পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ-সংখ্যা । ] নিজেদের ক্ষুদ্র খেলাঘরের খেলার দেবতার জন্যই তাহ সংগ্ৰহ করিত । বালক-বালিকা ও অভিভাবকবর্গের নিকট তরুণী এবং প্রৌঢ়া গ্রামবধুরা ফুল চাহিয়া লইত ; অনেক সময় না চাহিয়াই পাইভ । সেই বিচিত্র কুসুম, তুলসীদলমঞ্জরী ও বিচিত্র পত্রের দ্বার। তাহার। কত মনোহর মাল্য আর বিচিত্র আ ভরণ রচনা করিয়া দেবমন্দিরে দান করিতেন। পূজক অপরাহ্লে সেই কারুখচিত মালা ভারণে বিগ্ৰহ সাজাইতেন। সন্ধ্যrরতির সময় শুভ্র দীপ, মালার আলোকে আবালবৃদ্ধ নরনারা কুসুমাভরণশোfভ ও বিগ্ৰহ দশন করিয়৷ তৃপ্তিলাভ করিতেন । মান্তে চরণামৃত সকলেই নিৰ্ম্মালা লাভ কfরতেন, আভরণ রচয় এাগণ আন্তঃপুরে থাকিয়া ও ন’ক্সালাবি তরণের যোগ্য অংশে বঞ্চিত হচতেন না । তখন সেই প্রসাদী পুষ্পাভরণ প্রিয়জনগণের পরম্পর উপহারে বিfচয় কী ভুtয় সাদরে ব্যবহৃত হইত । বৈশাখমাসের প্রা ও মঙ্গলবারে মঙ্গলচষ্ট্ৰীদেবীর পুঞ্জ। প্রবন্ধলেখকের দেশে প্রতি হিন্দুগৃহে মমুষ্ঠিত হইয়া থাকে, তখন গরিব প্রতিবেশীর পুরোহি গুগুছে বা পাড়ার বদ্ধিষ্ণু ব্যক্তিবিশেষের বাড়ীতে নিজেদের সামান্ত পুজোপকরণ ও একটি ঘট লইয়। গিয়া একসঙ্গে পূজা করিত । বল বাহুল্য, পরপরের সহযোগে তখন এই সকল উৎসব পত গুণে উৎসাহময় হইয়া উঠিত। সেই মঙ্গলচণ্ডীপূজার পুর্বরাত্রি, পুস্পাহরণকারী ***इप्नब चांनननशैण्ड भूषब्रिड इहेब्र আরতির পরে প্রণা পান করিয়৷ পল্লীর সেকাল ও একাল। ←© উঠিত। মনে আছে, সেই ফুলতোলা উপলক্ষ্যে কত রাত্ৰিজাগরণ, অভিভাবকগণের নিকট কত অসঙ্গত কারণ প্রদর্শন, কত কঁাটাফোটা, কত বৃষ্টিতে ভিজা, কত বন্ধুলাভ, আর কত বন্ধুবিচ্ছেদই না ঘটিয়াছে । তখন বালকদিগের পুপ-বিল্বপত্র আহরণে, বালিকাগণের দুৰ্ব্বাদল আহরণ ও কুশাকুশি প্রভৃতির মার্জনে—গৃহিণীকুলের সাগ্রহ পুজার আয়োজনে, গৃহস্বামিগণের বাস্ত কর্তৃত্বে, মঙ্গলচণ্ডীপূজায় যে উৎসাহের অভিনয় হই ত – আনন্দের লহরী উথলিয়। উঠিত, বৰ্ত্তমানের দুর্গোৎসব ও তাহার তুলনায় নি তা স্তই নিৰ্জ্জীব । পুরোহিত মাসিয়। যখন পুজায় বসিয়া শঙ্খধ্বনি করিতেন, তখন বালক-বালিকার দাপ্ত উৎসাহে কঁশির ঘড়ি প্রভৃতির গাত্রে নিৰ্দ্দয় প্রহার করিয়। মঙ্গলচণ্ডিকা দেবীর মৰ্চনাস’ বাদ প্রতিযোগী বালক-বালিকাগণকে জানাইয়। দিত। পূজা শেষ হইয়৷ গেলেই প্রসাদের পালা । বালক বালিকার ও অনেকে পূজাপয্যন্ত স্বেচ্ছায় উপবাসী থাকিয়া কিরূপ পরিতৃপ্তির সহিত প্রসাদ ভোগ করিত, তাহ! কিয়ং পরিমাণে পল্লীর বালকবালিকার আজি ও অম্বুমান করিতে পারে। এই সকল উৎসবের প্রধান অঙ্গ শিশুগণ ; তাহারাই উৎসবের আনন্দকে তরঙ্গিত করিয়া তোলে, এবং এই আনন্দের হিন্নোলে তাহাদের জীবন সৰ্ব্বদা আন্দোলিত ও পরিপুষ্ট হইতে থাকে। বৈশাখমাসের, আর এক উৎসব ফুলদোল বা চন্দনী যাত্রা । পুরাণোক্ত দ্বাদশ