পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●8 মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত রাঙ্গামাটি পল্লী প্রাচীন কর্ণসুবর্ণের ধ্বংশাবশেষ। এ সম্বন্ধে তিনি প্রবাদ ও ইতিহাস সংগ্ৰহ করিধ1 প্রকাশ করিয়াছেন । মহাভারতের বীর কর্ণের সহিত কর্ণসুবর্ণের কোন ঐতিহাসিক সম্বন্ধ ছিল, নাম সাদৃশু ছাড়া সে প্রবাদের ভিত্তি আছে বলিয়। পত্রিকাসম্পাদক মহাশয় ৰিশ্বাস করেন না ; আমরাও একথা বিশ্বাস করিষার কোন হেতু দেখিনা । বানান লইয়া কয়েকটি কথা বলিতে ইচ্ছা করি । রাঙ, ভাঙা, ডাঙা, আঙুল প্রভৃতি শব্দ “গ” অক্ষর যোগে লেখা নিতান্তই ধ্বনিসঙ্গতি বিরুদ্ধ । গঙ্গা শব্দের সহিত রাঙা, তুঙ্গ শব্দের সহিত চ্যাঙ শব্দের তুলনা করিলে একথা স্পষ্ট হইবে । মূল শব্দটিকে স্মরণ করাইবার জন্ত ধ্বনির সহিত বানানের বিরোধ ঘটানে কৰ্ত্তব্য নছে । সে নিয়ম মানিতে হইলে চাণকে চান্দ, পাককে পাঙ্ক, কুমারকে কুম্ভার লিখিতে হয় । অনেকে মূল শব্দের সাদৃশু রক্ষার জন্ত সোনাকে সোণা, কর্ণকে কাণ বানান করেন, অথচ শ্রবণ শব্দজ শোনাকে শোণ লেখেন না । যে সকল সংস্কৃতশৰা অপভ্রংশের নিয়মে পুরা বাঙলা হইয়া গেছে সেগুলির ধ্বনি অনুযায়িক বানান হওয়া উচিত । প্রাকৃত ভাষার বানান हेशंद्र डेमांश्ङ्ग१ छ्ण। cछाड़ा, cजांब्रांन्, জাত, কাজ প্রভৃতি শঙ্গে আমরা স্বাভাৰিক বানান গ্রহণ করিয়াছি অথচ অঙ্ক অনেক স্থলে করি নাই । পত্রিক সম্পাদক भशं*ग्न वडिलां वांनांtनङ्ग निब्रभ नवप्क আলোচনা উত্থাপন করিলে মাময় কৃতজ্ঞ হইৰ । জগন্নাথ বিজয় ও কবি মুকুন্দ, সাহিত্য-প্রসঙ্গ । ভাষা ও ছন্দের অপরিণতি আলোচনা করিয়া রসিক বাবু জগন্নাথ বিজয় রচয়িতাকে অত্যন্ত প্রাচীন প্রমাণ কল্পিকার চেষ্টা করিয়াছেন সে যুক্তি অবলম্বন করিলে মাইকেলের পরবর্তী অমিত্রাক্ষর লেখক ও বঙ্কিমের পরবর্তী উপন্যাস-লেখকদিগকে তাছাদের পূর্ববর্তী বলিয়া মানিতে হয়। এ সম্বন্ধে প্ৰযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বন্ধ প্রবন্ধ শেষে যে মত ব্যক্ত করিয়াছেন আমির। তাহ। সঙ্গত বোধ করি । গ্রদীপ । চৈত্র । খ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন প্যারিচাদ মিত্রের রচনা ও জীবনী সমালোচন করিয়াছেন । প্যারীচাদের ভাষা ও রচনারীতি এমনি তাহার স্বকীয় যে আঞ্জ পৰ্য্যন্ত কেহ তাহান্ন নকল করিয়া উঠিতে পারে নাই । তাহার লেখা হইতে সমালোচক স্থানে স্থানে তুলিয়া দিরাছেন, তাহ দেখিলেই বুঝা যাইবে, চলিত ভাষা হইতে ঠিক কথাটি চুনিয়া লইবার ক্ষমতা তাহার যেমন ছিল চারিদিকের প্রাত্যহিক ব্যাপারের মধ্য হইতে ছবির ঠিক রেখাগুলি আদায় করিবার শক্তিও তাহার তেমনি ছিল । ষে দৃপ্ত অতি পরিচিত তাহার প্রতি লোকের দৃষ্টি তেমন করিয়া পড়ে না--তাছার জাগ গোড়াই সমান তুচ্ছ বোধ হয়—সেই সামান্ততার মধ্য হইতে একটি চেহারা বাহির করা রসের অপূৰ্ব্বত। জাগাইয়া তোলা অসামান্ত ক্ষমতার কাজ। স্বষ্টির বিশালত্ব প্রযুক্ত উপেক্সকিশোর স্নায়চৌধুরীর লেখা। অবৈ জ্ঞানিক মাসিক পত্রে দি বৈজ্ঞানিক কিছু লিখিতে হয় তৰে তাছার ভাষা এইরূপ