পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । কোষ্টিন ང༠༤་༠ mন। এক দিকে বিল, অপর দিকে সমুদ্ৰ— * এবং তালীবনের গভীর প্রদেশে হরিশ্বর্ণ ইহারই মাঝখানে, বালুভূমির উপর, কোচিন স্থাপিত —পুরাতন ঔপনিবেশিক নগ্নর— একটু স্থারভাবাপন্ন -এখনো যেন দেখানে ওন্দাজি ছাপ মুদ্রিত। ৰৈ যুদ্র গৃহে আমি আশ্রয় লইয়াছি, সেখান হইতে সমুদ্রের বেলাভূমি পরিদৃশুমান—বরাট অনন্ত পরিদুখ্যমান। আমার সম্মুখে সেই নীল মহাসমুদ্র,— জারবসাগর। মাথার উপর মধ্যাহ্বগুধ্য— তাহার প্রখয় কিরণে বালুকারাশি ও তটভূমি একপ্রকার শুভ্র ও গোলাপি রঙে উদ্ভাসিত । কাকচীলেরা চীংকার করিয়া আকাশে উড়িতেছে । নিয়মিত সময়াস্তরে, তরঙ্গমালা স্ফীত হইয়া, তটভূমির উপর সবেগে ভাঙিয়া পড়িতেছে । বহিঃসমুদ্রের সুনীল মস্বণ ঝিকিমিকি জলের মধ্য হইতে শিকার-অন্বেষী দুৰ্বত্ত হাঙরদিগের ডানা ও পৃষ্ঠদেশের কিয়. দংশ উকি মারিতেছে। নেত্ৰাভিঘাতী দীপ্ত প্রভার মধ্যে দিগন্তু মিলাইয়া গিয়াছে। যে আবাসগৃহে আমি আজ নিদ্রা যাইব—তাহার কোনো দিকৃ বদ্ধ লহে ; ইহার পশ্চাত্তাগে, नाद्रिtरुजवन cवन दर्टां९ चांद्भद्ध श्हेब्बाइ ; আমার ঘরের জানূল দিয়া, খেন একপ্রকার সবুজ আলোকে সমস্ত লিমদেশ দেখা যাই५७ श् । फेक्क ७णज्रङ्गङ्ग थिणाम-पञाङ्कछि হনীৰ সন্ত-পত্রগুলি স্বচ্ছ প্রভা উদ্ভাসিত যেন ভাস্বর হইয়া উঠিয়াছে। ঐ দেখ, একজন ভারতীয় যুবক একপ্রকার পানীয় আহরণ করিবার জন্ত পদাঙ্গুলির সাহায্যে স্বস্তুবৎ সস্বণ তালতরু বাহিয়া কপিসুলভ চটুলতা ও দ্রুতত সহকারে নিঃশব্দে উপরে উঠিতেছে। যে শেষ প্রতিবিম্বটি গ্রহণ করিয়া আমার নেত্র নিমীলিত হইল, সেটি ঐ চতুভুজ প্রার মনুষ্যমূৰ্ত্তির প্রতিবিম্ব । লোকট। এত শীঘ্ৰ গাছের উপর উঠিয়া গেল যে, তাহার কোনে সাড়াশব্দ পাওঁয়া গেল না।. এই সমুদ্রটি এমন ভাস্বর, এমন গভীর— ইহাকে আজ আমি নিকটে পাইয়াছি, হৃদয়ের মধ্যে যেন অনুভব করিতেছি ; ইহার বিপুল স্পন্দন শুনিতে পাইর আজ আমার কি আনন্দ ! ... এই সেই অবারিত মার্গ, যেখান দিয়া সৰ্ব্বত্র যাতায়াত করা যায় ; সেই মার্গ, যেখান হইতে সুদূর পরিলক্ষিত হয় ; যেখানে প্রতি নিশ্বাসে মুক্তবায়ু গ্রহণ করা যায় ; সেই মার্গ, বাহু। আমার চিরপরিচিত। বাস্তবিক, ইহার সান্নিধ্যে আমার জীবন যেন উজ্জ্বল হইয়া উঠে ; উহাকে পাইলে জামি যেন আপনাকে ফিরিয়া পাই ; মনে হয়, যেন এই দুৰ্ব্বোধ্য দুরবগাহ ভারত হইতে— এই ছায়াচ্ছন্ন তরুসুমাকীর্ণ বদ্ধ ভারত হইতে ক্ষণেকের জন্ত বাহির হইয়াছি। ঐজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ।