পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ লাভ করে নাই ; এজন্য ভারতবাসীকে তিরস্কার করা একটা প্রথা দাড়াইয়াছে। কিন্তু এ বিষয়ে ভারতবর্ষের সহিত ইউরোপের কোন একটা দেশের তুলনা ঠিক সঙ্গত নহে। বরং সমগ্র ইউরোপের সহিত ভারতবর্ষের তুলনা হইতে পারে। আয়তনে বা লোকসংখ্যায় ভারতবর্ষের সহিত ইউরোপ-মহাদেশেরই তুলনা হয় ; ইউরোপের অন্তর্গত কোন দেশের তুলনা হয় না । রোমসম্রাট সমগ্র ইউরোপকে একচ্ছত্র করিতে পারেন নষ্ট । দুইসহস্ৰ বৎসর চেষ্টার পর সেই চেষ্টা নিস্ফল বলিয়া পরিত্যক্ত হইয়াছে। সমগ্র ইউরোপ খ্ৰীষ্টানধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছে ; কিন্তু এক হয় নাই। প্রায় সমগ্র ইউরোপ রোমের সভ্যতার উত্তরাধিকারী, তথাপি সমগ্র ইউরোপ এক হয় নাই । তখন ভারতবর্ষের মত প্রকাণ্ড দেশ, যাহা আয়তনে ইউরোপ অপেক্ষা অধিক ছোট নহে, যাহার লোকসংখ্যা ইউরোপের সমান, যাহার ভিতরে বর্ণভেদ, জাতিভেদ, ধৰ্ম্মভেদ, ভাষাভেদ, আচারভেদ প্রভৃতি ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশী, সেই প্রকাগু দেশের সমগ্র অধিবাসী ষে ঐক্যবন্ধনে আবদ্ধ হইয়া একটা বৃহৎ রাষ্ট্রের স্বষ্টি করে নাই, ইহাতে বিস্মিত झहेबांद्र किङ्कहे नाहे । वव्र२ हेछेहब्रां८°ब्र মধ্যে যেরূপ জাতিবিদ্বেষ ও ধৰ্ম্মবিদ্বেষ বৰ্ত্তমান, ভারতবর্ষের মধ্যে সেরূপ জাতিবিদ্বেষ বা ধৰ্ম্মবিদ্বেষ কোন ও কালে ছিল না । ংরাজ ও ফরাসী, ফরাসী ও জৰ্ম্মাণ, জৰ্ম্মাণ ও রুশ, ইংরাজ ও রুশ, ইহাদের মধ্যে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতী, ঈৰ্ষ্য, বিদ্বেষের মাত্র। বঙ্গদর্শন। [ ভাল অত্যন্ত তীব্র । বাঙালী ও বেহারী, বেহারী ও পঞ্জাবী, মরাঠ ও রাজপুত, ইহাদের মধ্যে সেরূপ তীব্র বিদ্বেষ বা ঈর্ষ্য কোনও কালেই ছিল না। আবার ইউরোপে প্রোটেষ্টাণ্ট ও কাথলিকের মধ্যে যেরূপ বিদ্বেষ, মারামারি, রক্তারক্তি ঘটিয়াছে, ভারতবর্ষের হিন্দুসমাজের বিভিন্ন-সম্প্রদায়-মধ্যে, শাক্তে শৈবে বা শাক্তে বৈষ্ণবে, এমন কি হিন্দু বেীদ্ধেও, সেরূপ রক্তারক্তি ব্যাপার কখনও ঘটে নাই । বোধ করি, এইরূপ ধৰ্ম্মগত বিদ্বেষ ভারতবাসীর সম্পূর্ণ স্বভাববহিভূত । ইউরোপের সহিত ভারতবর্ষের তুলনা করিলে, ঐক্যের অভাবে ভারতবাসীকে তিরস্কার উচিত হর না । সমগ্র ইউরোপ এক হয় নাই, উহার অন্তর্গত ক্ষুদ্র থওরাষ্ট্ৰ,গুলি জমাট বাধিয়া এক একটা মহা প্রতাপ নেশনে পরিণত হইয়াছে। এই রূপে সমগ্ৰ ভায়তবর্ষ এক মহারাষ্ট্রে, পরিণত না হইয়। যদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে, পরিণত হই ত, তাহা হইলে ও ভারতবর্ষের পতন অনিবার্য না হইতে ও পারিভ । এইজন্ত আমার বোধ হয়, ভারতবর্ষে রাষ্ট্রায় অনৈক্য, বহুসংখ্যক থওরাজ্যের অস্তিত্ব, পতনের একটা প্রধান কারণ হইলে ও প্রধানতম কারণ নহে। ভারতবর্ষ ইউরোপের মত বহু রাষ্ট্রে, বিভক্ত হইলেও ভারতবর্ষের পরাধীনতা অনিবাৰ্য্য হইত না । ভারতবর্ষের পতনের কারণ যে উছার অন্তর্গত রাষ্ট্ৰ,গুলি নেশনে পরিণত হয় নাই । রাষ্ট্রে, ब्रारटे, श्रटेनका उ छ्णिहे, किढ ७थरठाक ब्रांछे, মধ্যে প্রজাশক্তি রাজশক্তি হইতে वृिऋिब्र ছিল । রাজশক্তি প্রজাশক্তির উপর প্রতিষ্ঠা