পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शर्छ ज९९T । ] অবস্থা ও ব্যবস্থা । ab為 শক্তি যে কেবল সম্ভবের পথ দিয়াই কাজ • করে, তাহা নহে ; ইহাতেই বুঝিতে হইবে, দুৰ্ব্বলেরও বল আছে, দরিদেরও সম্পদ মাছে, এবং দুর্ভাগ্যকেই সৌভাগ্য করিয়া তুলিতে *tिद्रन र्शिनेि, সেই জাগ্রত পুরুষ, কেবল আমাদের জাগরণের প্রতীক্ষায় নিস্তব্ধ আছেন। ঙাহার অনুশাসন এ নয় যে, গবষুেণ্ট তোমাদের মানচিত্রের মাঝখানে যে একটা কৃত্রিম রেখা টানিয় দিতেছেন, তোমরা তাহাদিগকে বলিয়া-কহিয়া, কঁাদিয়া-কাটিয়া, বিলাতিজিনিষ-কেন রহিত করিয়া. বিলাতে টেলিগ্রাম ও দূত পঠাইয়া তাতাদের অনুগ্ৰছে সেই রে মুছিয়া ল ৪ । ঠাহাব অল্প শাসন এই যে, বাংলার মাঝখানে যে রাজাই যত গুলি রেখাই টানিয়া দিন, তোমাদিগকে এক থাকিতে হইবে – আবেদন-নিবেদনের জোরে ময়, নিজের শক্তিতে এক থাকিতে হইবে, নিজের প্রেমে এক থাকিতে হইবে । রাজায় দ্বারা বঙ্গ-. বিভাগ স্বটিতেও পারে, না-ও ঘটিতে পারে— তাহাতে অতিমাত্র বিষg বা উল্লসিত হইয়ে। নী—তোমরা যে আজ একষ্ট আকাঙ্ক্ষা অনুভব করিতেছ, ইহাতেই আনন্দিত হও এবং সেই থাকাজার তৃপ্তির জন্ত সকলের মনে একই উম জন্মিয়াছে, ইহার দ্বারাই সাধকতা লাভ रुद्र ! অতএব এখন কিছুদিনের জন্ত কেবল*ये ७कछे रुझरब्रजै আন্দোলন ভোগ করিয়া * শুভ সুযোগকে নষ্ট করির কেলিলৈ চলিবে " আপনাকে সংবরণ কৰিয়া, সংযত করিয়া * আবেগকেনিত্য করতে হবে। আমাদের **কে একটা আঘাতের সাহাৰাে দেশের "দ্য আমরা একলগে সকলে জহুতৰ করিয়াছি,—আমরা হিন্দু-মুসলমান, ধনি-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, স্ত্রীলোক ও পুরুষ সকলেই বাঙালী বলিয়া যে এক বাংলার বেদন অনুভব করিতে পারিয়াছি, আঘাতের কারণ দূর হইলেই বা বিস্তৃত হইলেই সেই ঐক্যের চেতন যদি দূর হইয় যায়, তবে আমাদের মত দুর্ভাগা আর কেহ নাই । এখন হইতে আমাদের ঐক্যকে নানা উপলক্ষ্যে নানা আকারে স্বীকার ও সন্মান করিতে হইবে । এখন হইতে আমরা হিন্দু ও মুসলমান, সহরবাসী ও পল্পিবাসী, পূর্ব ও পশ্চিম, পরস্পরের দৃঢ়বদ্ধ করতলের বন্ধন প্রতিক্ষণে অনুভব করিতে থাকিব। বিচ্ছেদে প্রেমকে ঘনিষ্ঠ করে, বিচ্ছেদের ব্যবধানের মধ্য দিয়া যে প্রবল মিলন সভঘটিত হইতে থাকে, তাহা সচেষ্ট, জাগ্ৰত, বৈদ্যুতশক্তিতে পরিপূর্ণ। ঈশ্বরের ইচ্ছায় যদি আমাদের গভূমি রঞ্জিকীয় ব্যবস্থায় বিচ্ছিন্নই হয়, তবে সেই বিচ্ছেদবেদনার উত্তেজনায় আমাদিগকে সামাজিক সম্ভাবে আরো দৃঢ়ৰূপে মিলিত হইতে হইবে, আমাদিগকে নিজের চেষ্টায় ক্ষতিপূরণ করিতে হইবে, সেই চেষ্টার উল্লুেকই আমাদের পরম লাভ। কিন্তু অনির্দিষ্টভাবে, সাধারণভাবে এ কথা বলিলে চলিবে না । মিলন কেমন করিয়া ঘটিতে পারে একত্রে মিলিয়া কাজ করিলেই মলিন ঘটে, তাহ ছাড়া যথার্থ মিলনের আর কোনো উপায় নাই। , দেশের কার্য্য বলিতে আর ভুল বুঝিলে চলিবে না—এখন সে দিন নাই,—আমি যাহা বলিতেছি, তাহার অর্থ এই, সাধ্যমত নিজেদের অভাবমোচন করা, নিজেদের কর্তব্য নিজে সাধন করা ।