পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থসংখ্যা । ] ङिन भ्क्तः । S&&. সহিত আমার মুর মিশাইয়া মিষ্টতা ও বল বৃদ্ধি করি ; কিন্তু পাচটা যন্ত্রের সংযোগে আমার স্বর প্রস্তুত করি না । হিন্দু গ্ৰহণ করে, সংযোগ করে, কিন্তু নিজের প্রতিষ্ঠা বা ভিত্তি ছাড়ে না। এই একনিষ্ঠ উদারত श्लूिजांङिब्र बिटनव ७१। आज श्नूिসস্তানেরা সেই একনিষ্ঠতা—সেই উদারতা হায়াইয়া, তেজোহীন ও অপ্রতিষ্ঠ হইয়াছে । একজন ‘হিন্দু'শব্দের অর্থ করিয়াছে— “হীন” ও “দূরপলাতক”। বাস্তবিকই হিন্দু স্থানের হীনতার অবধি নাই। হিন্দু নিঃসত্ত্ব হইয়াছে। এই দুর্দশার প্রতীকার আবশ্যক। পশ্চাতে হটিয়া যাওয়া যায় না এবং দাড়াইয়া থাকা ও শ্রেয়স্কর নহে । অগ্রসর হইতেই হইবে। এখন কোন প্রণালীতে আমাদের গতিবিধি নিয়মিত করা উচিত । প্রথমে আত্মমর্য্যাদাজ্ঞান আবশ্যক । আমাদের কিছু আছে, আমরা অসার নহি, এইরূপ বোধ হওয়া চাই । অধ্যাত্মদর্শনের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে বুঝা যায়, বেদান্তশাস্ত্র এক অপূৰ্ব্ব, অপরিবর্তনীয় তত্ত্বকথা হিন্দুজাতিকে শুনাইয়াছে। কিন্তু পাশ্চাত্য দর্শনগবেষণা যদি গ্রহণ না করি, তাহ। হইলে সেই বেদান্ততত্ত্ব পরিপুষ্ট ও কাৰ্য্যকারী হইবে না। যুরোপে অধ্যাত্মদশন নাই—ইহা এক ঘোর প্রমাদ । সাধাতুলের (Plato) মত আত্মদর্শী কয়জন জন্মিয়াছে ? কান্ত (Kant) ও হেগেলের শ্যায় অদৃপ্তদশী অতি বিরল। যদি আমরা নিবিদ্যায় অগ্রসর হইতে চাই, তাহ হইলে এতচ্যদর্শনকে শিরোধাৰ্য্য করিতে হইবে। কিন্তু আদান করিতে গিয়া যেন বেদান্তভ্রষ্ট হইয়ানা যাই। বেদান্ত হিন্দুর প্রতিষ্ঠাস্থানীয় চিরকালই থাকিবে । কিন্তু জৰ্ম্মণদর্শনের সহিত সংম্পর্শ ঘটাইয়া তাহাকে বিকশিত ও স্ব টক্কত করিতে হইবে। যাহারা বলেন, বেদান্ত ব্রহ্মের লক্ষণসম্বন্ধে আংশিক সভ্য বলিয়াছে এবং জৰ্ম্মণ হেগেলও আংশিক কথা বলিয়াছে—দুটা মিলাইয়া পূর্ণ করিয়া লইতে হইবে —, তাহারা সত্য যে কি বস্তু তাহার আভাস পর্য্যস্ত বোধ হয় দেখেন নাই। আর যাহারা, বেদান্তেই সব আছে, মেচ্ছদিগকে ঘরে ঢুকাইবার কোন আবশ্যক নাই, এইরূপ বিবেচনা করেন, তাহার সংস্পৰ্শজনিতক্রমবিকাশবিধি কাহাকে বলে, তাহা জানেন না । সমাজসংস্কারবিষয়ে এইরূপ আমাদের নিজের ভিত্তির উপর দাড়ান উচিত । বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্মই সেই ভিত্তি। বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম বলিলে কেহ যেন বর্তমান কৰ্ম্মভ্রষ্ট শতবিভাগচূর্ণ সামাজিকত মনে না করেন। যুরোপ হইতে আমরা স্বাধীনতা, মৈত্রী, সাম্য, গ্রহণ করিব, কিন্তু বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্মকে নষ্ট হইতে দিব না । ঐ সমস্ত যুরোপীয় প্রথা বর্ণধৰ্ম্মের উপর প্রতিষ্ঠিত হইলে ফলকরী হইবে, নহিলে বিষফল ফলিবে । রাজনৈতিক সংস্কার সম্বন্ধেও ঐরূপ প্রণালী । জাতীয় মহাসভার নেতারা মনে করেন যে, আমাদের রাজনীতি কিছুই ছিল ন। যুরোপ হইতে ইহার আমদানি করা আবখ্যক । ইংলণ্ডে যেমন লোকের ভোটের উপর রাজ্যশাসন নির্ভর করে, সেইরূপ আমরাও এ দেশে ভোট চালাইব। কিন্তু