পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্রনিৰ্বাচন । সস্তানে পিতামাতার গুণের রূপান্তরপরিগ্রহ এক অদ্ভূত ব্যাপার। যে রোগ দম্পতির শরীরে বর্তমান, সন্তানে যে অবিকল তাহাই পরিস্ফুট হইবে, এরূপ নিশ্চয়তা নাই । মা তালের পুত্র মা তাল হইলে অপরিবর্তিত সংক্রমণ হয় । কিন্তু দেখ। গিয়াছে, মাতালের বংশধরদিগের মধ্যে হয় ত কেহ মাতাল, কেহ উন্মাদগ্ৰস্ত, কেহ উৎকট রিপুপরবশ । উপরের লিখিত বিষয় সম্বন্ধে আমার নিজ অভিজ্ঞতা হইতে কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিব । কোন একজন সম্পন্ন লোক নিতান্ত সুরামত্ত ছিলেন । ঠহার দুইটিমাত্র সন্তান। তন্মধ্যে পুত্রটি সৰ্ব্ববিধ মাদকের দাস হইয়া নিতান্ত অধমত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে ; কন্যাটি পতিত রমণীদিগের সংখ্যাবুদ্ধি করিয়াছে। অন্য এক পরিবারে পিতা খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু নিতান্ত কগণ ও মদ্যপায়ী, মাতা অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সে গতাস্থ হইয়া, ছেন। সস্তানদিগের মধ্যে একটি পুল আল্পবয়সেই মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছে ; আর একটি পুত্র নিতান্ত নিৰ্ব্বোধ ; অন্য একটি পুত্র ও আশাজনক নচে । অন্য একটি পরিবারের অবস্থা এইরূপ— পিতা—মাত৷ (হস্থ) - (বাদ্ধকো বাতব্যাধিগ্রস্ত ) l | পুত্র পুত্র (रह } ( बांङवाiशिऽश्रु; श्झाब्र ( ই হার পত্নীও পত্নী মুস্থ ) द्रश् ) | |----- ੇ ਬੈ। ‘’ (ਚੋਂ) ( বাতব্যাধি- ( কুরামত্ত ও বাত গ্রস্ত ) ব্যাধিগ্রন্ত ) অঙ্গহীনতা ও পুরুষানুক্রমে সংক্রমিত হয়। অন্ধ, মূক, বধির প্রভৃতির সন্তান সেই সব ক্রটি লইয়া জন্মিতে পারে । কিন্তু এ সম্বন্ধে একটি কথা আছে । মানবদেহের সৰ্ব্বাংশে অতিস্বহ্ম কোষ বা cell সমূহ বর্তমান । তাহার প্রত্যেকটি কোষে শরীবের প্রত্যেক-অংশগঠনোপযোগি-শক্তি আছে বলিয়া বৈজ্ঞানিকগণ অনুমান করেন। ( Darwin, দ্রষ্টব্য ) সৃদি কোনও অঙ্গের পীড়া হয়, তাঙ্গর ক্ষতিপূরণের জন্য শরীরস্থ সমস্ত কোযের তদুপযোগি-শক্তি নিযোজিত হইবে ; যথা, বাহুতে কুষ্ঠাদিরোগ হইলে সমগ্রী দেহের কোষরাশি হইতে বাহুগঠনোপযোগিশক্তি ব্যয়িত হইতে থাকে। যদি সেই শক্তি সম্পূর্ণ ব্যয় হইরাও আরোগ না হয়, বাহুটি পচিয়! যাইবে । তখন আর সেই শরীরে বাহুগঠনোপযোগি-শক্তি নাই । পিতামাতার শরীরের যে আণুবীক্ষণিক অংশ লইয়া সস্তানের দেহ গঠিত হয়, তাহাও ঐরূপ কোষমাত্র। যাহার বাহু পূৰ্ব্বোক্তরূপে নষ্ট হইয়াছে, তাহার সন্তানোৎপাদক দেহাংশে বাহুগঠনোপযোগি-শক্তির অভাবে সন্তান বাহুহীন হইবে। কিন্তু কোন ব্যক্তি যুদ্ধাদিতে খণ্ডিতবাহু হইতে পারে। তাহার সস্তান কখনও অপুর্ণাঙ্গ হইবে না ; কারণ, তাহার কোষসমূহের শক্তি পুর্ণরূপে বর্তমান। দীর্ঘজীবিত্ব বা অল্পায়ুষ্কত্বও পুরুষামুক্রমে সংক্রমিত হইতে পারে । বহুসস্তানবত্তা বা বন্ধ্যত্বও তদ্রুপ । সুপ্রসিদ্ধ গ্যাণ্টন theory of pangenesis