পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ8 বঙ্গদর্শন । আশা,গঙ্গাজল ব ফুলফুল প্রভৃতি অনেকগুলি ভাল ভাল জিনিষের নাম করিল। বিনোদিনী কহিল—“ও সব পুরাণে৷ হইয়া গেছে ; আদরের নামের আর আদর নাই !” আশ| পছন্দ ?” কহিল— “তোমার কোনটা [देखाई । বিনোদিনী হাসিয়া কহিল—“চোখের বালি ।” শতিমধু নামের দিকেই আশার ঝোক ছিল, কিন্তু বিনোদিনীর পরামশে আদরের গালিটই গ্রহণ করিল। বিনোদিনীর গল। ধরিয়া বলিল-“চোখের বালি !” বলিয়। হাসিয়া লুটাইয় পড়িল । ক্রমশ । জীব-কোষ জীবশরীর কেমন করিয়া ক্রমে ছোট হইতে बङ्ग, क्ल• श्हे८ङ हून। श्ब्र উঠে, পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে পণ্ডিতদের কাছে সে একটা সমস্যা ছিল । জীবকোষ ও তাহার অস্তুত কার্য্য যখন আবিষ্কৃত হইল, তখন সেই সমস্যার মীমাংসা হইল এবং সেই সঙ্গে জীব তত্ত্বের আরো অনেক জটিল ও সুস্ক ব্যাপারের কারণ বাহির হইয়া পড়িল । শতশত বৎসর অন্ধকারে পরিভ্রমণ করিয়৷ প্রাচীনের জীবতত্ত্বের যে সকল তথ্য স্তুপাকার করিয়া গেছেন, আধুনিকের জীবকোষসিদ্ধান্তের সাহায্যে সেইগুলিকে সাজাইয়া গুছাইয়া জীবতত্ত্বকে একটা সম্পূর্ণ শাস্ত্ররূপে গড়িয়া তুলিবার খুব একটা সুযোগ পাইয়াছেন । * কোষসিদ্ধান্তের মোটামুট জ্ঞাতব্য বিষয়টা খুব কঠিন নয়। বিয়ট এইরূপ,—আমরা প্রাণি বা উদ্ভিদ শরীর পরীক্ষা করিলে মনে করি, প্রাণিশরীর বুঝি কেবল রক্তমাংস ও অস্তি এবং উদ্ভিদশরীর বুঝি কেবল কাষ্ঠস্বারা গঠিত ; জীবতত্ত্ববিদগণ অণুবীক্ষণাদি যন্ত্র সাহায্যে পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন, আমরা সহজবুদ্ধিতে ও খালিচোখে পরীক্ষা করিয়া যাহা মনে করি, জীবশরীরের গঠন বাস্তবিক তfছ। নয়,—প্রণি ও উদ্ভিদ শরীরমাত্রই কতকগুলি অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষের সমষ্টিমাত্র । পণ্ডিতগণ এই সকল কোষের একটা বিশেষ ধৰ্ম্ম আবিষ্কার করিয়াছেন । ইহার পরীক্ষা করিয়। দেখিয়াছেন, জীবশরীরস্থ প্রত্যেক কোষই স্বতন্ত্রভাবে বুদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যেমন একটি স্ত্রীজীব হইতে কালক্রমে বহু জীবের উৎপত্তি দেখা যায়, সেইপ্রকার এক একটি কোষ হইতে কালক্রমে সহস্ৰ সহস্ৰ কোষের উৎপত্তি হইয়া থাকে ।