পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१२ বঙ্গদর্শন। স্বপ্ন-কালের মনেfরাজ্য যেমন কামনামাতৃক, জাগ্রৎকালের বিজ্ঞান-রাজ্য তেমনি বুদ্ধি-মাতৃক ; আর, সেই বিজ্ঞান-রাজ্যের বস্তু-সকলের সত্তা ব্যাবহারিক সত্তা । সে সত্তা দ্বৈতগৰ্ত্তা। ব্যাবহারিক সত্তার দুই পৃষ্ঠে অপর দুইৰিধ সত্তার সংশ্লেষ রহিয়াছে স্পষ্ট। বিজ্ঞান-রাজ্যের বস্তু-সকলের এপৃষ্ঠের সত্তা প্রাতিভাসিক সত্তা, ও-পৃষ্ঠের সত্তা বাস্তবিক সত্তা, এবং সমগ্র অবয়বের সত্তা ব্যাবহারিক সত্তা । সাবধানী পোদ্দার যেমন পরীক্ষিতব্য টাকার দুই পিট উল্টিয়া পাণ্টিয়া দেখে, এখানে তেমনি বিজ্ঞানরাজ্যের বস্তু-সকলের ব্যাবহারিক সত্তার দুই পিট এবং তাহার পরে তাহার সমগ্র অবয়ব একে একে পর্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখা বিধেয় ; তাহারই এক্ষণে চেষ্টা দেখা যাই ८उछु । & ( ১ ) ব্যাবহারিক সত্তার ea fèiè আমি যখন আমার সম্মুখে ঐ থামটা দেখিতেছি, তখন দেখিতেছি আর কিছু না—ঐ থামটা’র মধ্য হইতে উহার বাস্তবিক সন্তু বাদ দিলে যাহ অবশিষ্ট থাকে, তাহাই দেখিতেছি—উহার শ্বেতবর্ণ উন্নত স্থলীকৃতি মাত্র দেখিতেছি। মনে কর, আমি ঐ থামটার বাস্তবিক সত্ত। একেবারেই অগ্রাহ করিয়া শুদ্ধ কেবল উহার শ্বেতবর্ণ উন্নত স্থলাকৃতির প্রতি একদৃষ্টে চাহিয়া অাছি ; একদৃষ্টে চাহিয়া থাকিতে থাকিতে, মনে কর, অামার চক্ষে একপ্রকার তন্ত্রার ঘোর আসিল, আর, সেই-গতিকে ঐ থামট স্বপ্নের ন্যায় একটা প্রাতিভাসিক দৃশ্যমাত্রে পর্য্যবসিত হইল। এখন দেখিতে হইবে এই যে, ঐ থামটার সত্তা যদি সত্যসত্যই সেইরূপ একটা প্রাতিভাসিক সত্তামাত্র হইত, তাহা হইলে, উহা যে একমুহূর্বে হাউই-বাজি হইয়া হুস করিয়া উড়িয়া যাইবে না, অথবা বাঘ হইয়া গা গা করিয়া খাইতে আসিবে না, তাহার কোনো স্থিরত থাকিত না । তা’র সাক্ষী—স্বপ্নের প্রতিভাসিক রাজ্যে সবই বে-আইন বেকানুন । সে রাজ্যে যে যাহা, সে তাহ। নহে । সে রাজ্যে—এই দেখিতেছি ভারাবনত মুমূর্য, গর্দভ, পরক্ষণেই দেখি যে, তাহা গৰ্দ্দভ নহে - তাছা তেজঃস্ফীত অশ্ব ; এই দেখিতেছি মাটি-ব্যাস। শূকর, পরক্ষণেই দেখি যে, তাহ শুকর নহে –তাহ বৰ্ম্মাবৃত খড়গায়ুধ গণ্ডার ; এই দেখিতেছি মিউমিউকারী বিড়াল-ছানা, পরক্ষণেই দেখি যে, তাহা বিড়াল-ছানা নহে--তাহ ভীষণ ব্যাঘ্র স্বপ্নের মুলুকে এইসকল অঘটন-ঘটনা কেমন অবলীলা-ক্রমে আমাদের নয়ন সমক্ষে হওয়া-যাওয়া করে! তখন তাহাদের বাস্তবিকতা-সম্বন্ধে সংশয়ের বিন্দু বিসর্গ ও আমাদের বুদ্ধিকে বিভ্রাস্ত করে না। বুদ্ধি তখন কোথায়—যে, তাহাকে বিভ্রান্ত করি’ব ? বুদ্ধি তখন অগাধ নিদ্রার নিমগ্ন ! প্রকৃত কথা এই যে, যে সময়ে আমরা স্বপ্নের মনোরাজ্যে বাস করি, সে সময়ে বাস্তবিকঅবাস্তবিকের কথা আমাদের মনেই আসে না । তার সাক্ষী ;–আমি যদি কোনো गमप्द्र श्रांभांब ८करना यूङ वकृएक प्रश्न