পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয়-সংখ্যা । ] পণ্ডিতগণের মতে ইহাই বিশরীরের বৃদ্ধির প্রধান কারণ । পূৰ্ব্বোক্ত বিষয়টা এখন খুব সহজ বলিয়া বোধ হয় বটে, কিন্তু ধাইট বৎসর পূৰ্ব্বে, কোন পণ্ডিতই এই সহজ তত্ত্বটির সহিত পরিচিত ছিলেন না এবং এমন একট। সহজ উপায়ে যে বিশাল জীবরাজ্যের স্থিতি ও পরিণতি সাধন হইতে পারে, তাছা ও তৎকালে পণ্ডিতগণের মনে স্থান পায় নাই । অধ্যাপক শ্বান (Schwann) গত ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে, এই মতবাদটির কথা প্রথমে প্রচার করেন । একট। লোকের ক্ষুদ্র জীবনের কয়েকটাবৎসরব্যাপি চেষ্টায় কোন এক মহদাবিষ্কার সাধনের কথা আজকাল অসম্ভব না হইলেও, জগতে তাহার উদাহরণ খুব সুলভ নয় । গত উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে উন্নত অণুবীক্ষণাদি যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদ ও জীব শরীর পরীক্ষা করিয়া, পূর্ববৰ্ত্তী পণ্ডিতগণ শ্বানের আবিষ্কারপথ অনেকটা সুগম কfরয়। রাখিয়াছিলেন । এই প্রকার অমুকুল অবস্থায় ন! পড়লে, খান্‌-সাহেব জীবতত্ত্বের এত বড় একট। আবিষ্কার সহজে সাধন করিতে পারিতেন কি না, সন্দেহ । পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী পণ্ডিতগণ উদ্ভিদশরীরে কোষের অস্তিত্ব দেখিয়াছিলেন, এবং কোন কোন পণ্ডিত প্রাণিশরীরে ও কোষের আছে বলিয়া প্রকাশ করিয়া গিয়াছিলেন,— কিন্তু সেই কোষষ্ট যে জীবের একমার গঠনোপাদান এবং সেই জীবকোষের গঠনসামগ্ৰী প্রাণি ও উদ্ভিদ নিৰ্ব্বিশেষে যে মূলে এক, এবং জীবমাত্রেরই গঠনোপাদান এক ****थानौ s डेडिएमब्र भरषा ८ष ७कल्ले 4亨夺 অস্তিত্ব জীব-কোষ । సి(t অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ সৰ্ব্বদাই বৰ্ত্তমান রহিয়াছে,— এ সকল কথা প্রাচীনের কিছুই জানিতেন না । শ্বান ও তাহার শিষ্যবৰ্গ জীবকোষের কার্য্য ও তাহার অস্তিত্বাদির বিশেষ বিবরণ প্রচার করিয়া, প্রথমেই একটু গোলযোগে পড়িয়াছিলেন । জীবমাত্রই যে কোষসমষ্টি, তাহার পরীক্ষাসিদ্ধ প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখাইয়া, তাহারা সাধারণকে বেশ বুঝাইয়৷ রাখিয়াছিলেন ; কিন্তু এক কোষ হইতে বহু কোষের উৎপত্তির প্রমাণ চাহিলে, তাহার। নীরব থাকিতেন । অতি প্রাচীন জীবতত্ত্ববিদগণের বিশ্বাস ছিল,—যেমন চিনির রস হইতে মিছিরির দানা উৎপন্ন হয়, সেইপ্রকার জীবশরীরের একটা অবয়বহান মৌলিক উপাদান হইতে কোষের উৎপত্তি হইয়া থাকে; এই বিশ্বাসের অসত্যতা প্রমাণ করিবার জষ্ঠ শ্বান্‌শিষ্যগণ বহু তর্কবিতর্ক করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহাতে বিশেষ ফল হর নাই। পরে কয়েকটি অণুবীক্ষণবিদ পণ্ডিত একই কোষ হইতে বহুকোষের উৎপত্তি-সম্ভাবনার কতক গুলি প্রত্যক্ষ প্রমাণ উপস্থিত করিলে, অনেকের মনে পুরাতন সিদ্ধাস্তের প্রতি কিঞ্চিৎ অনাস্থা হইয়া পড়িয়াছিল, এবং শেষে শ্বান্‌শিষ্য ডাক্তার ব্যারি ডিম্ব হইতে শাবকোৎপত্তির ক্রিয়। প্রত্যক্ষ দেখাইলে, কোষসিদ্ধান্তের একটু দাড়াইবার স্থান হইয়াছিল। ইহার পর হইতেই নুতন সিদ্ধান্তের উন্নতিযুগ আরম্ভ,— আজকাল নানাদেশীয় জীবতত্ত্ববিদগণের আবিষ্কৃত নুতন নূতন তথ্য ক্রমেই ইহাকে । পরিপুষ্ট করিয়া তুলিতেছে।