পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बई ग९थयो । ] অবস্থা ওঁ ব্যবস্থা । ՀԵ-Գ শক্তিকে উপলব্ধি করিতে পারি—নিজেকে आब्र शैनशैन झर्संग बनिन्त्र भन्न श्ब्र नं। এইরূপে নিজের অন্তরের শক্তিকে ’ এবং সেই শক্তির যোগে, বৃহৎ বাহিরের শক্তিকে প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করাই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের এবং জাতিগত সত্তার একমাত্র চরিতার্থতা । *4 নিশ্চয় জানি, এই বিপুল সার্থকতার জন্ত আমরা সকলেই অপেক্ষা করিয়া আছি । ইহারই অভাবে আজ আমাদের সমস্ত দেশকে বিষাদে আচ্ছন্ন ও অবসাদে ভারাক্রাস্ত করিয়ু রাথিয়াছে। ইহারই অভাবে আমাদের মজ্জাগত দৌৰ্ব্বল্য যায় না, আমাদের পরস্পরের মধ্যে অনৈক্য ঘোচে না, আমাদের আত্মাভিমানের চপলত কিছুতেই দূর হয় না । ইহারই অভাবে আমরা দুঃখবহন করিতে, বিলাসত্যাগ করিতে, ক্ষতিস্বীকার করিতে অসন্মত । ইহারই অভাবে আমরা প্রাণটাকে ভয়মুগ্ধ• শিশুর ধাত্রীর মত একান্ত আগ্রহে অীকৃড়িয়া ধরিয়া আছি, মৃত্যুকে নিঃশঙ্ক বীৰ্য্যের সহিত বরণ করিতে পারিতেছি না । যিনি আমাদের দেশের দেবতা, যিনি আমাদের পিতামহদের সহিত আমাদিগকে একসূত্রে বাধিয়াছেন, গিনি আমাদের সন্তানের মধ্যে আমাদের সাধনাকে সিদ্ভিদান করিবার পথ মুক্ত করিতেtइन, ििन আমাদের এই স্বৰ্য্যালোকদীপ্ত নীলাঞ্চাশের নিয়ে যুগে যুগে সকলুকে একত্র *রির এক বিশেষ বাণীর দ্বারা আমাদের ."লের চিত্তকে এক বিশেষভাবে উদ্বোধিত

  • রিতেছেন–জামাদের চিরপরিচিত ছায়াগোকচিত্র শরণা-প্রান্তর-শস্তক্ষেত্র ধাfয় বিশেষ

তখনি আমরা আমাদের অন্তর্নিহিত অদ্ভুত, মূৰ্ত্তিকে পুরুষাঙ্গক্রমে আমাদের চক্ষের সম্মুখে প্রকাশমান করিয়ু রাখিয়াছে—আমাদের পুণ্যনদীসকল র্যাহার পাদোদকরূপে আমাদের গৃহের স্বারে স্বারে প্রবাহিত হইয়া যাইতেছে, যিনি জাতিনিৰ্ব্বিশেষে হিন্দুমুসলমানখুষ্টানকে এক মহাষজ্ঞে আহবান করিয়া পাশে পাশে বলাইয়া সকলেরই অন্নের থালায় স্বহস্তে পরিবেষণ করিয়া আসিতেছেন দেশের অন্তর্যামী সেই দেবতাকে, আমাদের সেই চিরন্তন অধিপতিকে এখনো আমরা সহজে প্রত্যক্ষ করিতে পারি নাই । যদি অকস্মাৎ কোনো বৃহৎ ঘটনায়, কোনো মহান আবেগের ঝড়ে পর্দা একবার একটু উড়িয়া যায়, তবে এই দেবাধিষ্ঠিত দেশের মধ্যে হঠাং, দেখিতে পাইব, আমর কেহই স্বতন্ত্র নহি, বিচ্ছিন্ন নহি—দেখিতে পাইব, যিনি যুগযুগান্তর হইতে আমাদিগকে શ્રે সুমুদ্রবিধৌত হিমাদ্রি-অধিরাজিত উদারদেশের মধ্যে এক ধনধান্ত, এক মুখদুঃখ, এক বিরাটু প্রকৃতির মাঝখানে রাথিরা নিরস্তর এক করিয়া তুলিতেছেন, সেই দেশের দেবতা দুর্জেয়, তাহাকে কোনোদিন কেহই অধীন করে নাই, তিনি ইংরেজী স্কুলের ছাত্র নহেন, তিনি ইংরেজ রাজার প্রজা নহেন, আমাদের বহুতর দুৰ্গতি র্তাহাকে স্পর্শও করিতে পারে নাই, তিনি প্রবল, তিনি চিরপ্রাগ্রত, ইহার এই সহজমুক্ত স্বরূপ দেখিতে পাইলে তখনই আনন্দের প্রাচুর্য্যবেগে আমরা অনায়াসেই পূজা করিব, ত্যাগ করিব, আত্মসমর্পণ করিব, "কোন উপদেশের অপেক্ষ থাকিবে না। তপন দুর্গম পণকে পরিহার করিব না, তখন পরের প্রসাদকেই জাতীয় উন্নতিলাভের চরম সম্বল মনে করাকে পরিহাস করিব এবং