চতুর্থসংখ্যা । ] , চোখের বালি।” \xt হাস্তচ্ছলে আশাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, —“আচ্ছ। তোমার অযোগ্য এই স্বামীটিকে চোখের বালির কেমন লাগিল ?” প্রশ্ন করিবার পূৰ্ব্বেই আশার কাছ হইতে এ সম্বন্ধে উচ্ছাসপুর্ণ বিস্তারিত রিপোর্ট, পাইবে, মহেঞ্জের এরূপ দৃঢ় প্রত্যাশা ছিল ! কিন্ত সে জন্ত সবুর করিয়া যখন ফল পাইল না, তখন লীলাচ্ছলে প্রশ্নটা উত্থাপন করিল । আশা মুস্কিলে পড়িল । চোখের বালি কোন কথাই বলে নাই । তাছাতে আশা সর্থার উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়াছিল। স্বামীকে বলিল—“রোস, দু’চারি দিন আগে আলাপ হৌক, তার পরে ত বলিবে । কাল কতক্ষণেরই বা দেখা, ক’ট কথাই বা হইয়াছিল ?” ইহাতে ও মহেন্দ্র কিছু নিরাশ হইল এবং বিনোদিনীসম্বন্ধে নিশ্চেষ্টত দেথান তাছার পক্ষে আরো দুরূহ হইল । এই সকল আলোচনার মধ্যে বিহারী আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“কি মহান দl, আজ তোমাদের তর্কট কি লইয়া ?” মহেন্দ্ৰ কহিল—“দেখ ত ভাই, কুমুদিনী ন। প্রমোদিনী না কাল্প সঙ্গে তোমার বৌঠা’৭ চুলের দড়ি না মাছের কাটা না কি 4कül *ोङाहेब्रांटइन, किड़ ७धांभांटकs তাই বলিয়। তার সঙ্গে চুরোটের ছাই কিংবা দেশালাইয়ের কাঠি পাতাইতে হইবে, এ হইলে ত বঁচি যায় না।” আশার ঘোমটার মধ্যে নীরবে তুমুল *** षनारेब्रा फेलॆिण । विहांईौ कशकोण দিক্ষত্তরে মহেঞ্জের মুখের দিকে চাহিয়৷ wo হাসিল—কহিল, “বোঠাণ, লক্ষণ ভাল নয় । এ সব ভোলাইবার কথা ! তোমার চোখের বালিকে আমি দেখিয়াছি ; আরো যদি ঘনঘন দেখিতে পাই, তবে সেটাকে দুর্ঘটনা বলিয়া মনে করিব না, সে আমি শপথ করিয়া বলিতে পারি। কিন্তু মহীন দ। যখন এত করিয়া বে-কবুল যাইতেছেন, তখন বড় সন্দেহের কথা !" . মহেন্দ্রের সঙ্গে বিহারীর যে অনেক প্রভেদ, আশা তাহার আর একটি প্রমাণ পাইল । হঠাৎ মহেন্দ্রের ফোটোগ্রাফ অভ্যাসের সথু চাপিল । পুৰ্ব্বে সে একবার ফোটোগ্রাফি শিখিতে আরম্ভ করিয়া ছাড়িয়া দিয়াছিল । এখন আবার ক্যামের মেরামত করিয়া আরক কিনিয়া, ছবি তুলিতে মুরু করিল। বাড়ীর চাকর-বেহারাদের পর্য্যস্ত ছবি তুলিতে লাগিল । আশা ধরিয়া পড়িল, চোখের বালির একটা ছবি লইতেই হইবে । মহেন্দ্র অত্যন্ত সংক্ষেপে বলিল— “আচ্ছা!” চোথের বালি তদপেক্ষা সংক্ষেপে বলিল—“না !” আশাকে আবার একটা কৌশল করিতে হইল। এবং সে কৌশল গোড়া হইতেই বিনোদিনীর অগোচর রহিল না । মতলব এই হইল,মধ্যাস্তুে আশা তাহাকে নিজের শোবার ঘরে আনিয়া কোনমতে ঘুম পাড়াইবে এবং মহেন্দ্র সেই অবস্থার ছবি তুলিয়া অবাধ্য সখীকে উপযুক্তরূপ জঙ্ক কল্পিৰে ।
