পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪৬ বিপরীত দিকে ঠেলিয়া লইয়া গেছে । তাহারা বলে, নেশনৃদের মধ্যে শাস্তিস্থাপনের আশা বাতুলের খেয়ালমাত্র। ইত্যাদি। এই সকল বিরোধ-বিদ্বেষের বাক্য লক্ষলক্ষ খণ্ড ছাপা হইয়া দেশে বিদেশে বিতরিত হইতেছে। এই প্রাত্যহিক বিষের মাত্র নিয়মমত পান করিয়া দেশের ক্ষতি হইতেছে, সন্দেহ নাই । প্যাটিয়টিজম, ধৰ্ম্মনীতি, বিজ্ঞান প্রভৃতি কতকগুলি বাধি বোল আছে, যাহা লোকে মুখে উচ্চারণ করে, এবং সে সম্বন্ধে আর চিন্তা করিবার প্রয়োজন বোধ করে না । সে বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করিতে গেলেই হাতাহাতি বাধিয়া যায়। বাধিবোল মুখে মুখে চলিয়া যায়—লোকে নিঃসংশয়ে জীবনযাপন করে। প্যাটিয়টিক্‌ খুনাখুনী অথবা যোদ্ধ ধৰ্ম্ম, এইরূপের একটা বাধিবোল। যুরোপীয় লেখক যে কথা বলিতেছেন, তাহার উপরে আমরা আর কি বলিব ? র্তাহীদের পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া নাই বলিয়া লেখক অনেক দুঃখ করিয়াছেন— আর ইংরাজে ভারতবর্ষীয়ের মধ্যে যে বোঝাপড়ার অভাব দাড়াইয়াছে, সে জন্য আমাদের কি দুৰ্গতি ঘটতেছে, তাহ) প্রত্যহই প্রত্যক্ষ হইতেছে। প্রাচ্যজাতীয়ের প্রতি,— ভারতবর্যায়ের প্রতি অবজ্ঞা ইংরাজি সাহিত্যের হাড়ে হাড়ে প্রবেশ করিয়াছে । ইংরাজ বালকদিগকে ইংরাজ বীরত্বের দৃষ্টাস্তে উৎসাহিত করিবার জন্ত যে সকল ছেলেভুলানো গল্প ঝুড়িকুড়ি বাহির হইতেছে, তাহাতে মুটিনি গল্পের উপলক্ষ্য করিয়া ভারতবর্ষীয়দিগকে রক্তপিপাসু পশুর মত বঙ্গদর্শন। [ আশ্বিন। অ’াকিয়া দেবচরিত্র ইংরাজের সহিত তাহাদের পার্থক্য প্রমাণ করিতেছে । ফরাসীকে ইংরাজের ঠিক বুঝিবার উপায় আছে—পরস্পরের আচার, ব্যবহার, ধৰ্ম্ম, বর্ণ, একই-প্রকার,–কিন্তু আমাদের মধ্যে যথার্থই পার্থক্য বিদ্যমান । সেই পার্থক্য অতিক্রম করিয়া, এমন কি, সেই পার্থক্যবশতই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আকর্ষণ কৰে ঘটবে, তাহা বিধাতা জানেন । কিন্তু ইতিমধ্যে অতু্যক্তি ও মিথ্যার দ্বারা অন্ধত, অবিচার ও নিষ্ঠুরতা স্বষ্টি করিতেছে । বস্তুত এই অন্ধত। নেশন্তরেই মূলগত ব্যাধি । মিথ্যার দ্বারা হউক, ভ্রমের দ্বারা হউক্, নিজেদের কাছে নিজেকে বড় করিয়া প্রমাণ করিতেই হইবে এবং সেই উপলক্ষ্যে অন্য নেশনকে ক্ষুদ্র করিতে হইবে, ইহা নেশনের ধৰ্ম্ম—ইহা প্যাটিয়টিজ মের প্রধান অবলম্বন । গায়ের জোর, ঠেলাঠেfল,অন্যায় ও সৰ্ব্ব প্রকার মিথ্যাচারেয় হাত হইতে নেশন তন্ত্রকে উপরে তুলিতে পারে, এমন সভ্যতার নিদর্শন ত আমরা এখনো যুরোপে দেখিতে পাহ না । পরম্পরকে যথার্থরুপ জানা শুনা কেমন করিয়া সম্ভব হইবে ? নেশনের মেরুদণ্ডছ যে স্বার্থ। স্বার্থের বিরোধ অবশ্যম্ভাবী, এবং স্বার্থের সংঘাতে মানুষকে অন্ধ कब्रिरवहे । इंश्ब्राय मनि शमूब ७निब्रांब्र কোন প্রকার স্বঘোগ ঘটাইতে পারে, ফ্রান্স, তখনি সচকিত হইয়া ভাবিতে, থাকিবে, ইংরাজের বলবৃদ্ধি হইতেছে। প্রত্যক্ষ ংঘাত না হইলেও, পরস্পরের সমুদ্ধিতেওঁ পরস্পরের চিত্তকে বিষাক্ত করে । এক