্তী সমগ্র জাতির কর্তৃত্বভার আমাদিগকে বচন করিতে হইতেছে। ভিক্ষাবৃত্তির পক্ষে এই অবস্থাটাই কি এত অনুকূল ? প্রবাদ আছে যে, ভাগের মা গঙ্গা পায় না, ভাগের কুপোষ্যষ্ট কি মাছের মুড়া এবং দুধের সর পায় ? অবিশ্বাস করিবার একটা শক্তি মামুষের পক্ষে অবশু প্রয়োজনীয় । ইহা কেবল একটা নেতিভাবক গুণ নহে, ইছ কত্ত্বভাবক । ময়ধ্যত্বকে রক্ষা করিতে হইলে এই অবিশ্বাসের *भउtएक निtजब्र *ख्द्रि शब्रl थोड़ रुद्भिग्न গণিতে ছয় ধিনি বিজ্ঞানচর্চায় প্রবৃত্ত, গছাকে অনেক জনশ্রুতি, অনেক প্রমাণহীন কালত ধারণাকে অবিশ্বাসের জোরে খেদা * রাখিতে হয়, নছিলে তাহার বিজ্ঞান পণ্ড ষ্টয়া যায়। ৰিনি কৰ্ম্ম করিতে চান, অৰি আমাদের একজন রাজা অবস্থা ও ৰ্যবস্থা । १४७ শ্বাসের নিড়ানির দ্বারা তাহাকে কৰ্ম্মক্ষেত্র নিষ্কণ্টক রাখিতে হয়। এই যে অবিশ্বাস, ইহা অন্তের উপরে অবজ্ঞা বা ঈর্ষাবশত নছে, নিজের বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি, নিজের কৰ্ত্তব্যসাধনার প্রতি সন্মানবশত । আমাদের দেশে ইংরেজ-রাজনীতিতে অবিশ্বাস যে কিরূপ প্রবল সতর্কতার সঙ্গে কাজ করিতেছে এবং সেই অবিশ্বাস যে কিরূপ নিৰ্ম্মমভাবে আপনার লক্ষ্যসাধন করিতেছে, তাহা পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি । উচ্চ ধৰ্ম্মনীতির মতে, কিন্তু সাধারণ, রাজনীতির দিক্ দিয়া দেখিলে এই কঠিন অটল অবিশ্বাসের জন্য ইংরেজকে দেব দেওয়া যায় না। ঐক্যের যে কি শক্তি, কি भाशच्चा, डाश हेशद्वछ আমাদের চেয়ে ভাল করিয়াই জানে। ইংরেজ জানে, ঐক্যের অনুভূতির মধ্যে কেবল একটা শক্তিমাত্র নহে, পরন্তু এমন একটা আনন্দ আছে যে, সেই অনুভূতির আবেগে মানুষ সমস্ত দুঃখ ও ক্ষতি তুচ্ছ করিয়া অসাধ্যসাধনে প্রবৃত্ত হয় । ইংরেজ আমাদের চেয়ে ভাল করিয়াই জানে যে, ক্ষমতা-অনুভূতির ক্ষত্তি মানুষকে কিরূপ একটা প্রেরণা দান করে। উচ্চ অধিকার লাভ করিয়া রক্ষা করিতে পারিলে সেইখানেই তাহ আমাদিগকে থাকিতে দেয় না—উচ্চতর অধিকারলাভের জন্য আমাদের সমস্ত প্রকৃতি উন্মুখ হইয়া উঠে। আমাদের শক্তি নাই, আমরা পারি না, এই মোহই সকলের চেয়ে ভয়ঙ্কর মোহ । যে ব্যক্তি ক্ষমতাপ্রয়োগের অধিকার পায় নাই, সে আপনার শক্তির স্বাদ জানে না ; সে নিজেই নিজের পরম শক্র । সে জানে যে, আমি অক্ষম, এবং এইরূপ জানাই তাহার দারুণ দুৰ্ব্বলতার