পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ-Ֆ बक्रमर्थन । [ ৫ম বর্ষ, অশ্বিন জিনিষ কিনিবার জন্ত যে সঙ্কল্প করিয়াছি, , ইয়া ঐশ্বর্ঘ্যের আড়ম্বর ও আরামের অভ্যাস সেই সঙ্কল্পটিকে স্তন্ধভাবে, গভীরভাবে স্থায়ী মঙ্গলের উপরে স্থাপিত করিতে হইবে । আমি আমাদের এই বর্তমান উদ্যোগটির সম্বন্ধে যদি আনন্দ অনুভব করি, তবে তাহার কারণ এ নয় যে, তাহাতে ইংরেজের ক্ষতি হইবে, তাহার কার সম্পূর্ণভাবে এও নহে যে তাহাতে আমাদের দেশী ব্যবসায়ীদের লাভ হইবে—এ সমস্ত লাভক্ষতি নানা বাহিরের অবস্থার উপরে নির্ভর করে—সে সমস্ত সূক্ষ্মভাবে বিচার করিয়া দেথা আমার ক্ষম হায় নাই। আমি আমাছের অন্তরের লাভের দিৰূটা দেখিতেছি । আমি দেখিতেছি, আমরা যদি সৰ্ব্বদা সচেষ্ট হইয় দেশীজিনিষ ব্যবহার করিতে প্রবৃত্ত হই, যে জিনিষটা দেশী নহে, তাহার ব্যবহারে বাধা হইতে হইলে যদি কষ্ট অম্বুভব করিতে থাকি, দেশজিনিষ-ব্যবহারের গতিকে যদি কতকটা পরিমাণে আরম ও আড়ম্বর হইতে বঞ্চিত শ্লষ্টতে হয়, যদি সেজন্ত মাঝে মাঝে স্বদলের উপহাস ও নিন্দা সহ্ করিতে প্রস্থত হষ্ট, তবে স্বদেশ আমাদের হৃদয়কে অধিকার করিতে পারবে । এই উপলক্ষ্যে আমাদের চিত্ত সৰ্ব্বদা স্বদেশের অভিমুখ হইয়া থাকিবে । আমরা ত্যাগের দ্বারা, দুঃখস্বীকারের দ্বারা আপন দেশকে যথার্থভাবে আপনার করিয়া লইব । আমাদের আরাম, বিলাস, আত্মমুখতৃপ্তি আমাদিগকে প্রত্যহ স্বদেশ হইতে দূরে লইয়। যাইম্ভেছিল, প্রত্যহ আমাদিগকে পরবশ করিয়া লোকঙ্কিতত্ত্বতের জন্ত অক্ষম করিতেছিল— ञांज श्रांमब्र मकरण भिर्णिब्र शनि निtछब्र প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় দেশের দিকে তাকা কিছুপরিমাণও পরিত্যাগ করিতে পারি, তবে সেই ত্যাগের ঐক্যদ্বারা আমরা পরম্পর নিকটবৰ্ত্তী হইয় দেশকে বলিষ্ঠ করিতে পারিব । দেশীজিনির্ধ ব্যবহার করার ইহাই যথার্থ সার্থকত!—ইহা দেশের পূজা, ইহা একটি মহান সঙ্কল্পের নিকটে আত্মনিবেদন । এইরূপে"কোনো একটা কৰ্ম্মের দ্বার, কাঠিষ্ঠের দ্বারা, ত্যাগের দ্বারা আত্মনিবেদনের জন্য আমাদের অন্তঃকরণ নিশ্চয়ই অপেক্ষ করিয়া আছে—আমরা কেবলমাত্র সভা ডাকিয়া, কথা কহিয়া, আবেদন করিয়৷ নিশ্চয়ই তৃপ্তিলাভ করি নাই । কখনো ভ্ৰমে ও মনে করি নাই, ইহার দ্বারাই আমাদের জীবন সার্থক হইতেছে—ইহার দ্বারা আমরা নিজের একটা শক্তি উপলব্ধি করিতে পারি নাই— ষ্টত। আমাদের চিত্তকে, আমাদের পুঙ্কার ব্যগ্রতাকে, আমাদের সুখদু:খনির পক্ষ, ফলাফলবিচারবিহীন আত্মদানের ব্যাকুলতাকে দুৰ্নিবারবেগে বাহিরে আকর্ষণ করিয়া আনিতে পারে নাই । কি আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তির প্রকৃতিতে, কি জাতির প্রকৃতিতে কোনো একটি মঙ্গ-আহবানে আপনাকে নিঃশেষে বাহিরে নিবেদন করিবার জষ্ঠ প্রতীক্ষা অস্তরের অন্তরে বাস করিতেছে— সেখানে আমাদের দৃষ্টি পড়ে ৰা না পড়ে, তাহার নির্বাণহীন প্রদীপ • জলিতেছেই। যখন কোনো বৃহৎ আকর্ষণে আমরা আপনাদের মারামের, আপনাদের স্বার্থের গম্বর ছাড়িয় আপনাকে যেন আপনার বাহিরে প্রবলভাবে সমর্পণ করিতে পারি, তখন আমাদের ভয় থাকে না, দ্বিধা থাকে নb