পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शई गर्थे । ] । লোক যে গবমেন্টের চাকরীতে মাথা লিংগ, রাধিরাছেন, ইহার শোচনীয়তা কি আমর চিন্ত কবিব না, কেবল চাকরীর পথ আরো প্রশস্ত করিয়া দিবার জন্য প্রার্থনা করিব ? চাকরীর খাতিরে স্থামাদের দুৰ্ব্বলতা কতদূর বাড়িতেছে, তাহ! কি আমরা জানি না ? আমরা মনিবকে খুসি করিবার জন্য গুপ্তচরের কাজ করিতেছি, মাতৃভূমির বিরুদ্ধে হাত তুলিতেছি এবং যে মনিব আমাদের প্রতি অশ্রদ্ধা করে, তাহার পৌরুষক্ষয়কর অপমানজনক আদেশও প্রফুল্লমুখে পালন করিতেছি—এই চাকরী আরো বিস্তার করিতে হইবে ? দেশের শিক্ষিতসম্প্রদারের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করিতে হইবে ? আমরা যদি স্বদেশের কৰ্ম্মভার নিজে গ্রহণ করিতাম, তবে গবমেন্টের আপিস রাক্ষসের মত্ত আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকদিগকে কি এমন নিঃশেষে গ্রাস করিত ? আবেদনের দ্বারা সরকারের চাকরী নহে, পৌরুষের দ্বার স্বদেশের কৰ্ম্মক্ষেত্র বিস্তার করিতে হইবে । যাহাতে আমাদের ডাক্তার, আমাদের শিক্ষক, আমাদের এঞ্জিনিরারগণ দেশের অধীন থাকিয়া দেশের কাজেই আপনার যোগ্যতার স্ফক্তিসাধন করিতে পারেন, আমাদিগকে তাহার ব্যবস্থা করিতেই হইবে । নতুবী আমাদের যে কি শক্তি আছে, তাহার পরিচয়ই আমরা পাইব না । তা ছাড়া, এ কথা আমাদিগুকে মনে রাখিতে হইবে যে, লার অভ্যাসের আরাই প্রতির উপচ হয়; যদি আমরা শিক্ষিতগণ এমন কোথাও কাজ • *রিতাম, যেখানে দেশের কাজ করিতেছি, এই ধারণ সর্বদা স্পষ্টরূপে জাগ্রত থাকত, সব দেশকে ভালবাস, এ ৰখা নীতিশাস্ত্রের অবস্থা ও’ৰ্যবস্থা । ఇసి সাহায্যে উপদেশ দিতে হইত না। তবে, একদিকে যোগ্যতার অভিমান করা, অন্যদিকে প্রত্যেক অভাবের জন্য পরের সাহায্যের প্রার্থ হওয়া—এমনতর অদ্ভূত অশ্রদ্ধাকর আচরণে আমাদিগকে প্রবৃত্ত হইতে হইত না, দেশের শিক্ষা স্বাধীন হইত এবং শিক্ষিতসমাজের শক্তি বন্ধনমুক্ত হইত। জঙ্গীয়গণ, আৰ্ম্মাণিগণ."প্রবল জাতি নহে—ইহার যে সকল কাজ প্রতিকুল অবস্থাতেও নিজে করিতেছে, আমরা কি সেই । সকল কাজেরই জন্ত দরবার করিতে .দৌড়াই না ? ক্লষিতত্ত্ব-পারদর্শীদের লইয়া আমরাও কি আমাদের দেশের কৃষির উন্নতিতে প্রবৃত্ত হইতে পারিতাম না ? আমাদের ডাক্তার লইয়া আমাদের দেশের স্বাস্থ্যবিধানচেষ্ট। কি আমাদের পক্ষে অসম্ভব ? আমাদের পল্লির শিক্ষাভার কি আমরা গ্রহণ করিতে পারি না ? যাহতে ‘ মামলায়-মকদ্দমায় লোকের চরিত্র ও সম্বল নষ্ট না হইয়া সহজ বিচারপ্রণালীতে সালিশ-নিষ্পত্তি দেশে চলে, তাহার ব্যবস্থা করা কি আমাদের সাধ্যাতীত ? সমস্তই সম্ভব হয়, যদি আমাদের এই সকল স্বদেশী চেষ্টাকে যথার্থভাবে প্রয়োগ করিবার জন্য একটা দল বাধিতে পারি। এই দল, এই কর্তৃসভা আমাদিগকে স্থাপন করিতেই হইবে—নতুবা বলিব, আজ আমরা যে একটা উত্তেজনা প্রকাশ করিতেছি, তাহা মাদকতা মাত্র, তাহার অবসানে অবসাদের পঙ্কশষ্যায় লুণ্ঠন করিতে হইবে। একটা কথা আমাদিগকে ভাল করিয়া বুঝতে হইবে যে, পরের প্রদত্ত অধিকার আমাদের জাতীয়সম্পদুরূপে গণ্য হইতে